রাজধানীর হাজারীবাগের কালুনগর এলাকায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে রওশন আরা (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ

ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিহতের মেয়ে রুনা আক্তার জানান, দুই বছর আগে তার স্বামী আমিনুর রহমান ও আব্দুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি যৌথভাবে কালুনগরের সাড়ে ১৮ শতক জমি কেনেন। কিছুদিন পর থেকেই রশীদ ওই জমির পুরোটা দখল করতে চান। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

তিনি আরো জানান, ঘটনার রাতে তিনি ও তার স্বামী বাসায় ছিলেন না। এই সুযোগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রশীদের নেতৃত্বে ৫-৬ জন তাদের বাড়িতে ঢুকে রড ও লাঠি দিয়ে তার মা রওশন আরা, ভাই লিটন (৪০) ও ১০ বছরের ছেলে রোহানকে মারধর করে।

পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেকে নেওয়া হলে চিকিৎসক রওশন আরাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত লিটন ও রোহান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সাইফুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে বিরোধ ও পারিবারিক কলহের জেরে এক বৃদ্ধার মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • হাজারীবাগে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫