কুষ্টিয়ায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৩০
Published: 12th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দলের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান।
এলাকাবাসী জানান, বুড়াপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও স্থানীয় বিএনপির নেতা তাদের নাম বিদ্যালয়ে জমা দেন। এরপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ বিকেলে দুই দলের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। তারা মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
মুকসুদপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২ পক্ষের মামলা, সংবাদ সম্মেলন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক স্থানীয় জামায়াতের এক নেতা বলেন, “ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল সভাপতি হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে তার নাম জমা দেন। স্থানীয় বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসির তার নাম (জামায়াত নেতা) তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। আজ বিকেলে জামায়াতের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিএনপির সঙ্গে মীমাংসার জন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসিরের নেতৃত্বে হামলা হয়। এতে জামায়াতের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।”
জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম বলেন, “বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য জামায়াতের নেতারা প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। স্থানীয় বিএনপি নেতারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। বিএনপির নেতারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে দোষীদের আটক করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বানকে তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, “মিরপুরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাওয়াকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
সম্পর্কিত বিষয়:
সংঘর্ষ বিএনপি জামায়াত আহত অভিযোগrisingbd.
com
সর্বশেষ
পাঠকপ্রিয়
নির্বাহী সম্পাদক: তাপস রায়
প্রকাশক: এস এম জাহিদ হাসান
ঠিকানা: ১৯৮-১৯৯, মাজার রোড,
মিরপুর-১, ঢাকা ১২১৬
একটি স্কাইরুট মিডিয়া লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান
টেলিফোন: +৮৮-০১৬৭৮০২৮১৩৬
মার্কেটিং : +৮৮-০১৬৮৬৬৯৩৫৪৯
+৮৮-০১৬৮৬৬৯০২৬৬
ইমেল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.risingbd.com কর্তৃক সংরক্ষিত
আমরা | গোপনীয়তা নীতি | যোগাযোগশিরোনাম
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
বাজারে শীতকালীন সবজি পুরোদমে আসলে দাম কমেছে না। বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর নিউমার্কেট কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে এখন শীতকালীন সবজি পুরোদমে চলছে আসছে। কিন্তু দাম কমছে না। এর অন্যতম কারণ পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুন:
সবজির দাম বেড়েছে, কমেছে মাছের
কারওয়ান বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে চাই: ক্যাব সভাপতি
এখন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। সিম ১০০ থেকে ১১০ টাকা, দেশি শশা ৯০ থেকে ১০০টাকা, করলা ১০০ টাকা, গাজর (দেশি) ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচমরিচ ১৫০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং প্রতি পিস জালি কুমড়া ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কমেছে মুরগির দাম
বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকায়।
স্বাভাবিক মাছের দাম
মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে চাষের মাছের সরবরাহ বাড়ার কারণে কিছু কিছু মাছের দাম কমেছে। বিক্রেতাদের দাবি সামনে আরো মাছের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সপ্তাহে বাজারে মাঝারি আকারের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। চাষের পাঙাস আকার অনুযায়ী কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, মাঝারি আকারের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি আকারের কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ও ইলিশ ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ১২০০ থেকে ১৩০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। রসুন (দেশি) ১০০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা যা বললেন
রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারের কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাকিব হাসান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখনো যদি কাঁচা সবজির দাম এত বেশি থাকে তাহলে আর দাম কবে কমবে। গত বছর এই সময়ে সবজির দাম অনেক কম ছিল। এখনই সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।”
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আখতারুজ্জামান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আমরাও বুঝতে পারছি না এ বছর এই সময়ে এসে দাম এত বাড়তি কেন? দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে আশা করছি আগামী মাসে কাঁচা সবজির দাম কমে আসবে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ