সিটি ব্যাংক চালু করল ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড
Published: 25th, November 2025 GMT
মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্কের অধীনে ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে সিটি ব্যাংক।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এই কার্ড উন্মোচিত হয়, যা প্রিমিয়াম ব্যাংকিংয়ে একটি নতুন ‘মাইলফলক’ বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “এই উদ্বোধন বাংলাদেশের উচ্চ-আয়সম্পন্ন গ্রাহকদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।”
মাস্টারকার্ডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট গৌতম আগারওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে এমন এক শ্রেণির মানুষ তৈরি হচ্ছে, যারা বিশ্বমানের সেবা প্রত্যাশা করেন এবং একই সঙ্গে স্থানীয় প্রেক্ষাপটকেও গুরুত্ব দেন। এটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও মানুষের পরিবর্তিত প্রত্যাশার প্রতিফলন।”
সিটি ব্যাংক-মাস্টারকার্ড ‘ওয়ার্ল্ড এলিট’ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য আরও ‘মসৃণ ও নিরবচ্ছিন্ন’ অভিজ্ঞতার সঙ্গে বিস্তৃত ‘উন্নত সুবিধার’ কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কার্ডধারীরা ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্বাগত উপহার ভাউচারের সঙ্গে ‘সিটি ক্যাপিটাল’ থেকে বিনিয়োগ-পরামর্শ সেবা পাবেন।
এছাড়া, ঢাকার বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে ‘একটি কিনলে একটি বিনামূল্যে’ বুফে, বিদেশি বিমানবন্দর লাউঞ্জে বিনামূল্যে প্রবেশ এবং সিটি ব্যাংকের সব লাউঞ্জে ‘সীমাহীন’ প্রবেশাধিকার পাবেন।
কার্ডধারীরা মাস্টারকার্ডের আন্তর্জাতিক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন, যার মধ্যে রয়েছে গলফ গ্রিন-ফি, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক রাতের বিনামূল্যের আবাসন এবং বিশেষ খাবারের অভিজ্ঞতা।
সদস্যরা তিন মাস মেয়াদি ‘স্যান্ডস লাইফস্টাইল এলিট’ সদস্যপদ, ফ্লেক্সিরোমের মাধ্যমে বৈশ্বিক ডেটা রোমিং সুবিধা, ব্রিলিয়ান্ট বাই ল্যাঙ্গহাম রুবি সদস্যপদ এবং টিপিসি গলফ গেইন সুবিধা পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত সুবিধার মধ্যে ২৪ ঘণ্টা মাস্টারকার্ড পরিচারক-সহায়তা, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ হাজার ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় এবং ভূমিভিত্তিক পরিবহনে ৫০০ ডলার পর্যন্ত ক্রেডিট সুবিধা পাবেন।
এছাড়া, দেশের পাঁচ হাজারের বেশি অংশীদার বিক্রয়কেন্দ্রে শূন্য শতাংশ কিস্তি সুবিধা এবং নির্বাচিত বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, পোশাকের দোকান ও জীবনযাপন-সংক্রান্ত ব্র্যান্ডে বিশেষ ছাড় থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম স ট রক র ড
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে প্রশাসনের আশ্বাসে ১০ ঘণ্টা পর নেসকো কার্যালয় অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার
প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে নাটোরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা প্রশাসনের আশ্বাসে নেসকো কার্যালয় ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার শহরের আলাইপুরে নেসকো কার্যালয়ের সামনে গিয়ে আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিলে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, নাটোরে প্রিপেইড মিটার বাতিল, অতিরিক্ত বিল আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে ‘জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) নাটোর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। গতকাল দুপুরে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি রাত ১০টা পর্যন্ত চলে। তাঁরা নেসকো কার্যালয় ঘেরাওয়ের পাশাপাশি নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। সড়কের ওপর গণখিচুড়ি ভোজের আয়োজন করা হয়। একদিকে রান্নাবান্না, অন্যদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ক্রিকেট খেলা চলতে থাকে। ফলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য সেখানে অবস্থান নেন। প্রায় ১০ ঘণ্টা কার্যালয়ের ভেতরে আটকে ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি পূরণ না হলে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা দফায় দফায় তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন। অবশেষে রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয় যে অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি ঢাকায় গিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করবে। আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, ‘জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষার এই আন্দোলন অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিগত প্রশাসন এর সমাধান করেনি। তাই আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে নামি। তবে মন্ত্রণালয় ছাড়া যেহেতু এসব দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়, তাই জেলা প্রশাসন ঢাকায় গিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেছে। তত দিন পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে। দাবি পূরণ না হলে ছাত্র-জনতা আবার আন্দোলনে যাবে।’
জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন বলেন, মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট দাবি পূরণ করতে হলে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে। তাই একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবে।