পেট্রোবাংলা নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ: ১৫ প্রার্থী বাদ পড়লেন, কারণ অজানা
Published: 25th, November 2025 GMT
পেট্রোবাংলা ও এর অধীন কোম্পানিগুলোর সমন্বিত নিয়োগপ্রক্রিয়ার শেষ ধাপে ১৫ প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বাদ পড়া প্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগপ্রক্রিয়ার শেষ ধাপে তাঁদের অস্বচ্ছভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। পেট্রোবাংলা এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো একে অপরের দিকে দায় চাপাচ্ছে, ফলে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
প্রার্থীদেরা ভাষ্য, লিখিত, মৌখিক, ভেরিফিকেশন, মেডিকেলসহ সব ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করা সত্ত্বেও চূড়ান্ত তালিকা থেকে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এক প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের নানা প্রান্তে থাকা কোম্পানিগুলোতে গিয়ে মেডিকেল টেস্ট জমা দিতে হয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়ার সময় আমাদের সঙ্গে করা হলো প্রহসন। এই ১৫ জনের কেউ কনভিক্টেড আসামি নয়, কারও নামে কোনো মামলা বা অভিযোগও নেই। জুলাইয়ের গণ আন্দোলনে অনেকেই সরাসরি যুক্ত ছিলেন।’
আরও পড়ুনসরকারি চাকরির নিয়োগে অস্থিরতা: চার মাসে চাকরিপ্রত্যাশীদের যত আন্দোলন১৬ ঘণ্টা আগেঅপর একজন প্রার্থী বলেন, ‘চাকরির আশায় আগের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। সরকারি চাকরির বয়সও শেষ। পরিবার নিয়ে এখন মহাবিপদে পড়েছি। মা-বাবা অসুস্থ, তাদের ওষুধ কেনার জন্য আমার হাতে টাকা নেই।’
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কবির উদ্দিন আহম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পেট্রোবাংলা থেকে আমাদের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী নিয়োগপত্র দিয়েছি, কাউকে বাদ দিইনি।’
আরও পড়ুনজুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে বিশাল নিয়োগ, পদ ১১৫২২৩ নভেম্বর ২০২৫অভিযোগ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) এস এম মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রার্থীরা কেন বাদ পড়েছে, তা কোম্পানিগুলোই ভালো বলতে পারবে। নিয়োগপ্রক্রিয়ার কোনো ধাপে উত্তীর্ণ হতে না পারলেই কেউ বাদ পড়ে। চূড়ান্ত নিয়োগ না হলে কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা করা হয় না।’
বাদ পড়া প্রার্থীরা চূড়ান্ত ফলাফল থেকে তাঁদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা, নিয়োগপ্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা এবং তাঁদের নিয়োগ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ মার্চ ৬৭০টি পদের সমন্বিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া শেষে ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রার্থীদের মেডিকেল টেস্ট।
আরও পড়ুনবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রি অনলাইন কোর্স: ২০টির বেশি ভাষা শেখার সুযোগ২৪ নভেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনবিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ, পদ ১৫৯৬১৯ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রক র য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু আজ ঢাকায়, সুরক্ষায় আপনি কী করবেন
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় গতকাল সোমবার ঢাকা ছিল দ্বিতীয়। আজ মঙ্গলবার সকালে অবস্থানের সামান্য হেরফের হয়েছে। অবস্থান হয়েছে চতুর্থ। তবে সেই ভয়ানক দূষণ কমেনি। আজ ঢাকার বায়ু ‘খুব অস্বাস্থ্যকর।’ গতকালও বায়ুর অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকরই ছিল এ সময়।
আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ২০৮। বায়ুর মান ২০০-র বেশি হলে তাকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর ৩০০-র বেশি হলে তা হয় দুর্যোগপূর্ণ। গতকাল এ সময় ঢাকার বায়ুমান ছিল ২২৫। আজ ঢাকার পাঁচ স্থানের বায়ুর মান বেশি খারাপ।
বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
আজ মঙ্গলবার বিশ্বের ১২৭টি নগরীর মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি, বায়ুর মান ৩৬৯। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের কলকাতা ও পাকিস্তানের লাহোর। বায়ুর মান দুই নগরেই ২২৬।
নগরীর যে পাঁচ স্থানে দূষণ বেশি
নগরীর যে পাঁচ স্থানের বায়ু আজ খুব অস্বাস্থ্যকর, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং (২৫৫), দক্ষিণ পল্লবী (২৪৩), কল্যাণপুর (২২১), বে’জ এজ ওয়াটার (২১৩) এবং বেচারাম দেউড়ি (২০৭)।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকছে। ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।
নগরবাসীর জন্য সতর্কতা
বায়ুদূষণ সব মানুষের জন্য সমান ক্ষতিকর। ঢাকার বায়ুদূষণের মূল উপাদান বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এই দূষণের উৎস হলো ধুলোবালি, যানবাহন বা কলকারখানার দূষিত ধোয়া, বজ্র পোড়ানোর ধোয়া ইত্যাদি। এসব মানুষের নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমাসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে এই দূষণের ফলে।
আইকিউএয়ারের বায়ুদূষণের বার্তায় নগরবাসীর জন্য বেশ কিছু সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো বাইরে বেরোলে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যথাসম্ভব কমাতে হবে। ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।