নাটোরে প্রিপেইড মিটার বাতিল, অতিরিক্ত বিল আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে ‘জেলার সর্বস্তরের জনগণ ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে’ নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) অফিস ঘেরাও করা হয়েছে। শহরের আলাইপুরে নেসকো অফিসের সামনে আজ সোমবার দুপুরে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি রাত সাড়ে নয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চলছিল।

কর্মসূচি পালনের সময় আন্দোলনকারীরা নেসকো কার্যালয়ের সামনে গণ খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করেন। একই সঙ্গে তাঁরা সড়কে ক্রিকেটও খেলছেন। এতে সড়কে যান চলাচল আংশিক বিঘ্নিত হচ্ছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, প্রিপেইড মিটারের ভোগান্তি, দুর্নীতি ও অতিরিক্ত বিল বন্ধের দাবিতে তাঁরা সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নেসকো অফিস চত্বরে জড়ো হন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নেসকোর বিভিন্ন অনিয়ম, অস্বচ্ছ বিলিং, অতিরিক্ত চার্জ আরোপসহ প্রিপেইড মিটারের নানা সমস্যা রয়েছে। এর আগেও তাঁরা এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সমাধান চাইলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই এবার তাঁরা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (সার্বিক) প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা নেসকো কার্যালয়ে যান এবং আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা আশ্বস্ত হননি। আন্দোলনের মধ্যেও নেসকো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের ভেতরে জরুরি কাজ সম্পন্ন করেছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুস সামাদ বলেন, জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষার জন্য এ আন্দোলন। তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। এতে শহরের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এর আগেও গ্রাহকেরা একবার একই দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু নেসকো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভুক্তভোগীরা আবার আন্দোলন করছেন। তবে আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। আমরা চাই, তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাউলদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল

মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পীদের ওপর হামলার বিচার ও বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল ও প্রতিবাদী গান হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যার পর গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী পৃথকভাবে এ আয়োজন করেন।

সন্ধ্যার পর গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে একটি মশালমিছিল বের করা হয়। টিএসসি চত্বর, উপাচার্যের বাসভবন, কলাভবন ও শাহবাগ ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য হেমা চাকমা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান।

ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান বলেন, তারা (সরকার) প্রত্যেকটি মানুষের নিরাপত্তাবোধ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। যত রকমের মবতন্ত্র হয়েছে, প্রতিটির ব্যর্থতা মূলত সরকারের।

এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘সমাজ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য আছে। আমরা জেলায় জেলায়, পাড়ায় পাড়ায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে চাই।’

এ সময় সবার উদ্দেশে সায়ান বলেন, বাংলাদেশকে কখনো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সরকারের হাতে ছেড়ে দেবেন না। সব সময় নিজেরা সজাগ থাকবেন। বাংলাদেশকে সব সময় বাংলাদেশের মানুষেরা রক্ষা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে যত আন্দোলন হয়েছে ছাত্র–জনতা করেছেন।

টিএসসির পায়রা চত্বরে আয়োজন করা হয় ‘প্রতিবাদী বাউল সন্ধ্যা’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ঢাকা, ২৪ নভেম্বর

সম্পর্কিত নিবন্ধ