দেশি ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে আজ ইসির সংলাপ
Published: 25th, November 2025 GMT
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার ৮১টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে আজ সকাল ও বিকেল দুই ভাগে এই সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল সোমবার ইসি সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ও বিকল্প তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো.
আশাদুল হক জানান, ইসির চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ৪০টি, বেলা ২টা থেকে ৪১টিসহ মোট ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় সভা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাযথভাবে সম্পাদনে লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচনবিশেষজ্ঞ, নারীনেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি।
১৩, ১৬, ১৭ ও ১৯ নভেম্বর দুই সেশনে অন্তত ৪৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বোয়েতিয়ান লীগের যে কৌশলের কাছে হেরে যায় স্পার্টা
লুক্ট্রা ছিল প্রাচীন বোয়েটিয়া অঞ্চলের একটি গ্রাম। যা থেসপিয়াই থেকে প্লাটাইয়া যাওয়ার পথে অবস্থিত। এই গ্রামটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে এবং স্পার্টানদের পতনের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত। বোয়েতিয়ান লীগের কাছে ভূমিধস পরাজয় হয়েছিলো স্পার্টানদের। বোয়েতিয়ান লীঘ ছিল মূলত বিভিন্ন নগর-রাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক ও সামরিক জোট। সেসময় সবচেয়ে বড় নগর রাষ্ট হিসেবে থিবিস স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বড় সৈন্যদল সরবরাহ করত।
লুক্ট্রার যুদ্ধ ৩৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ৬ই জুলাই তারিখে প্রাচীন গ্রীসের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা স্পার্টার দীর্ঘদিনের সামরিক আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে থিবসকে নতুন শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই যুদ্ধটি থিবীয় সেনাপতি এপামিনোন্ডাসের উদ্ভাবনী সামরিক কৌশলের জন্য বিখ্যাত। ৬ জুলাই, ৩৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ গ্রীসের বোয়েটিয়া অঞ্চলের লুক্ট্রা নামক একটি গ্রামের কাছাকাছি সমভূমিতে হয়েছিলো। থিবস ও বোয়েসিয়ান লীগ এর নেতৃত্ব ছিলেন এপামিনোন্ডাস এবং পেলোপিদাস।
আরো পড়ুন:
ভূমিকম্প যেভাবে পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে
বার বার মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে, করণীয় জেনে নিন
এপামিনোন্ডাসের উদ্ভাবনী কৌশল
ঐতিহ্যগতভাবে, গ্রীক ফ্যালানক্স বা পদাতিক বাহিনী ১২ সারিতে দাঁড়াতো। তাদের সেরা সৈন্যরা ডানদিকে অবস্থান করত। কিন্তু এপামিনোন্ডাস প্রচলিত প্রথার বাইরে গিয়ে দুটি যুগান্তকারী কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি তার সেরা সৈন্যদেরবাম পাশে স্থাপন করেন এবং এই ফ্যালানক্সকে ৫০ সারিতে দাঁড় করান।
তিনি তার সেনাবাহিনীকে দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর করান। তার শক্তিশালী বাম পার্শ্ব দ্রুত অগ্রসর হয়, যখন বাকি লাইনগুলি ধীরে ধীরে এগোয়। এর ফলে মূল আক্রমণটি সরাসরি স্পার্টানদের সবচেয়ে শক্তিশালী ডান পার্শ্বের ওপর কেন্দ্রীভূত হয়।
থিবানদের গভীর এবং কেন্দ্রীভূত আক্রমণ স্পার্টানদের ডান পার্শ্বকে ভেঙে দেয়। যুদ্ধে স্পার্টার রাজা ক্লিওমব্রোটাস নিহত হন। এটি ছিল প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো যুদ্ধে স্পার্টান রাজার মৃত্যু।এই বিজয়ের মাধ্যমে স্পার্টার শত বছরের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং গ্রীক উপদ্বীপের ওপর তাদের বিশাল প্রভাব চূর্ণ হয়ে যায়।
থিবস গ্রীসের প্রধান সামরিক শক্তিতে পরিণত হয় এবং একটি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য গ্রীক রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেন। এপামিনোন্ডাসের উদ্ভাবিত কৌশলগুলো পরবর্তীকালে ম্যাসিডনের দ্বিতীয় ফিলিপ এবং তার পুত্র মহাবীর আলেকজান্ডার যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করে বিশ্বজয়ে সফল হয়েছিলেন। লুক্ট্রার যুদ্ধ গ্রীক নগর-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতার ভারসাম্যকে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছিল।
ঢাকা/লিপি