রিয়ালকে উড়িয়ে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন
Published: 13th, January 2025 GMT
এ যেন ঠিক মৌচাকে ঢিল ছোড়ার মতো। রোববার দিবাগত রাতে জেদ্দার কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে স্প্যানিশ সুপার কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। তিনি যেন মৌচাকে ঢিল ছুড়লেন। এরপর বার্সা একের পর এক রিয়ালকে হুল ফোটাল। প্রথমার্ধেই চার-চারবার রিয়ালের জালে বল জড়াল। ছিটকে দিলো শিরোপা জয়ের সম্ভাবনার দুয়ার থেকে।
শেষ পর্যন্ত রিয়ালকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কোপার রেকর্ড ১৫তম শিরোপা ঘরে তোলে কাতালানরা। অন্যদিকে শিরোপা জয়ে বার্সেলোনাকে ছোঁয়ার সুযোগ হারিয়ে আরও একবার রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো রিয়ালকে।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যাওয়া রিয়ালকে ২২ মিনিটে সমতায় আনেন বার্সার উদীয়মান তারকা লামিনে ইয়ামাল। দারুণ দক্ষতায় ডি বক্সে ঢুকে গোল করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
ফাইনালে রিয়াল, মুখোমুখি বার্সার
দাপুটে জয়ে শেষ ষোলোতে রিয়াল
৩৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় বার্সা। আর পেনাল্টি থেকে রবার্ট লেভানডোভস্কির গোলে এগিয়ে যায় তারা। ৩৯ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো লম্বা ক্রসে হেড নিয়ে রাফিনহা গোল পেলে ব্যবধান বেড়ে হয় ৩-১! বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে (৪৫+১০) আলেজান্দ্রো বালদে গোল করলে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় হানসি ফ্লিকের শিষ্যরা।
বিরতি থেকে ফিরেই রাফিনহা তার জোড়া গোল পূর্ণ করেন। তাতে বার্সেলোনা এগিয়ে যায় ৫-১ গোলে। অবশ্য একটু পরই দশজনের দলে পরিণত হয় বার্সা। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে গোলরক্ষক ওজসিয়েচ সাজেসনি লাল কার্ড দেখেন।
৬০ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পায় রিয়াল। ফ্রি কিক থেকে রদ্রিগো গোল করে ব্যবধান কমান (৫-২)। বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল শোধ দিতে পারেনি রিয়াল। আর বার্সাও পারেনি ব্যবধান বাড়াতে। তাতে ৫-২ গোলে রিয়ালকে উড়িয়ে আরও একটি সুপার কোপার শিরোপা শোকেসে তোলে বার্সেলোনা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।
দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেন, রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চাল ও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাল–তেলের দাম বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাহলে জনগণ এখন তাদের এমন ভোগান্তির কথা কার কাছে, কোথায় কীভাবে বলবে?
নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঢাকা, ১ মে