ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করেছে ঢাকা থেকে আসা বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) শহরের নতুন বাজার এলাকায় মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এই ধ্বংসকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ কাজে নেতৃত্ব দেন বোমা ডিসপোজাল ইউনিট প্রধান এবং কালীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি আবু আজিব। এ সময় কালীগঞ্জ থানার একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল ও পুরো প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘চলতি বছরের ১৭ জুন উপজেলায় জামাল ইউনিয়নের পীর গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৬টি ককটেলসহ তাকে আটক করে যৌথবাহিনী। উদ্ধার হওয়া সেই ১৬টি ককটেল নিষ্ক্রিয় করেছে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে নেসকো কার্যালয় ঘেরাও, সড়কে খিচুড়ি ভোজ

নাটোরে প্রিপেইড মিটার বাতিল, অতিরিক্ত বিল আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে ‘জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে’ নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) অফিস ঘেরাও করা হয়েছে। শহরের আলাইপুরে নেসকো অফিসের সামনে আজ সোমবার দুপুরে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি রাত সাড়ে নয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চলছিল।

কর্মসূচি পালনের সময় আন্দোলনকারীরা নেসকো কার্যালয়ের সামনে গণ খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করেন। একই সঙ্গে তাঁরা সড়কে ক্রিকেটও খেলছেন। এতে সড়কে যান চলাচল আংশিক বিঘ্নিত হচ্ছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, প্রিপেইড মিটারের ভোগান্তি, দুর্নীতি ও অতিরিক্ত বিল বন্ধের দাবিতে তাঁরা সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নেসকো অফিস চত্বরে জড়ো হন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নেসকোর বিভিন্ন অনিয়ম, অস্বচ্ছ বিলিং, অতিরিক্ত চার্জ আরোপসহ প্রিপেইড মিটারের নানা সমস্যা রয়েছে। এর আগেও তাঁরা এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সমাধান চাইলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই এবার তাঁরা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (সার্বিক) প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা নেসকো কার্যালয়ে যান এবং আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা আশ্বস্ত হননি। আন্দোলনের মধ্যেও নেসকো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের ভেতরে জরুরি কাজ সম্পন্ন করেছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুস সামাদ বলেন, জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষার জন্য এ আন্দোলন। তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। এতে শহরের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এর আগেও গ্রাহকেরা একবার একই দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু নেসকো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভুক্তভোগীরা আবার আন্দোলন করছেন। তবে আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। আমরা চাই, তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ