বাউলদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল
Published: 24th, November 2025 GMT
মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পীদের ওপর হামলার বিচার ও বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল ও প্রতিবাদী গান হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যার পর গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী পৃথকভাবে এ আয়োজন করেন।
সন্ধ্যার পর গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে একটি মশালমিছিল বের করা হয়। টিএসসি চত্বর, উপাচার্যের বাসভবন, কলাভবন ও শাহবাগ ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য হেমা চাকমা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান।
ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান বলেন, তারা (সরকার) প্রত্যেকটি মানুষের নিরাপত্তাবোধ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। যত রকমের মবতন্ত্র হয়েছে, প্রতিটির ব্যর্থতা মূলত সরকারের।
এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘সমাজ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য আছে। আমরা জেলায় জেলায়, পাড়ায় পাড়ায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে চাই।’
এ সময় সবার উদ্দেশে সায়ান বলেন, বাংলাদেশকে কখনো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সরকারের হাতে ছেড়ে দেবেন না। সব সময় নিজেরা সজাগ থাকবেন। বাংলাদেশকে সব সময় বাংলাদেশের মানুষেরা রক্ষা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে যত আন্দোলন হয়েছে ছাত্র–জনতা করেছেন।
টিএসসির পায়রা চত্বরে আয়োজন করা হয় ‘প্রতিবাদী বাউল সন্ধ্যা’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ঢাকা, ২৪ নভেম্বর.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘পুরুষদের উচিত নারীর পোশাক, ওজন নিয়ে মন্তব্য করা বন্ধ করা’
হিন্দি চলচ্চিত্র ও ওয়েব ধারাবাহিকে নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। সম্প্রতি অনলাইনের নারীদের হয়রানি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হুমা বলেন, অনলাইনে অনেক সময় এমন মন্তব্য আসে, ‘বিকিনিতে ছবি পোস্ট করো। এগুলো খুবই নোংরা এবং দুঃখজনক ঘটনা।’
বাস্তবে আর অনলাইনে হয়রানির পার্থক্য নেই উল্লেখ করে হুমা আরও বলেন, ‘আমার মতে, রাস্তার ওপর একজন মেয়েকে হেনস্তা করা আর অনলাইনে হ্যারাসমেন্ট করা—দুই ক্ষেত্রের জন্যই শাস্তি একই হওয়া উচিত। কোনো পার্থক্য নেই।’