‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু আজ ঢাকায়, সুরক্ষায় আপনি কী করবেন
Published: 25th, November 2025 GMT
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় গতকাল সোমবার ঢাকা ছিল দ্বিতীয়। আজ মঙ্গলবার সকালে অবস্থানের সামান্য হেরফের হয়েছে। অবস্থান হয়েছে চতুর্থ। তবে সেই ভয়ানক দূষণ কমেনি। আজ ঢাকার বায়ু ‘খুব অস্বাস্থ্যকর।’ গতকালও বায়ুর অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকরই ছিল এ সময়।
আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ২০৮। বায়ুর মান ২০০-র বেশি হলে তাকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর ৩০০-র বেশি হলে তা হয় দুর্যোগপূর্ণ। গতকাল এ সময় ঢাকার বায়ুমান ছিল ২২৫। আজ ঢাকার পাঁচ স্থানের বায়ুর মান বেশি খারাপ।
বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
আজ মঙ্গলবার বিশ্বের ১২৭টি নগরীর মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি, বায়ুর মান ৩৬৯। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের কলকাতা ও পাকিস্তানের লাহোর। বায়ুর মান দুই নগরেই ২২৬।
নগরীর যে পাঁচ স্থানে দূষণ বেশি
নগরীর যে পাঁচ স্থানের বায়ু আজ খুব অস্বাস্থ্যকর, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং (২৫৫), দক্ষিণ পল্লবী (২৪৩), কল্যাণপুর (২২১), বে’জ এজ ওয়াটার (২১৩) এবং বেচারাম দেউড়ি (২০৭)।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকছে। ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।
নগরবাসীর জন্য সতর্কতা
বায়ুদূষণ সব মানুষের জন্য সমান ক্ষতিকর। ঢাকার বায়ুদূষণের মূল উপাদান বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.
আইকিউএয়ারের বায়ুদূষণের বার্তায় নগরবাসীর জন্য বেশ কিছু সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো বাইরে বেরোলে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যথাসম্ভব কমাতে হবে। ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বোয়েতিয়ান লীগের যে কৌশলের কাছে হেরে যায় স্পার্টা
লুক্ট্রা ছিল প্রাচীন বোয়েটিয়া অঞ্চলের একটি গ্রাম। যা থেসপিয়াই থেকে প্লাটাইয়া যাওয়ার পথে অবস্থিত। এই গ্রামটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে এবং স্পার্টানদের পতনের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত। বোয়েতিয়ান লীগের কাছে ভূমিধস পরাজয় হয়েছিলো স্পার্টানদের। বোয়েতিয়ান লীঘ ছিল মূলত বিভিন্ন নগর-রাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক ও সামরিক জোট। সেসময় সবচেয়ে বড় নগর রাষ্ট হিসেবে থিবিস স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বড় সৈন্যদল সরবরাহ করত।
লুক্ট্রার যুদ্ধ ৩৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ৬ই জুলাই তারিখে প্রাচীন গ্রীসের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা স্পার্টার দীর্ঘদিনের সামরিক আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে থিবসকে নতুন শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই যুদ্ধটি থিবীয় সেনাপতি এপামিনোন্ডাসের উদ্ভাবনী সামরিক কৌশলের জন্য বিখ্যাত। ৬ জুলাই, ৩৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ গ্রীসের বোয়েটিয়া অঞ্চলের লুক্ট্রা নামক একটি গ্রামের কাছাকাছি সমভূমিতে হয়েছিলো। থিবস ও বোয়েসিয়ান লীগ এর নেতৃত্ব ছিলেন এপামিনোন্ডাস এবং পেলোপিদাস।
আরো পড়ুন:
ভূমিকম্প যেভাবে পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে
বার বার মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে, করণীয় জেনে নিন
এপামিনোন্ডাসের উদ্ভাবনী কৌশল
ঐতিহ্যগতভাবে, গ্রীক ফ্যালানক্স বা পদাতিক বাহিনী ১২ সারিতে দাঁড়াতো। তাদের সেরা সৈন্যরা ডানদিকে অবস্থান করত। কিন্তু এপামিনোন্ডাস প্রচলিত প্রথার বাইরে গিয়ে দুটি যুগান্তকারী কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি তার সেরা সৈন্যদেরবাম পাশে স্থাপন করেন এবং এই ফ্যালানক্সকে ৫০ সারিতে দাঁড় করান।
তিনি তার সেনাবাহিনীকে দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর করান। তার শক্তিশালী বাম পার্শ্ব দ্রুত অগ্রসর হয়, যখন বাকি লাইনগুলি ধীরে ধীরে এগোয়। এর ফলে মূল আক্রমণটি সরাসরি স্পার্টানদের সবচেয়ে শক্তিশালী ডান পার্শ্বের ওপর কেন্দ্রীভূত হয়।
থিবানদের গভীর এবং কেন্দ্রীভূত আক্রমণ স্পার্টানদের ডান পার্শ্বকে ভেঙে দেয়। যুদ্ধে স্পার্টার রাজা ক্লিওমব্রোটাস নিহত হন। এটি ছিল প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো যুদ্ধে স্পার্টান রাজার মৃত্যু।এই বিজয়ের মাধ্যমে স্পার্টার শত বছরের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং গ্রীক উপদ্বীপের ওপর তাদের বিশাল প্রভাব চূর্ণ হয়ে যায়।
থিবস গ্রীসের প্রধান সামরিক শক্তিতে পরিণত হয় এবং একটি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য গ্রীক রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেন। এপামিনোন্ডাসের উদ্ভাবিত কৌশলগুলো পরবর্তীকালে ম্যাসিডনের দ্বিতীয় ফিলিপ এবং তার পুত্র মহাবীর আলেকজান্ডার যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করে বিশ্বজয়ে সফল হয়েছিলেন। লুক্ট্রার যুদ্ধ গ্রীক নগর-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতার ভারসাম্যকে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছিল।
ঢাকা/লিপি