ফুলে ফুলকো লুচি, যদি নাইবা খাব
তবে সকালবেলা, যাব হাঁটতে নদী
যত শুকনো গাঙে, তরি ভচকে থাকা
দ্রুত সমাগত শীত, সাদা কুয়াশা মাখা
দূরে মাঠের ঘাসে, যারা চরাল গরু
তারা দাঁড়িয়ে থাকে, শীতে রোদের দিকে
যেন পথের শুরু! যেন অবাক হয়ে
পথ তাদের পায়ে, ফের রচিত হলো
তাই রোদের সাথে, নয়া নবীন পথে
বাধাপ্রাপ্ত হলে, উঠে দাঁড়িয়ে যাওয়া
শ্বাস কার্যরত, ফলে দাঁড়াতে হবে
যদি মৃত্যু আসে, দাবি অন্য কিছু
ফলে মৃত্যু এলে, কাঁদে কোলের শিশু
সে কি কান্না বোঝে? বোঝে বাবার পিছু
সব শাণিত বুকে তাই শিশুর ভাষা
নেই সহজ কোনো, দেহে মৃত্যুও নাই
তারা মারবে রাতে, কালো অস্ত্র ঠেসে
তারা মারবে দিনে, দামি মেট্রো ধসে
দূরে মাঠের ঘাসে, যেই কবর আছে
তাকে দেখতে গিয়ে, দেখি নামছে শিশির
লাগে ধাঁধার মতো, লাগে ছন্নছাড়া
ভরা দুপুরবেলা, দূরে মাঠের ঘাসে
বাধাপ্রাপ্ত হলে, উঠে দাঁড়িয়ে যাওয়া
শ্বাস কার্যরত, ফলে দাঁড়াতে হবে
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ১০০০ কোটি টাকা ঋণ পেল আইসিবি
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকারে। এটা টাকা সরাসরি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সরকারের কাছে আইসিবি মোট ১৩ হাজার কোটি টাকার সহায়তা চাইলেও প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সফট লোন হিসেবে পেয়েছে। ১০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে প্রথম বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড। এরপর প্রতি ছয় মাসে মূলধন ও ৫ শতাংশ সুদসহ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
সরকারি এ ঋণ শুধু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এটি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে বড় আকারের সরকারি বিনিয়োগ সাধারণত মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাভাবিক চাহিদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আইসিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ সংবাদিকদের জানান, ঋণ পাওয়ার পরই নতুন একটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে কিছু শেয়ার কেনা শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে বিনিয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে সরকারকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারের এই উদ্যোগ শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য এক শক্তিশালী প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে আসছে এবং তারা নতুন সম্ভাবনাময় সুযোগের দিকে উৎসাহ ও আগ্রহের সঙ্গে দৃষ্টি রাখছেন।
বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে, এই পদক্ষেপ বাজারে আস্থা জোরদার করবে এবং মধ্যমেয়াদে শেয়ারবাজারে নতুন চাহিদা ও বিনিয়োগ প্রবাহ তৈরি করবে। বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করলে, তাদের জন্য আরো সুফল অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।
ঢাকা/এনটি/ইভা