ভূমিকম্প–ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক
Published: 24th, November 2025 GMT
ভূমিকম্প–ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ–সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বৈঠকে ভূমিকম্পের ঝুঁকি, প্রস্তুতি, সমন্বয় ও দ্রুত সাড়া প্রদান নিশ্চিত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।
গত শুক্র (২১ নভেম্বর) ও শনিবার (২২ নভেম্বর) প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
শুক্রবারের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এতে কেঁপে ওঠে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়া, ভবন হেলে যাওয়া ও ফাটল সৃষ্টি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি—৫ জনের মৃত্যু হয় নরসিংদীতে; ঢাকায় মারা যান ৪ জন এবং নারায়ণগঞ্জে ১ জন।
পরের তিনটি ভূমিকম্প তুলনামূলক মৃদু ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভূমিকম্পগুলো বড় মাত্রার ভূমিকম্পের বার্তা দিচ্ছে। তাই যথাযাথ প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অবহেলার সময় নেই।
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), বিমসটেক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও ফ্রান্স দূতাবাসের মতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারে ৭৭ নম্বর পিলারে ফাটলের চি
শুক্রবার সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে পঞ্চপটিক টু মুক্তারপুর নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার দ্বিতল সড়কের ৭৭ নম্বর পিলারের উপরের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুর মুন্সিবাড়ি এলাকার স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, ভূমিকম্পের আগে পিলারটি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ভূমিকম্পের পরপরই উপরের অংশে স্পষ্ট ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে পিলারের নিচের অংশ একেবারেই অক্ষত।
এ বিষয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে ফ্লাইওভারের কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক জানান, ভূমিকম্পের আগ পর্যন্ত পিলারটিতে ফাটলের কোনো চিহ্ন ছিল না।
ফাটলটি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং দ্রুত মেরামতের প্রয়োজন আছে কি না এ নিয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর একনেক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
প্রকল্পটি জিওবি এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সড়ক ও ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাতায়াত করেন। এমন অবস্থায় সাধারণ পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো রায়হান কবির জানান, পিলারের ব্লকে ফাটল দেখা যাওয়ার বিষয় আমি সংশ্লিষ্টদের জানাচ্ছি এবং বিষয়টি যাচাই করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে এবং সাধারণ মানুষের ঝুঁকি না থাকে।