রাজধানীর জুরাইনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পাপ্পু শেখ (২৬) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জুরাইন এলাকার মিষ্টির গলিতে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩ 

গোপালগঞ্জে ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, গৃহবধূ নিহত

জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা পাপ্পুর বাম পায়ের উরুতে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সোয়া ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.

ফারুক জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহতের পিতা মন্টু শেখ বলেন, “আমার ছেলে পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। জুরাইন গ্যাস পাম্প রোড আশরাফ মাস্টার আদর্শ স্কুলের সামনে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ছেলের বাম পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। কী কারণে ছেলেকে গুলি করেছে এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তবে কয়েক দিন আগে আমার ছেলের সাথে ঝগড়া হয়েছিল।”

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে বিউটি পার্লার থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার

কক্সবাজার শহরের একটি বিউটি পার্লার থেকে নাদিয়া ইসলাম ঝিমি (২৪) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কে ‘ঝিমি’স মেকওভার অ্যান্ড বিউটি সেলুন’ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নাদিয়া ইসলাম ঝিমি শহরের বাহারছড়া এলাকার জাফর আলমের মেয়ে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াছ খান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

খুলনায় নারী পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৩ দিন পর পুকুরে মিলল নিখোঁজ যুবকের মরদেহ

পারিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় এক বছর আগে নাদিয়া জানতে পারেন, তার স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এরপর অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি।

রবিবার বেলা ৩টার দিকে পার্লারে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন নাদিয়া। রাতে কাজের কথা বলেই পার্লারে থেকে যান। তবে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় তার। কিন্তু, সোমবার সকালে থেকে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। একাধিকবার কল করলেও রিসিভ না করায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে পার্লারে যান।

এ সময় পার্লারের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তবে, কোনো সাড়াশব্দ পাননি। জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে নাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি ইলিয়াছ খান বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ