Risingbd:
2025-11-24@14:59:09 GMT

জবির ৫ শিক্ষার্থীকে মারধর, আটক ৪

Published: 24th, November 2025 GMT

জবির ৫ শিক্ষার্থীকে মারধর, আটক ৪

রাজধানীর পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তাকারীর হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডার পর ট্রাফিক সহায়তাকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় জবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রবিবার

জকসু: জিএস পদে লড়ছেন বাঁধনের সভাপতি মাবুদা

আহতরা হলেন শিক্ষার্থী তালহা জুবায়ের প্রিয়ম, আলামিন হোসেন, সোহাইল, মোহন, মোসাব্বির ও চৈতি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাফিক সহায়তাকারীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গালাগালা করছিলেন। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা দয়াগঞ্জ মোড়ে জড়ো হয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবিতে স্লোগান দেন। পরে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে একজন অভিযুক্তকে বের করা হলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেন।

এ সময় কয়েকজন সহকারী প্রক্টর আহত হন। এরপর সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বাকি তিন অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

হামলার শিকার সিএসই বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তালহা জুবায়ের বলেন, “আমাদের বাস দয়াগঞ্জ মোড়ে ট্রাফিকে ছিল। আমাদের বাসের কিছু বড় ভাই ট্রাফিকে দায়িত্বে থাকা কয়েকজনকে বলেছিলেন বাসটি ছাড়তে। তারা বাস ছেড়ে দেওয়ার পর হঠাৎ বড় ভাইদের ওপর আক্রমণ করে। পরে আমরা বাস থেকে নেমে তাদের বাঁচাতে গেলে আমাদের ওপরও আক্রমণ চালায়।”

হামলার শিকার অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন বলেন, “আমি, সোহান ভাই, সোহাইল, আলাআমিন, মিনু আপুসহ অনেকে হামলার শিকার হয়েছি। পুলিশ তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।”

জবি প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডিকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে ওয়ারি জোনের ডিসি (উপ-পুলিশ কমিশনার) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় যারা যেভাবে অভিযুক্ত, তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/লিমন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে রবির বক্তব্য উদ্দেশ্য  প্রণোদিত, সত্যতা নেই : বিডিআর রফিক 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে জেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিডিআর।

রবিকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহারে দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যথায় দলীয় বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন। সোমবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই প্রতিবাদ জানান।

বিডিআর রফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আপনার অবগত আছেন যে গত ২০শে নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ নাভানা সিটি মাঠে নারায়ণগঞ্জ -৩ ( সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্বাচনী জনসভায় মনিরুল ইসলাম রবি তার বক্তব্যে বলছেন আমি নাকি বলেছি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান সাহেবের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকার গাড়ি উপহার নিয়েছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এই বক্তব্য ওনার ব্যক্তিগত ও উদ্দেশ্য প্রণামিত যাহার কোন সত্যতা নেই। আমি এই বক্তব্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি ওনার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দলের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

‎‎তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে এ বক্তব্যটি আজহারুল ইসলাম মান্নান সাহেবের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আপনারা জানেন আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি দুই দুই বার নির্বাচিত পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

এলাকাবাসীর সেবার পাশাপাশি ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন করেছি। বিগত সরকারের আমলে আমি জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তবুও কিন্তু আমি রাজনীতি থেকে পিছপা হইনি। 

আসন্ন নির্বাচনে আমি আজহারুল ইসলাম মান্নান সাহেবের পক্ষে নির্বাচনীয় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি ও কাজ করছি। এবং আগামী নির্বাচনেও আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

সেই কারণেই একটি মহল আমার জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্নতা করার জন্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্যই আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রকাশ করা হচ্ছে। 

আর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে আমার কাছ থেকে কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি। আশা করি ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা আরো বেশি সচেতন হবেন। 

‎‎সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মো. শাহাজাহান মেম্বার, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সফিউল আলম বাচ্চু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে রবির বক্তব্য প্রচারের পর নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রবির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান নেতা-কর্মীরা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ