শাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি ছাত্র ইউনিয়নের
Published: 24th, November 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ভোটার তালিকা থেকে শিক্ষাজীবন শেষ হওয়া তিন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বাদ দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সংগঠক নাজনীন লিজা বলেন, ‘খসড়া ভোটার তালিকা যদি দেখেন, দেখবেন ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদেরও সেই তালিকা রাখা হয়েছে। একটি শিক্ষাবর্ষের এক হাজার করে যদি ছাত্র বের হয়ে যান, তাহলে তিনটি শিক্ষাবর্ষের ইতিমধ্যে ছাত্রজীবন শেষ করে পেশাগত জীবনে পা দেওয়া তিন হাজার শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকায় রাখা হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে, অনেকে ঢাকামুখী ও নিজ নিজ এলাকামুখী হয়েছেন। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই বের হয়ে গেছেন এবং খুব কমসংখ্যাক শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর কিংবা থিসিস করছেন। আমাদের দাবি, থিসিস করা শিক্ষার্থীদের বর্তমান শিক্ষার্থী ধরেই ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা করা হোক এবং ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এই ভোটার তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হোক।’
এদিকে গতকাল রোববার বেলা ১১টায় শাকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ছাত্রদল, শিবির ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আলোচনা হয়। এতে ১৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরবর্তী সময় আগামী ২০ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই আলোচনা সভায় ছাত্র ইউনিয়নকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা নির্বাচন কমিশন ডাকেনি বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সংগঠক নাজনীন লিজা।
এ বিষয়ে শাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল মুকিত মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ বলেন, ‘ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপকে আমরা প্রথম দিকে ডেকেছিলাম। তখন যারা সাড়া দিয়েছিল, তাদের বিভিন্ন আলোচনায় ডাকা হচ্ছে। প্রথম দিকে আলোচনায় ছাত্র ইউনিয়নের কোনো সাড়া ছিল না। এ জন্য যাদের অংশগ্রহণ ছিল, ওই তালিকা অনুযায়ী আলোচনা সভায় ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’
তিন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় রাখার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা খসড়া ভোটার তালিকা দিয়েছি। এখন যাঁরা পাস করে বের হয়ে গেছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। যাঁরা বর্তমানে শিক্ষার্থী, তাঁদের রাখা হবে।’ চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় বিষয়টি সংশোধন করা হবে বলে জানান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ বর ষ র শ ক ষ র থ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
আট বছর পর আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধবলধোলাই
সিরিজ হার নিশ্চিত হওয়ার পরও শেষ ওয়ানডে ছিল মর্যাদা রক্ষার লড়াই। কিন্তু হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে সেই লড়াই টিকল মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তিন ম্যাচেই ব্যর্থতা আর ব্যাটিং বিপর্যয়ের রিপ্লে দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা উপহার দিল নিউ জিল্যান্ড।
প্রায় আট বছর আগে ২০১৭ সালে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল কিউইরা; ২০২৫ সালে এসে যেন পুনরায় সেই দুঃস্বপ্ন দেখল ক্যারিবীয়রা।
আরো পড়ুন:
জয়ের সুবাতাস পাচ্ছে বাংলাদেশ, তিন বছর পর মিরপুর টেস্ট পঞ্চম দিনে
২৪৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করল দ. আফ্রিকা
প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন থামল মাত্র ১৬১ রানে, তখন ম্যাচের চিত্রটা যেন একতরফাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবটা ছিল ভিন্ন। মাত্র ১৬২ রানের লক্ষ্যও নিউ জিল্যান্ডকে দিয়েছে একাধিক ধাক্কা।
১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে যখন ৩২/৩, তখন ম্যাচে উত্তেজনা জমে ওঠে। পরে টম লাথাম ও মার্ক চ্যাপম্যান জুটি বেঁধে পরিস্থিতি সামলে নেন। তাদের ৩৮ রানের জুটিতে কিছুটা স্বস্তি আসে। কিন্তু লাথাম (১০) আউট হতেই আবার চাপ ফিরে আসে।
চ্যাপম্যান তখনো লড়ে যাচ্ছেন। ইনিংসটিকে বড় করার প্রয়াসে ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি ৮ চার ও ২ ছক্কার মারমুখী ব্যাটিংয়ে। অন্য প্রান্তে মাইকেল ব্রেসওয়েল ৭৫ রানের দ্রুত জুটি গড়ে ম্যাচকে এগিয়ে নিয়ে যান।
তবু জয়ের ঠিক আগমুহূর্তে আবারও দোলাচল। মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে পড়ে যায় দুটি উইকেট; চ্যাপম্যান ও স্যান্টনার। শেষ পর্যন্ত জাকারি ফুলকস দায়িত্ব তুলে নেন। ৩১তম ওভারের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে সহজেই তুলে নেন জয়। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জেতে ৪ উইকেটে। তাও ১১৭ বল হাতে রেখে।
ব্যাটাররা যেখানে সংগ্রাম করেছেন, নিউ জিল্যান্ডের বোলাররা সেখানে ছিলেন শাসকের ভূমিকায়। ম্যাট হেনরি ৯.২ ওভারে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। জ্যাকব ডাফি ও মিচেল স্যান্টনার দুজনই ২টি করে উইকেট নেন। কাইল জেমিসন ও জাকারি ফুলকস নেন ১টি করে উইকেট। সিরিজজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে জেমিসন পেয়েছেন সিরিজসেরার স্বীকৃতি। তার মোট উইকেট ৭টি।
তার আগে ক্যারিবীয় ব্যাটিং ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ব্যাটারদের আত্মসমর্পণই মূলত হার ডেকে এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। মাত্র ৩৬.২ ওভার টিকতে পারে দলটি। রস্টন চেজ করেছেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রান। বাকি কেউই দাঁড়াতে পারেননি নিউ জিল্যান্ডের পেস-স্পিন আক্রমণের সামনে। অধিনায়ক শাই হোপও থেমেছেন ১৬ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কিউইদের হাতে ধবলধোলাই নতুন কিছু নয়। ২০০০ সালে ৫-০, ২০১৭ সালে ৩-০ এবং ২০২৫ সালে আবারও ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো তারা।
ঢাকা/আমিনুল