গোয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতের ব্যাটিং ধসে পড়ে মাঝপথেই। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের ৪৮৯ রানের জবাবে মাত্র ২০১ রানে অলআউট হয়ে যায় ঋষভ পন্তের দল। ২৮৮ রানের বিশাল লিড নিয়ে ফলো-অন করানোর সুযোগ ছিল টেম্বা বাভুমার সামনে। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়ক তার দলকেই আবার ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

ম্যাচে তখনো বাকি দু’দিনের বেশি। তাই ভারতের সামনে এখন দু’টি চ্যালেঞ্জ। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করা, এরপর তারা যা লক্ষ্য দেবে, সেটি তাড়া করতে নামা। আগের দিনের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে লক্ষ্য তাড়ার লড়াই যে কঠিন হতে যাচ্ছে, তা পরিষ্কার।

আরো পড়ুন:

১৫ বছর পর ঘরের মাঠে ফলোঅনে ভারত

থমকে গেছে ক্রিকেটার-গায়কের বিয়ে: বাবার পর স্মৃতির হবু বর হাসপাতালে

যদি ভারতকে ফলো-অনে পাঠানো হতো, তবে সেটা হতো ১৪ বছরের মধ্যে ভারতের প্রথম ফলো-অন, আর ঘরের মাঠে ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম। শেষবার ভারত টেস্ট ক্রিকেটে ফলো-অন খেলেছিল ২০১১ সালে, ইংল্যান্ড সফরে দ্য ওভালে। সেই ম্যাচে তারা হেরেছিল ইনিংস ও ৮ রানে।

তারপর থেকে ভারত ১০০টিরও বেশি টেস্ট খেলেছে। কিন্তু আর কখনো ফলো-অন খেলতে হয়নি। ঘরের মাঠে ভারতের শেষ ফলো-অন ছিল ২০১০ সালে, নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও পরিণতি একই- ইনিংস ও ৬ রানের হার।

ভারতে মোট তিনবার ফলো-অন খেলেছে ভারতীয় দল-
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে (২০০১),
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে (২০০৩),
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে (২০১০)।

এ পর্যন্ত ভারত মোট ৩৩টি ম্যাচে ফলো-অন করেছে। এর মধ্যে ভারতের জয় এসেছে মাত্র একবার। ২০০১ সালের সেই ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।

টেস্ট ক্রিকেটে ফলো-অন কী?
টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে কমপক্ষে ২০০ রানের লিড নেওয়ার পর কোনো দলের অধিনায়ক চাইলে প্রতিপক্ষকে আবারও ব্যাট করতে পাঠাতে পারেন। এটাই ফলো-অন। এতে পিছিয়ে থাকা দলকে পরপর দুই ইনিংস ব্যাট করতে হয়। এটা মূলত নেতৃত্বে থাকা দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত। সময় বাঁচিয়ে ম্যাচে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যেই ফলো-অন করানো হয়।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ, নিশ্চিত প্রথম পদক

চলমান নারী কাবাডি বিশ্বকাপে আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত করল সেমিফাইনালের টিকিট। তাতে নিশ্চিত হলো নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেশের প্রথম পদকও।

ঢাকায় চলমান আসরের শুরু থেকেই পদকের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনাল এবং পদক নিশ্চিত করার পর লাল-সবুজ শিবিরে ছিল উচ্ছ্বাস। দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিলেন লাল-সবুজ পতাকা নেড়ে।

আরো পড়ুন:

কাবাডি আমাদের ঐতিহ্য, জাতীয় চেতনার প্রতীক: উপদেষ্টা আসিফ

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে জয়ে শুরু বাংলাদেশের

থাইল্যান্ড টস জিতে রেইড বেছে নেয়। থানিয়ালাক বেনরিথ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে শুরু করেন। দ্বিতীয় রেইড থেকে শ্রাবণী মল্লিক বাংলাদেশকে প্রথম পয়েন্ট এনে দেন। ওটা ছিল বোনাস পয়েন্ট। পরের রেইডে শ্রাবণী একজনকে আউট করেন। শুরু থেকে এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন মেইবি চাকমা। ম্যাচ চলতে থাকে সমান তালে। রেখা আক্তারি ট্যাকল করতে গিয়ে পয়েন্ট দেন, ফিরতি রেইড থেকে পয়েন্ট নিয়ে আসেন বৃষ্টি বিশ্বাস। নবম মিনিটে ইনজুরি নিয়ে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশি রেইডার শ্রাবণী মল্লিক। ১১-১১ সমতা থেকে বৃষ্টি এক রেইডে দুইজনকে আউট করেন, লিড পায় বাংলাদেশ। ১৪-১২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।

বিরতির পর দ্রুতই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে বাংলাদেশ, এগিয়ে যায় ১৮-১৩ পয়েন্টে। সময়ের সঙ্গে অধিপত্য বাড়তে থাকে বাংলাদেশের। এই সময় রেইড এবং ট্যাকল; দুই বিভাগেই দারুণ নৈপুণ্য দেখায় লাল-সবুজরা। দ্বিতীয়বারের মতো থাইল্যান্ডকে অলআউট করে ৩১-১৮ পয়েন্টে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষদিকে থাইল্যান্ড মরিয়া হয়ে লড়াই করেছে বটে, তা হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে। ৪০-৩১ পয়েন্টের জয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো পদক নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারী কাবাডি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখল ভারত
  • ১৫ বছর পর ঘরের মাঠে ফলোঅনে ভারত
  • বীমা আইন ২০১০: সঠিক প্রয়োগ হলে বীমা খাতের উন্নয়ন সম্ভব
  • দুই দিনে ১৪১.১ ওভারে শেষ অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট
  • নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ, নিশ্চিত প্রথম পদক