বগুড়ায় রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে নাশকতার চেষ্টা
Published: 13th, November 2025 GMT
বগুড়ায় রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে, কোনো দুর্ঘটনার আগেই তা মেরামত করা হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সুখানপুকুর ও সৈয়দ আহমদ কলেজের মাঝামাঝি নতুন পাড়া এলাকায় রেললাইনে এ নাশকতার চেষ্টা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে এটি দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে রেলের কর্মীরা সেগুলো পুনঃস্থাপন করলে স্বাভাবিকভাবেই ট্রেন চলাচল করে।
রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণ দলের সদস্যদের নজরে আসে যে, লাইনের দুটি ফিশপ্লেট খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গেই রেলকর্মীরা দ্রুত ফিশপ্লেটগুলো পুনঃস্থাপন করেন। ফলে, ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই রেল যোগাযোগ সচল রাখা সম্ভব হয়।
তিনি আরো বলেন, নাশকতার জন্য এটি ইচ্ছেকৃতভাবে করা হয়েছিল। অল্পের জন্য বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। বর্তমানে বগুড়া স্টেশনসহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে রেলওয়ে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। রেললাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
ঢাকা/এনাম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শকত র ল ইন র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে আওয়ামীলীগ ও প্রজন্মলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃতরা হলো বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ লতিফ হাজী মোড় এলাকার আব্দুল মালেক খলিফা মিয়ার ছেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর প্রজন্মলীগের সভাপতি রাতুল হাসান (২৮) ও একই থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকার মৃত মনসুর আলী মিয়ার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা শাহীন (৫০)।
ধৃতদের বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(১১)২৫ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার নবীগঞ্জস্থ লতিফ হাজী মোড় ও একই দিন রাতে বন্দর উপজেলার বুরুন্দী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা মেগাসিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে জড়ো হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠন ৫০/৫৫ জনের একটি দল।
পরে তারা শেখ হাসিনা ও অয়ন ওসমানের ব্যানারে একটি ঝটিকা মশাল মিছিল বের করলে তা পুলিশের নজরে আসলে ওই সময় পুলিশ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেল যোগে বি়ভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে দ্রুত ঢাকা দিকে চলে যায়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে প্রজন্মলীগের সভাপতি রাতুল হাসান ও আওয়ামীলীগ নেতা শাহীনকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয় ।