চট্টগ্রামে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম হত্যা মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহিম খলিল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। কারাগার থেকে রিমান্ড শুনানিতে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এর আগে ২৩ নভেম্বর নগরের চকবাজার থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রামের পরিদর্শক নাছির উদ্দীন ফজলে করিমের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।

সরকারি কৌঁসুলি রিয়াদ উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম হত্যা মামলায় এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তৎকালীন সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমকে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ রাতে নগরের চন্দনপুরার বাসা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিমের নির্দেশে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। রাউজান থানার এসআই শেখ মুহাম্মদ জাবেদ এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। এরপর নুরুলকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে। সেখানে চোখ ও মুখ-হাত বেঁধে সারা রাত চালানো হয় নির্যাতন। পরে তাঁকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ঘটনাস্থলের ৬ কিলোমিটার দূরের বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট কর্ণফুলী নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ওপর লাশ ফেলে রাখা হয়। পরদিন ৩০ মার্চ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর চকবাজার থানায় নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে প্রধান করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহ পুর থেকে ফজলে করিমকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ম চ ধ র ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না : মনির হোসেন কাসেমী

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী বলেছেন, “চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী যেই দলেরই হোক, তারা কোন ধরনের ছাড় পাবে না।”

তিনি দাবি করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিকল্পনা করার কারণেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের সিনামন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে মুফতি মনির হোসেন কাসেমীর কারা মুক্তির দুই বছর উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যত আন্দোলন হয়েছে, তার অগ্রভাগে আমি ছিলাম।”

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ তাদের জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার আলেমদের টার্গেট করেছিল। মুফতি মনির হোসেন কাসেমী তাদের মধ্যে একজন। যেখানে চোর-ডাকাত-দুর্নীতিবাজ-ধর্ষকরা জেলে স্বাভাবিক জীবন কাটাত, সেখানে আলেমদের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্যাতন করা হতো।”

জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য  মাওলানা মাইনুদ্দিন আহমেদ  বলেন, “জনগণ যদি ইসলামকে বিজয়ী করতে চায়, তবেই বাংলাদেশ ইসলামের বিজয় লাভ করবে।”

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফুল্লাহ মনির হোসেন কাসেমীর মনোনয়ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “বিএনপি’র সাথে জোট থেকে যদি একজন আলেম মনোনয়ন পান, তাহলে তিনি হবেন মুফতি মনির হোসেন কাসেমী।”

নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান বলেন, “আলেমদের বিরুদ্ধে কখনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা দখলবাজির অভিযোগ ওঠেনি। আলেমরা যদি দেশের নেতৃত্বে আসেন, তাহলে দেশ সব অন্যায়-অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবে এবং সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।”

মহানগর জমিয়ত সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী বলেন, “মনির হোসেন কাসেমী কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি বলেই তাকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মনোয়ার হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের মুফতি নাসির উদ্দিন মনির, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব, এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম তোফায়েল প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ