Prothomalo:
2025-11-25@05:19:03 GMT

সবচেয়ে বড় ‘আফ্রো’ চুল তাঁর

Published: 25th, November 2025 GMT

দারুণ এক বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হয়েছেন জেসিকা এল মার্টিনেজ। মার্কিন এই নারী এখন সবচেয়ে বড় ‘আফ্রো’র মালিক।

‘আফ্রো’ হলো চুলের একটি বিশেষ ধরন বা স্টাইল। এটি অতি ঘন, ভীষণ কোঁকড়ানো একধরনের চুল। এই চুল সাধারণত মাথা কামড়ে থাকে এবং মাথার ওপর অনেকটা গোলাকার বলের মতো বেড়ে ওঠে। মূলত আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষের এমন চুল দেখতে পাওয়া যায়।

নিউইয়র্কের বাসিন্দা জেসিকার চুল ১১ দশমিক ৪২ ইঞ্চি লম্বা, ১২ দশমিক ২ ইঞ্চি চওড়া এবং চুলের পরিধি ৬ ফুট ২ দশমিক ৮৭ ইঞ্চি।

এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন এভিন ডুগাস। তিনি ২০১০ সালে জীবিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা আফ্রোর মালিক হন। এরপর টানা ১৫ বছর এভিন এই রেকর্ড ধরে রাখেন।

এত দিন পর অন্য কেউ তাঁর রেকর্ড ভাঙায় মোটেও অসুখী নন এভিন। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। জেসিকা তাঁর রেকর্ড ভেঙেছেন জানার পর এভিন নিজে এসে উত্তরসূরির মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন।

এভিন বলেন, ‘দিন শেষে আমরা এটাই আশা করি, মানুষ আমাদের দেখে ভাববে, আমি নিজেকে ভালোবাসি, তিনি নিজেকে ভালোবাসেন। আমরা দুজনেই শুধু মানুষকে তাঁর নিজেকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

নিজেদের মধ্যে দুজন কোনো প্রতিযোগিতা করছেন না জানিয়ে এভিন আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা আসলে পুরোপুরি ভালোবাসা।’

নিজের আফ্রোর কারণে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানো জেসিকা একসময় নিজের চুল খুব একটা পছন্দ করতেন না। তিনি নিজেও বলেন, মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত তিনি স্যালনে গিয়ে নিজের চুল নিয়মিত সোজা করতেন। কলেজে ওঠার পর তিনি চুল সোজা করা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।

জেসিকা বলেন, ‘আমি কলেজে প্রথম বর্ষে শেষবার চুল সোজা করি। খুব সম্ভবত সালটা ছিল ২০১৪। আমার মনে আছে, আমি চুল সোজা করেছিলাম, তারপর আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। নিজেকে আমার ১২ বছর বয়সী জেস মনে হয়েছিল এবং আমি জানতাম, এটা আমি নই। নিজেকে আমি বলেছিলাম, এটা তুমি নও, এখানে যা দেখা যাচ্ছে, তার কিছুই তুমি নও। তোমার একটি নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আছে।’

তারপর জেসিকা আর কখনো চুল সোজা না করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বছর জেসিকা রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় তিনজনের একটি দল তাঁর চুল সব দিক দিয়ে মেপে দেখে।

রেকর্ড গড়ার পর কেমন অনুভূতি হয়েছিল, তা জানাতে গিয়ে জেসিকা বলেন, ‘যখন আমি জানতে পারলাম, আমি রেকর্ড ভেঙেছি, আমি সত্যিই হতবাক হয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, এটি অবাস্তব বলে মনে হচ্ছিল।’

এই নারী বলেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। শৈশবের আমি এই আমিকে নিয়ে নিশ্চয়ই খুবই গর্বিত হব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ১০০০ কোটি টাকা ঋণ পেল আইসিবি

পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকারে। এটা টাকা সরাসরি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, সরকারের কাছে আইসিবি মোট ১৩ হাজার কোটি টাকার সহায়তা চাইলেও প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সফট লোন হিসেবে পেয়েছে। ১০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে প্রথম বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড। এরপর প্রতি ছয় মাসে মূলধন ও ৫ শতাংশ সুদসহ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।

সরকারি এ ঋণ শুধু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এটি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে বড় আকারের সরকারি বিনিয়োগ সাধারণত মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাভাবিক চাহিদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আইসিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ সংবাদিকদের জানান, ঋণ পাওয়ার পরই নতুন একটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে কিছু শেয়ার কেনা শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে বিনিয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে সরকারকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারের এই উদ্যোগ শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য এক শক্তিশালী প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে আসছে এবং তারা নতুন সম্ভাবনাময় সুযোগের দিকে উৎসাহ ও আগ্রহের সঙ্গে দৃষ্টি রাখছেন।

বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে, এই পদক্ষেপ বাজারে আস্থা জোরদার করবে এবং মধ্যমেয়াদে শেয়ারবাজারে নতুন চাহিদা ও বিনিয়োগ প্রবাহ তৈরি করবে। বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করলে, তাদের জন্য আরো সুফল অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ