৩১ ঘণ্টায় ৪ কম্পন, সিসমিক রিস্কে রাজধানী!
Published: 25th, November 2025 GMT
রাজধানী ঢাকা অপরিকল্পিত উন্নয়ন আর সীমাহীন জনঘনত্বে চাপে থাকা এক ক্লান্ত শহর। আর ঠিক এই সময়েই ঘনঘন ছোট ও মাঝারি ভূমিকম্প রাজধানীর বুকের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। গত ২১ নভেম্বর সকাল থেকে ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৩১ ঘণ্টায় ঢাকা ও আশপাশে চারটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের চোখে এটি কেবল কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বহনকারী সিসমিক অস্থিরতা।
গত ২১ নভেম্বর সকালের রিখটার স্কেলে ৫.
এই কম্পনে শিশুসহ মারা গেছে ১০ জন, আহত হয় ৬০০ বেশি মানুষ। এর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আরো তিনটি ভূমিকম্প যথাক্রমে ৩.৩, ৪.৩ ও ৩.৭ মাত্রার আঘাত হানে নরসিংদী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারাবাহিক কাঁপুনি ঢাকার নিচে লুকিয়ে থাকা সাবফল্ট অ্যাকটিভিটির স্পষ্ট সংকেত।
ফল্ট লাইনে ঢাকা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বর্তমান পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, “নরসিংদীতে আগে ছোটখাটো ভূমিকম্প হলেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক কম্পন দেখিয়ে দিল সাবফল্টটি অনেক বড়, যা সরাসরি ঢাকার দিকে বিস্তৃত।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, “সাবডাকশন জোনে যে বিপুল শক্তি জমে আছে, তার ১ শতাংশেরও কম নির্গত হয়েছে। নিয়মিত ছোট কম্পন মানে শক্তি নড়াচড়া শুরু করেছে। এ ধরনের আফটারশক হতে হতে বড় কম্পন হবেই এটা সময়ের ব্যাপার, দূরের নয়। সিলেট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভূগর্ভে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটানোর মতো শক্তি সঞ্চিত হতে পারে।”
৫ বছরে ১১টি ভূমিকম্প
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মোট ৩৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে ১১টির উৎপত্তি ঢাকার ৮৬ কিলোমিটারের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ শতাংশ ভূমিকম্পই রাজধানীর কাছে। মাত্রাগুলো ৩.৩ থেকে ৫.৭। এ সময়ের দ্বিতীয় বড় ভূমিকম্প (৫.৬) হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে। এ পরিসংখ্যান বলছেন, ঢাকার চারপাশে ফল্ট লাইনগুলো গত ৫ বছর ধরে অস্বাভাবিকভাবে সক্রিয়।
ঢাকা কেন সবচেয়ে ঝুঁকি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব হাসান ঢাকার ঝুঁকি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চারটি প্রধান কারণ তুলে ধরেছেন-
১. উৎপত্তিস্থলের নৈকট্য: সাম্প্রতিক কম্পনগুলো ঢাকার খুব কাছে ঘটছে। আগে যে সাব–ফল্ট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না, সেটি এখন সক্রিয় হয়ে ঢাকার পাশ পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে।
২. ভরাট মাটির ওপর শহর বিস্তার: ঢাকার নতুন অংশগুলো নিচু জায়গা ভরাট করে তৈরি হয়েছে। ভরাট মাটি ভূমিকম্পে তরলীকরণ প্রক্রিয়ায় তীব্রভাবে কাঁপে যা ভবনধসের প্রধান কারণ।
৩. ভবন নির্মাণে নিয়মের চরম লঙ্ঘন: জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। পুরোনো ভবনগুলো ডিজাস্টার রেজিস্ট্যান্ট নয়।
৪. অস্বাভাবিক জনঘনত্ব: বিশ্বে সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এখন ঢাকার পুরান অংশ। ধস হলে উদ্ধার করা কঠিন।
রাতেই বেশি ভূমিকম্প
গত পাঁচ বছরে হওয়া ৩৯টির মধ্যে ২৩টি ভূমিকম্প ঘটেছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাতে মানুষ ঘুমিয়ে থাকায় প্রাণহানির ঝুঁকি অনেক বেশি। ঢাকার অবস্থা এক অপরিকল্পিত শহর, বিপর্যয়ের পথে দ্রুতগতিতে ঢাকা এখন কংক্রিটের জঞ্জাল কোনো মাস্টার প্ল্যান ছাড়া গড়ে উঠেছে রাজধানী। যে যার মতো ভবন তৈরি করছে। গ্যাস, পানির লাইন, বিদ্যুৎ স্যুয়ারেজ সবই এলোমেলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এখন বড় ভূমিকম্প হয় তাহলে ভবনধসে যত মানুষ মরবে। তার চেয়েও বেশি মরবে অগ্নিকাণ্ডে। কারণ গ্যাস লাইনে আগুন ছড়িয়ে পড়বে দ্রুত।
বুয়েটের অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দীন হাসান বলেন, “ঢাকা বড় ভূমিকম্প হলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। সরকার শহরকে ভূমিকম্প–সহনশীল করার বদলে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।”
শহরের অবকাঠামোর চিত্র
রাজউক সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের মার্চে ‘আরবান রেজিলিয়েন্স’ প্রকল্পের আওতায় জরিপ চালিয়েছে। জরিপে প্রাথমিকভাবে ২,৭০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭টি হাসপাতাল, ৩৬টি থানা ও ৩০৪টি ভবন অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফলাফলে ১৮৭টি ভবন ভূমিকম্প প্রতিরোধী করার সুপারিশ করা হয় এবং ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভেঙে ফেলার তালিকায় ছিল বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ভবন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি, মাদ্রাসা বোর্ডের ৩টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১টি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন।
রেট্রোফিটিংয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ৩টি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৪টি, মাদ্রাসা বোর্ডের ৬টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন। জরিপে দেখা গেছে, ঢাকায় মোট ২১ লাখ ৪৫ হাজার ভবনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ ভবন বড় ভূমিকম্পে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
সেমিপাকা ও বহুতল ভবনের ঝুঁকি বেশি; ঢাকায় ৭৫ হাজারের বেশি বহুতল ভবন রয়েছে। সরকারিভাবে নির্মিত নতুন ভবনের ৩৭শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পিজি হাসপাতালের ১৭ তলা ভবন এবং অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “চার বার ভূমিকম্প আমাদের বড় দুর্ঘটনার সতর্কবার্তা দিচ্ছে। কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। একযোগে মাঠে নামতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “এক কাঠার কম প্লটে পরিকল্পনা অনুমোদন নেই। কিন্তু মানুষ অমান্য করে ৬–৭ তলা ভবন তুলছে। কিছু ভবনে নকশাই নেই। ছোট ছোট প্লট একত্র করে বড় প্লট বানিয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করুন। তাতে ক্ষতির চেয়ে লাভই হবে।”
প্রস্তুতির চিত্র
২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে ‘ন্যাশনাল অপারেশন সেন্টার’ তৈরির চুক্তি হলেও ১০ বছরেও কাজ শুরু হয়নি। তেজগাঁওয়ে জমিও বরাদ্দ ছিল কিন্তু নির্মাণসামগ্রী রাখার জায়গা না পাওয়ায় অগ্রগতি থমকে আছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন, “ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। বড় ধরনের দুর্যোগের সময় সশস্ত্র বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকে কাজে লাগানো হয়। বিভিন্ন সংস্থার জন্য অতিরিক্ত সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজ চলমান এবং দ্রুত তা শেষ করার চেষ্টা চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলে সহায়তার জন্য ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এবং নগরে ৪৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। এই স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মানুষকে ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতন করার কাজও শুরু হবে।”
রাজউকের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে যদি ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আসে, তাহলে ঢাকায় প্রায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার ভবন ধসে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আজকের স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পের সময়ও যে দুর্বল ভবনগুলোর রেলিং ও পলেস্তারা খসে পড়েছে, তা ভবিষ্যতের বড় দুর্যোগের সতর্কবার্তা দেয়।
ভূমি ও ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পূর্ববঙ্গ ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অতীতে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে। ১৭৬২ সালের গ্রেট আরাকান ভূমিকম্প (৮.৫ মাত্রা) চট্টগ্রাম উপকূলে তীব্র ভূমিধ্বংস ও সুনামি সৃষ্টি করেছিল। আবার ১৮৯৭ সালের গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্প (৮.৭ মাত্রা) শিলং-মালভূমিতে উৎপন্ন হলেও ঢাকাসহ সিলেট ও পূর্ববঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছিল। এই ঐতিহাসিক তথ্যগুলো নির্দেশ করে যে, নিকটবর্তী অঞ্চলে সৃষ্ট বড় ভূমিকম্প বাংলাদেশের রাজধানী ও অন্যান্য শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।
রাজউক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার প্রচুর পুরনো ও অদক্ষভাবে নির্মিত ভবন ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে সেমিপাকা ও বহুতল ভবনগুলো সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে। এই অবস্থায় নাগরিকদের সচেতন হওয়া এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “আমার মনে হয় ভূমিকম্পের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ঢাকা এবং বিশেষ করে পুরান ঢাকা। আমাদের এখনকার বিল্ডিংগুলো কোড মেনে চললেও, রাজউকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রচুর বিল্ডিং হয়ে গেছে যেগুলোর ৯০ শতাংশেরই কোনো অনুমোদন নেই। এগুলোর কী হবে, যদি এরকম ভূমিকম্প রিপিট করতে থাকে।”
উপদেষ্টা বলেন, “আমার মনে হয় গত পাঁচ বছরে যে কয়বার ভূমিকম্প হলো এত শক্তিশালী ভূমিকম্প আমরা এর আগে কখনো অনুভব করিনি। এতে বারবার আমাদের একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “বারবার যে আমাদের সতর্কবাণীটা দেওয়া হচ্ছে, এটিকে তো আমাদের আসলে বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতিটা নেওয়া দরকার। সেটি নিচ্ছি না। যেমন ধরুন, আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে যে অনুষ্ঠানে ছিলাম, সেখানে দ্রুততার সঙ্গে নেমে আমি একটি খোলা জায়গায় দাঁড়াতে পেরেছি। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে তো খোলা জায়গায় দাঁড়ানোর কোনো উপায়ই নেই।”
তিনি বলেন, “দুর্যোগের জন্য সতর্কবাণী এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতিটা আরো অনেক আগেই শুরু হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এখন দেরি না করে দ্রুত শুরু করা উচিত। পুরোনো বিল্ডিংগুলোকে মজবুত করার যে প্রকৌশলগত সমাধান আছে সেদিকে যাওয়া দরকার।”
গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “ভূমিকম্প মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার একটি বিশেষ ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকারি সংস্থার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রস্তুতিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোসা. যোবায়রা রহমান বলেন, “ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় ঢাকা প্রস্তুত নয় তা বারবার প্রমাণ হচ্ছে। ঢাকা একটি ঝুঁকিপূর্ণ শহর এ সত্য আমরা বহুবার শুনেছি। কিন্তু সাম্প্রতিক চার ভূমিকম্প দেখিয়ে দিল সময় ফুরিয়ে আসছে। ঢাকা এখন কেবল শহর নয়, একটি সিসমিক টাইম বম্ব। এর বিস্ফোরণ ঠেকানোর একমাত্র পথ বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা, কঠোর বাস্তবায়ন জনগণের প্রস্তুতি। প্রস্তুতি নিন আজই।”
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ত র র ভ ম কম প বড় ভ ম কম প ভ ম কম প র ন ভ ম কম প প রস ত ত র জন য আম দ র বলছ ন ভবন র সরক র র জউক
এছাড়াও পড়ুন:
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়োগ, পদসংখ্যা ১৫
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রাজস্ব খাতভুক্ত ১৪ থেকে ১৬তম গ্রেডের ১৫টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সাত ক্যাটাগরির এসব পদে আবেদন করতে হবে অনলাইনে। সব পদের নিয়োগ পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় একজন প্রার্থীকে কেবল একটি পদে আবেদনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবেদন ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।
পদের নাম ও বিবরণ১. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ০৩
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৪) ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
২. সিনিয়র মেকানিক
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৪) ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
৩. ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৫) ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
৪. লাইব্রেরিয়ান
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৫. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ০৫
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৬. টেলিফোন অপারেটর
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৭. ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
বয়সসীমা
১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তি এই ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করবেন।
আবেদন ফি১ থেকে ৬ নম্বর পদের পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা; ৭ নং পদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।
*সব পদের অনগ্রসর (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।
আরও পড়ুনজুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে বিশাল নিয়োগ, পদ ১১৫২২৩ নভেম্বর ২০২৫আবেদনের সময়সীমাআবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময়: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা।
আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা।
১. সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আবেদন করতে হবে। অন্যান্য প্রার্থীর ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।
২. সব পদের পরীক্ষা একই তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আবেদনকারীকে একাধিক পদে আবেদন না করার পরামর্শ দেওয়া হলো।
৩. নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদসমূহ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
*নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ, সময় ও বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
আরও পড়ুনবিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ, পদ ১৫৯৬১৯ নভেম্বর ২০২৫