বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে রনী (২৪) নামে ছাত্রলীগের এক সক্রিয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত ছাত্রলীগ কর্মী রনী বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার মৃত হাফিজুল হকের ছেলে।

ধৃতকে  সোমবার   (১ ডিসেম্বর)  দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(১১)২৫ নং মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে  আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার   (৩০ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় বন্দর থানার  ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা মেগাসিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে জড়ো হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠন ৫০/৫৫ জনের একটি দল।

পরে তারা শেখ হাসিনা ও অয়ন ওসমানের ব্যানারে একটি ঝটিকা মশাল মিছিল বের করলে তা পুলিশের নজরে আসলে ওই সময় পুলিশ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেল যোগে বি়ভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে দ্রুত  ঢাকা দিকে চলে যায়।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী রনীকে  গ্রেপ্তার করে ওই মামলায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শাহজালাল বিমানবন্দরে ৯০টি আইফোনসহ ১০২ স্মার্টফোন জব্দ, আটক ৪

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চার নারী যাত্রীর কাছ থেকে ১০২টি স্মার্টফোন জব্দ করেছে কাস্টমস। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে অভিযান চালিয়ে এসব স্মার্টফোন জব্দ করা হয়। এ সময় ওই যাত্রীদেরও আটক করা হয়।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস ও এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা যৌথভাবে ফ্লাইটটির সব যাত্রীকে বিশেষ নজরদারিতে রাখেন। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় ওই চার নারীকে সন্দেহ হলে তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের শরীরে লুকানো অবস্থায় ৯০টি আইফোন ও ১২টি গুগল পিক্সেল মুঠোফোন পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীরা মুঠোফোনগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে না পারায় কাস্টমস ফোনসেটগুলো জব্দ করে। কাস্টমসের হিসাব অনুযায়ী, জব্দ করা ফোনগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ওই যাত্রীরা চট্টগ্রাম থেকে উড়োজাহাজে ঢাকায় এসেছিলেন।

সম্প্রতি নজরদারি বাড়ানোয় চোরাকারবারিরা কৌশল বদলে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসা ফ্লাইটগুলোকে ব্যবহার করছে। পাচারকারীরা উড়োজাহাজের ভেতরেই চট্টগ্রাম থেকে ওঠা সহযোগীদের কাছে স্বর্ণ বা মোবাইল ফোন হস্তান্তর করে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে বিভিন্ন সময়ে সোনা, মুঠোফোন ও সিগারেট পাচারের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও শারজাহ থেকে আসা ফ্লাইটে এ ধরনের কার্যক্রম বেশি দেখা যায়। সম্প্রতি নজরদারি বাড়ানোয় চোরাকারবারিরা কৌশল বদলে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসা ফ্লাইটগুলোকে ব্যবহার করছে। পাচারকারীরা উড়োজাহাজের ভেতরেই চট্টগ্রাম থেকে ওঠা সহযোগীদের কাছে স্বর্ণ বা মুঠোফোন হস্তান্তর করে থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ