বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দৃঢ়তার কারণে বাংলাদেশ আরও আগে ‘ভারতের দখলে’ চলে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সাক্ষী দিতে পারি, বেগম জিয়া একান্তভাবেই একজন দেশপ্রেমিক নেত্রী ছিলেন, গণতান্ত্রিক নেত্রী ছিলেন। বিগত ১৫ বছর দেশটা যেভাবে ভারতীয় দখলে গিয়েছিল, তার অনেক আগেই চলে যেতে পারত। ওনার আপসহীন রাজনীতি ও দৃঢ়তার কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।’

হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা শেষে আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী এস এম খালিদুজ্জামানসহ অন্য নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ চলে গেছেন।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আজকে উনি (খালেদা জিয়া) কোনো দলের নেত্রী নন। উনি সমগ্র মানুষের নেত্রী। ওনার প্রতি আবেগ–ভালোবাসা আমাদের আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আরোগ্য কামনা করছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অনেক প্রোগ্রাম দিয়েছি। আমি আবারও জামায়াতের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে ওনার সুস্থতা কামনা করছি।’

আগামী নির্বাচনের জন্য বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে আরও বেশি ঐক্য প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসী এবং রাজনৈতিক দল সবার প্রতি আহ্বান জানাব, আমরা আগামী দিনে আরও অনেক ধৈর্যের সাথে, প্রজ্ঞার সাথে দেশকে প্রাধান্য দিয়ে যেন আমাদের কর্তব্য নির্ধারণ করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন।’

নিজের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, তাঁর হার্টে ‘ব্লক’ ছিল। চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। ব্লক অপসারণের জন্য স্টেন্টিং করা হয়েছে। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ অবস্থায় বাসায় যাচ্ছেন। তবে চিকিৎসকেরা বলেছেন, আরও কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে বিউটি পার্লার থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার

কক্সবাজার শহরের একটি বিউটি পার্লার থেকে নাদিয়া ইসলাম ঝিমি (২৪) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কে ‘ঝিমি’স মেকওভার অ্যান্ড বিউটি সেলুন’ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নাদিয়া ইসলাম ঝিমি শহরের বাহারছড়া এলাকার জাফর আলমের মেয়ে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াছ খান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

খুলনায় নারী পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৩ দিন পর পুকুরে মিলল নিখোঁজ যুবকের মরদেহ

পারিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় এক বছর আগে নাদিয়া জানতে পারেন, তার স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এরপর অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি।

রবিবার বেলা ৩টার দিকে পার্লারে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন নাদিয়া। রাতে কাজের কথা বলেই পার্লারে থেকে যান। তবে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় তার। কিন্তু, সোমবার সকালে থেকে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। একাধিকবার কল করলেও রিসিভ না করায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে পার্লারে যান।

এ সময় পার্লারের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তবে, কোনো সাড়াশব্দ পাননি। জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে নাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি ইলিয়াছ খান বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ