ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিলুপ্তপ্রায় একটি অ্যালবিনো গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ভবননগর গ্রামে সাপটি দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন তারা।

প্রকৃতিপ্রেমী নাজমুল হক বলেন, ‘‘ধারণা করা হচ্ছে, মৃত সাপটি অ্যালবিনো গোখরা প্রজাতির। এটি দেখতে পুরোপুরি উজ্জ্বল হলুদ রঙের। সাপটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে জাদুঘরে প্রদর্শনীর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যালবিনো গোখরা অত্যন্ত বিরল ও বিষাক্ত। গোখরার কামড়ের কয়েক মিনিটের মধ্যেই মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। 

খুলনা বিভাগীয় (যশোর জোন) বন কর্মকর্তা অমিতা মন্ডল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আসামি ধরতে মধ্যরাতে বাড়িতে পুলিশ, আতঙ্কে প্রবাসীর মৃত্যু

ফেনীর ফুলগাজীতে প্রতিবেশীর করা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের আতঙ্কে প্রবাসী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তির নাম নুর হোসেন (৫৪)। তিনি উত্তর শ্রীপুর গ্রামের মৃত মীর হোসেনের ছেলে। নুর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সৌদিপ্রবাসী। পরিবারে তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামে কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মর্জিনা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর মাথা ফেটে যায়। আহত গৃহবধূ ওই রাতেই বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ফুলগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী তাঁর প্রতিবেশী প্রবাসী নুর হোসেনকে আসামি করেন। মামলার পর রোববার রাত দুইটার দিকে ফুলগাজী থানা-পুলিশের সদস্যরা আসামি নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়িতে যান।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নুর হোসেন ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়েরের সহযোগিতায় নুর হোসেনের ঘরের দরজা খোলে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে নুর হোসেন জ্ঞান হারান। রাতেই তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি থেকে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ সোমবার সকাল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল।

এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের জানান, রাত দুইটার দিকে পুলিশ তাঁকে ডেকে নুর হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। তিনি নুর হোসেনকে দরজা খুলতে বললে তিনি দরজা খোলেন। এ সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে গেলে নুর হোসেন জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া বলেন, রাতে নুর হোসেনকে হাসপাতালে আনা হলেও তার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

ফুলগাজী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নুর হোসেনের বোন রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘দিনে মারামারির ঘটনা হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। রাতে মামলা হয়েছে, মধ্যরাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বাড়ি এসেছে। আমার ভাই কি খুনি না দাগি আসামি যে পালিয়ে যাবে। রাতের বেলা কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

নুর হোসের স্ত্রী রিমা আক্তার বলেন, ‘প্রতিবেশীদের মারামারি মধ্যে আমার স্বামী উপস্থিত ছিলেন না। তবু কেন আমার স্বামীকে আসামি করা হয়েছে? পুলিশ দিনের বেলা আসামি ধরতে না এসে রাতের বেলা কেন এল? আমার স্বামী তো প্রায় এক বছর ধরে বাড়িতেই রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, কী কারণে প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রয়োজন। তাতে পরবর্তী সময়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত জটিলতা থাকবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ