‘জ্যেষ্ঠ নেতাদের ভাষার দুর্ভিক্ষ’ বলে চাঁদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ
Published: 25th, November 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখার ‘জ্যেষ্ঠ নেতাদের ভাষার দুর্ভিক্ষের’ অভিযোগ এনে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলার শাখার একজন নেতা।
গতকাল সোমবার রাতে মতলব দক্ষিণ উপজেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী বদিউল আলম (বাবু) নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গত ২৯ জুন ২১ সদস্য নিয়ে এই উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
বদিউল আলম তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি দেখতে পান, দলের উপজেলা শাখার জ্যেষ্ঠ নেতাদের মুখের ভাষার দুর্ভিক্ষ চলে আসছে। গত ১৮ অক্টোবর দলের জেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা শাখার নেতাদের নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় জ্যেষ্ঠ নেতাদের ভাষা ছিল নিকৃষ্ট মানের। এমন মানুষদের সঙ্গে রাজনীতি করার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই।
আজ মঙ্গলবার সকালে মুঠোফোনে বদিউল আলম প্রথম আলোকে জানান, তাঁর দলের উপজেলা শাখার জ্যেষ্ঠ নেতাদের যে ভাষা, তা শালীনতার মধ্যে পড়ে না। এ জন্য হতাশ হয়ে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এনসিপির উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী ডি এম আলাউদ্দিন বলেন, ওই যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদত্যাগের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে গতকাল রাতে জেনেছেন। তবে এখনো লিখিত কিছু পাননি। বদিউল আলম কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তিনি কখনোই দলের কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন না। নামে মাত্রই কমিটিতে ছিলেন। তাঁর পদত্যাগে দলের খুব কিছু আসে যায় না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদত য গ র উপজ ল এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
বসতঘরে একাই থাকতেন বৃদ্ধা, আগুনে পুড়ে মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নিজ বসতঘরে আগুনে পুড়ে জেওরা খাতুন (৮২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জেওরা খাতুন গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আ. রব চৌধুরীর স্ত্রী। এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা বিয়ে ও কাজের সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকেন। গোবিন্দপুর গ্রামে একটি টিনের দোচালা ঘরে জেওরা খাতুন একাই থাকতেন।
জেওরা খাতুনের নাতি উপজেলার কালিকাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ. ছাত্তার বলেন, গতকাল রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে তাঁর দাদি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ওই ঘরে আগুন লেগে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ওই বৃদ্ধা চিৎকার করে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। একপর্যায়ে তিনি আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আগুনে মালামালসহ বসতঘরটিও পুড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।
ওই বৃদ্ধার বড় ছেলে মো. সোলেমান বলেন, ‘আগুনে পুইড়া আমার মা দুনিয়া থেকে এইভাবে চইলা যাইব, তা কোনো দিন চিন্তাও করি নাই। এহন আমি কারে মা ডাহুম।’
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মী জানান, তাঁরা ওই গ্রামে আগুন লাগার খবর পেয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁদের জানানো হয়, সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, তাঁরা বিষয়টি জেনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।