2025-11-02@20:05:16 GMT
إجمالي نتائج البحث: 293

«ম সলম ন র»:

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়। যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই। তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।   সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে। যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে...
    খুলনায় ইমাম সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, ‘‘মসজিদভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম এবং সমাজ থেকে সকল জুলুম উৎখাত করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা রাখতে হবে।’’  শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা’ শীর্ষক ইমাম সম্মেলনে বক্তারা এ সব কথা বলেন। খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ এ সম্মেলনের আয়োজন করে।  আরো পড়ুন: জামায়াত ইস‌্যু‌তে বক্তব‌্য হেফাজ‌তের নয়, বাবুনগরীর ব্যক্তিগত: মামুনুল হক যারা শিবিরের বিরোধিতা করেছিল, তারা আজ ইতিহাস: শিবির সভাপতি সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘‘সমাজ থেকে জুলুম উৎখাত ও ন্যায়বিচার কায়েম করতে হলে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী কাজ করে সমাজে পরিবর্তন আনতে হবে।’’  বক্তারা আরো বলেন, ‘‘মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রতিটি এলাকা তৈরি করতে পারলে এবং এলাকার সকল মুসলমান নামাজি হলে...
    অনেক পরিচয় বহন করেন আহমদ রফিক। মেধাবী ছাত্র। পড়েছেন মেডিকেল কলেজে। কিন্তু পেশা হিসেবে চিকিৎসাকে বেছে নেননি তিনি। জড়িয়ে পড়েন ভাষা আন্দোলনে। পাকিস্তানের রুদ্ধ সময়ে বাঙালির চেতনাকে শাণিত করার প্রয়াসে নিয়েছেন নানা উদ্যোগ। তবে সাহিত্য থেকে তিনি কখনও বিচ্ছিন্ন হননি। ষাটের দশকের বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ‘নাগরিক’ তিনি সম্পাদনা করেছেন। লিখেছেন কবিতা, গল্প এবং অসংখ্য প্রবন্ধ। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামও আহমদ রফিকের ধ্যানের সারথী। সবকিছু ছাড়িয়ে গত কয়েক দশক জুড়ে তিনি রবীন্দ্র গবেষণায় মগ্ন ছিলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তিনি পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতৃস্থানীয় নেতা। এবং সেই থেকে আহমদ রফিক বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতির অবিসংবাদিত ‘মহাজন’।  ‘মহাজন’ শব্দটা আহমদ রফিকের সঙ্গে যায় না। কারণ ‘মহাজন’ সামন্ততান্ত্রিক শব্দ। কিন্তু এই মুহূর্তে এর চেয়ে জুতসই শব্দ পাচ্ছি না। মহাজনই তিনি, বাংলা...
    পৃথিবীর পণ্ডিতদের মতে, আরবি ভাষার ‘আলিফ লায়লা’, বাংলায় ‘সহস্র এক আরব্য রজনী’ নামক আশ্চর্য উপন্যাসের কিস্‌সাগুলো প্রাচীনকালের। তবে সামগ্রিক রূপটি গড়ে উঠেছে মধ্যযুগের বারো থেকে ষোলো শতকের মধ্যে। সময়টা ছিল আবার সারা দুনিয়ার রোমান্সমূলক আখ্যানের জন্মের কাল। আর পণ্ডিতদের কথা অনুযায়ী আরব্য রোমান্সগুলো গড়ে উঠতে প্রায় আট শ বছর সময় লেগেছিল এবং বিগত তিন শ বছর ধরে পশ্চিম দুনিয়া জয় করে বিশ্বসাহিত্যে ক্ল্যাসিক সৃষ্টি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।সবাই স্বীকার করে নিয়েছেন যে বিষয়বস্তুর দিক থেকে এত বিচিত্র কাহিনির সমাহার পৃথিবীর আর কোনো সাহিত্যে নেই। বিচিত্র সব জীবজন্তু, কৌতুক-কাহিনি, বাদশাহি বিষয়, অদৃষ্টের লীলা, ইসলাম ধর্মের খুঁটিনাটি ও বিশদ মহিমা, অভিযাত্রা, প্রেম-লালসা-স্বপ্ন প্রভৃতির সঙ্গে এতে রয়েছে বাস্তব জীবনেরও নানা বিষয়। মানুষের মূঢ়তা-মূর্খতা, দয়াদক্ষিণা, ইন্দ্রিয় রতি, নীতি-দুর্নীতি, ছলনা-প্রতারণা, আশা-নিরাশা, অভাব-অভিযোগ, মিথ্যাচার-ধূর্ততা, খুনখারাবি, উপকার-প্রত্যুপকার...
    আজকের ভারতের প্রতিটি সকাল শুরু হয় দুটি সমান্তরাল সংবাদচক্র দিয়ে। একটি হলো টেলিভিশনের পর্দায় প্রচারিত এবং সযত্নে সাজানো বিতর্কসভা, যেখানে পাকিস্তানবিরোধিতা, ‘হিন্দু গৌরব’ ও  ‘নতুন ভারত’-এর নাট্যশৈলী নিয়ে আলোচনা হয়। অন্যটি প্রচারিত হয় না, কিন্তু বাস্তব; প্রতিদিনের মুসলমান নিপীড়ন, পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার, অপমান ও অমানবিকীকরণ।এই দুইয়ের মাঝখানে লুকিয়ে আছে এক ভয়াবহ বার্তা: মুসলমানদের কষ্ট, হয় মুছে ফেলা হয়, নয়তো তা রূপ নেয় এক প্রদর্শনীতে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য হয়ে ওঠে সন্ধ্যার বিনোদন; মুসলমানরা বাধ্য হয় এমন এক জীবনে, যেখানে তারা যেন চিরকালীন অপরাধী—সব সময় অভিযুক্ত, কখনো শোনা যায় না তাদের কথা।এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আজমগড়ে সাত বছর বয়সী এক মুসলিম শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল। স্থানীয় সংবাদে এক ঝলকের মতো খবরটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু খুব দ্রুতই তা টিভির ‘প্রাইম টাইম’ থেকে হারিয়ে...
    লোককবি ফকির লালন শাহকে (?-১৮৯০) ঘিরে রয়েছে অসংখ্য রহস্য। এই রহস্যগুলোর ব্যাখ্যা খোঁজা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক গভীর স্তরকে উন্মোচন করা। এমনকি লালনের জন্মপরিচয়ও রহস্যে আচ্ছন্ন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকেই পণ্ডিতেরা বিতর্ক করে আসছেন—লালন কি হিন্দু পরিবারে জন্মেছিলেন, নাকি মুসলমান পরিবারে? ১৮৯৫ সালে অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় লালন সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘লালনের ধর্ম্মমত অতি সরল ও উদার ছিল। তিনি জাতিভেদ মানিতেন না, হিন্দু–মুসলমানকে সমভাবে দেখিতেন এবং শিষ্যদিগের মধ্যে হিন্দু–মুসলমান সকল জাতিকেই গ্রহণ করিতেন। লালন হিন্দু নাম, সা উপাধি মুসলমানজাতীয়। সুতরাং অনেকেই তাহাকে জাতির কথা জিজ্ঞাসা করিত। তিনি কোনো উত্তর না দিয়া কেবল স্বপ্রণীত নিম্নলিখিত গানটি শুনাইতেন:সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে?লালন বলে জাতের কী রূপ দেখলাম না এই নজরে।’এই অংশ ইঙ্গিত করে যে লালনের জন্মপরিচয় নিয়ে অনেকের কৌতূহল ছিল এবং...
    জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘অনেকে বলে জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি বলেছি দোয়া করতেছি এরা যেন ঢুকে পড়ে। তখন আমাদের ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।’ (‘আমাদের ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে: তাহের’, দেশ রূপান্তর অনলাইন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫)এ যুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে তিনি (তাহের) ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ অর্থাৎ হাদিসে বর্ণিত ‘হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সর্বশেষ যুদ্ধের’ প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এ ধরনের নতুন নতুন বয়ান দেখা যাচ্ছে। এ কথাগুলো অনেকের কাছে শুধু ধর্মীয় আলোচনা মনে হতে পারে। কিন্তু এগুলোর গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। প্রশ্ন হলো, ধর্মীয় রেফারেন্স ব্যবহার করে এসব রাজনৈতিক বক্তব্যের উদ্দেশ্য ও ফলাফল কী হতে পারে?‘মালহামা আল-কুবরা’:...
    স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ৫০ বছরের বেশি সময় আমরা পার করে এসেছি। এই সময়ে আমাদের চেনা পৃথিবী পাল্টে গেছে বিপুলভাবে। বিশেষভাবে যদি বিবেচনায় নিই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের গতিপথ, তবে পরিবর্তন মনে হবে অবিশ্বাস্য, প্রায় যেন শ্বাসরুদ্ধকর। বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ত্বরিত জন্ম দিচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তির এবং প্রযুক্তি পাল্টে দিচ্ছে মানুষের জীবন। বিজ্ঞানের কল্যাণে উৎপাদনশীলতা বেড়ে গেছে বহুগুণ। এত বিপুল সম্পদ মানবসভ্যতা অতীতে আর কখনো উৎপাদন করেনি। সম্পদের বাহুল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ভোগ ও অপচয়ের মাত্রা। তবে একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতা ‘উন্নত’ হিসেবে গণ্য হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধা ও সংশয় ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের, ধর্মের সঙ্গে ধর্মের, সমাজের সঙ্গে সমাজের এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের দ্বন্দ্ব–সংঘাত, অবিশ্বাস, ঘৃণা ও সহিংসতা ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে। এসব সংঘাতের পেছনে নানা কারণ সক্রিয়...
    মানবজীবনে সুস্বাস্থ্য কেবল দেহের নয়, আত্মা ও মন—সবকিছুর ভারসাম্য নিশ্চিত করারও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কুরআন ও হাদিসে বারবার দেহ ও আত্মার স্বাস্থ্যকে আল্লাহর অমূল্য নিয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।মহানবী (স.)-এর জীবন ও শিক্ষার মধ্যে সুস্থতা ও রোগমুক্তি সংক্রান্ত অসাধারণ নির্দেশনা পাওয়া যায়।নবীজির শারীরিক দুর্বলতা ও জিবরাইলের আগমন ঐতিহাসিক গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত আছে, একবার নবীজি (স.) কিছুদিন শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেছিলেন। সেই সময় ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এসে তাঁর কাছে উপস্থিত হন এবং দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখান—১. আরোগ্যের দোয়া (রুকইয়াহ)২. প্রাকৃতিক ও শক্তিবর্ধক খাদ্য গ্রহণসহিহ হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (স.) যখন অসুস্থ হতেন, তখন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এসে তাঁকে আরোগ্যের দোয়া শিখিয়ে দিতেন এবং আল্লাহর অনুমতিতে শিফার দোয়া পাঠ করতেন।উচ্চারণ: “বিসমিল্লাহি উবরিক, মিন কুল্লি দা’ইন ইউশফিক, ও মিন শার্রি হাসিদিন ইযা হাসাদ, ও শার্রি...
    এবার স্বৈরাচারী কায়দায় ভোট কেন্দ্র দখল করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না। বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত (নারায়ণগঞ্জ-৩) সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের এমপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমার মতো অনেক ইকবালই ভোট চাইতে আসবে। কিন্তু ভোট দেয়ার আগে একবার বিবেক দিয়ে ভাবুন কাকে ভোট দিলে আমার আল্লাহ খুশি হবেন। কোন মার্কায় ভোট দিলে দূর্নীতি বন্ধ হবে, কোন দলকে ভোট দিলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, কোন নেতাকে ভোট দিলে দখলবাজি বন্ধ হবে। সাধারণ মানুষের উপর জুলুম ও অত্যাচার বন্ধ হবে।  বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সোনারগাঁয়ের শম্বপুরা ইউনিয়ন ও পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও, দূর্গাপ্রসাদ, কাজীর গাঁও, চৌধুরীগাঁও, তাতুয়াকান্দি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে কালে তিনি এসব কথা বলেন।  এসময় তিনি আরো...
    অধ্যাপক ক্লিন্টন বি সিলি ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর ইমেরিটাস অধ্যাপক, একজন গবেষক ও অনুবাদক। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ‘বরিশাল অ্যান্ড বিয়ন্ড’ ক্লিন্টন বি সিলির চৌদ্দটি প্রবন্ধের একটি সংকলন যেখানে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন সাহিত্যকর্মকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সমন্বিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।বইটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ইউপিএল থেকে। এই প্রকাশনাকে কেন্দ্র করে একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ইউপিএল, যেখানে লেখক ক্লিন্টন বি সিলিসহ আরও অনেকে অংশ নেন বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে।জুমের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্লিন্টন বি সিলি ও গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, কলকাতা থেকে পবিত্র সরকার, সিডনি থেকে সাইদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম ও ফারুক মঈনউদ্দীন। ইউপিএলের কর্ণধার মাহরুখ মহিউদ্দিনের স্বাগত উদ্বোধনী বক্তব্যের পর সঞ্চালনার দায়িত্ব নেন ড. নাজিয়া মনজুর। মুক্ত আলোচনা পর্বে...
    আলাউদ্দিন খাঁ সাহেব বরাবরই এক বিস্ময়কর মানুষ। এ কথা যেমন নিরেট সত্য, তেমনি এ কথাও সত্য যে তিনি একই সঙ্গে এক পরম সাধারণ মানুষ ছিলেন। খাঁ সাহেবের সংগীতের মূলে কোনো আভিজাত্য বা দূরত্ব ছিল না, প্রতিটি সুরের ভেতর দিয়ে ধ্বনিত হয়েছে মাটির গন্ধ, ক্ষুধার ইতিহাস, মানুষের ক্লান্তি ও আশ্বাসের শব্দ।আমি আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবকে চিনেছি আমার গুরুজির কাছ থেকে। সেদিন বিহাগের তালিম চলছিল। তালিমের একপর্যায়ে গুরুজি আমায় থামিয়ে বললেন, ‘তোকে একটা গল্প বলি। বাবা আলাউদ্দিন খাঁ বিহাগের বিনকারী শেষ করবেন, সম্ভবত ঝালা বাজাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁর চোখ দিয়ে জল বয়ে এল আর তিনি বললেন, “এত দিন পর গান্ধারটা লাগল!”’ সেই গল্প শুনে আমি বুঝেছিলাম আত্মসন্ধান, শ্বাসের আশ্বাসে গলার মধ্য দিয়ে উঠে আসা আত্মার ছবিও নেহাত।আলাউদ্দিন খাঁ কলোনিয়াল ভারতবর্ষে সেই সামন্ত সংগীতের শৃঙ্খল...
    ১৮৫৭ সালের ৪ জুন ভারতের আজমগড়ের বান্দলে জন্ম নেন দেওবন্দি মতাদর্শের প্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা শিবলি নোমানি (রহ.)। ১৮ নভেম্বর ১৯১৪ সালে তাঁর ইন্তেকাল হয়৷ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, সংক্ষিপ্ত ইসলামি বিশ্বকোষ: ২/৩৮৩–৩৮৪)এত সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি যে অসাধারণ কাজ করেছেন, তা বর্ণনাতীত। তিনি সর্বাঙ্গীণ প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন। সাহিত্য, ইতিহাস, জীবনী, গবেষণা–সমালোচনা এবং শিক্ষা ও ধর্ম প্রচার—যেকোনো ক্ষেত্রে তিনি যুগশ্রেষ্ঠ ছিলেন। তাঁর জ্ঞানচর্চা ও জাতীয় সেবা এর প্রমাণ। তিনি মুসলমানদের শিক্ষাকে অত্যন্ত জরুরি মনে করতেন।শিবলি নোমানি তাঁর যুগের মুসলমানদের শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা দেখে ভীষণ চিন্তিত ছিলেন। তাঁর রচনায় মুসলমানদের অতীত শিক্ষার মাধ্যমে তাদের সোনালি যুগের কৃতিত্ব স্মরণ করিয়ে দেন—কীভাবে তারা জ্ঞান ছড়িয়েছিল, কোন কোন বিদ্যা উদ্ভাবন করেছিল এবং কীভাবে তা উচ্চতায় পৌঁছেছিল। (বিপান চন্দ্র, হিস্ট্রি অব মডার্ন ইন্ডিয়া, পৃ. ৩২২–৩২৩)নারীর জন্য শিক্ষা সমগ্র...
    নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তারা দায়ীদের দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি ধর্ম অবমাননার জন্য সরকারের নিকট একটি পৃথক ও কঠোর আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান। সোমবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড, স্লোগান ও প্রাণবন্ত বাণী উপস্থাপন করেন। আরো পড়ুন: চার বছর ধরে বন্ধ দৃষ্টিহীনদের শিক্ষালয় ছুটি শেষে জাবি শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ফেরা নিশ্চিতে কন্ট্রোল রুম চালু তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র বায়তুল হক বলেন, “ইসলাম আমাদের আবেগের জায়গা। এখানে কেউ আঘাত করলে আমরা চুপ করে থাকব না। কুরআন শরীফ ও নবীর...
    নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে এবং অবমাননাকারীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীরা। কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি শুরু করেন। আরো পড়ুন: খুবিতে পূজার ছুটি বাড়ানোর দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন খুবির অধীনে মৎস্য বীজ খামার অন্তর্ভুক্তির দাবি মিছিলটি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার থেকে ফুলবাড়ি গেট হয়ে কুয়েট উডে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা- ‘শাহজালালের বাংলায়, ইসলাম বিদ্বেষের ঠাঁই নাই’, ‘মানসিক ভারসাম্যের কথা বলে, ইসলামে বিষ ঢালে’, ‘ইসলামের অপমান, সইবে নারে মুসলমান’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে...
    বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান (সোহেল) বলেছেন, যদি কখনো জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসে, তবে মুসলমান হতে হলে তাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে। আজ রোববার বিকেলে খুলনার তেরখাদা উপজেলার সরকারি ইখড়ি কাটেংগা ফজলুল হক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা যুবদল আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হাবিব উন নবী খান আরও বলেন, জামায়াত বিদেশি শক্তিকে খুশি করতে দলীয় লোগো পর্যন্ত পরিবর্তন করেছে। এভাবে চলতে থাকলে তারা একদিন হাফপ্যান্ট পরেও ঘুরবে।মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করিয়েছে, মা-বোনকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে, তারা জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে কী মুখে ভোট চায়?‘যুব সমাজের অঙ্গীকার, ফেরাতে হবে ভোটের অধিকার’ শিরোনামে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোল্লা হুমায়ুন কবীর।...
    ধর্ম বিক্রি করে জামায়াত রাজনীতি করছে অভি‌যোগ ক‌রে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ব‌লে‌ছেন, “ধূমপান যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ঠিক তেমনি জামায়াত ধর্মের জন্য ক্ষতিকর। তারা ধর্মকে রাজনৈতিক সুবিধার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ধর্ম বিক্রি করে তারা রাজনীতি করছে, যা ধর্ম ও সমাজ উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক।” শনিবার (৪ অক্টোবর) পল্লবীর প্যারিস রোডের শাহীন স্কুল প্রাঙ্গণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পল্লবী ও রূপনগর থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করে। আরো পড়ুন: ‘যারা দ্রুত নির্বাচন চায়, তাদের সঙ্গে ভারতের স্লোগান মিলে যায়’  পঞ্চগড়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতাসহ ৪১ জন জামায়াত সম্প‌র্কে সতর্ক থাকার আহ্বান...
    ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ এর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নৃশংস আক্রমণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)। তাদের দাবি ফিলিস্তিনের মানুষ কেবল মুসলমান বলেই আজ তাদের ওপর ইজরায়েল অমানবিক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ইউটিএলের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন। আরো পড়ুন: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ও ভাতা শতাংশ ভিত্তিতে বাড়ানোর প্রস্তাব শিক্ষকদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য, ছাত্রদল নেতার চারিত্রিক সনদ বাতিল মানববন্ধনের অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইনের সঞ্চলনায় ইউটিএলের সদস্য ড. মো. কামরুল হাসান  বলেন, “বিশ্ববিবেক আজ নিশ্চুপ রয়েছে। বিশ্ব সংস্থাগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী এগিয়ে আসছে না। গাজা উপত্যকাকে ইজরায়েল মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। সুমুদ ফ্লোটিলা বিশ্ববিবেককে জাগিয়ে তোলার জন্য, বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেওয়ার জন্য।” ...
    জা‌তিসংঘের আদালত ঘো‌ষিত যুদ্ধাপরা‌ধী  ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতা‌নিয়াহু‌কে গ্রেপ্তারের দা‌বি জা‌নি‌য়ে বাংলা‌দেশ জামায়া‌তে ইসলামীর নেতারা ব‌লে‌ছেন, “আমরা প্রতিবাদ জানা‌তে বি‌ক্ষোভ কর‌ছি। ত্রাণবা‌হী জাহাজ ও অধিকারকর্মী‌দের মু‌ক্তি দি‌তে হ‌বে। ফি‌লি‌স্তি‌নের গাজায় গণহত‌্যা বন্ধ করতে হ‌বে। না হ‌লে আমরা প্রয়োজ‌নে ফি‌লি‌স্তিন অভিমুখে লংমা‌র্চ কর‌তে বাধ‌্য হ‌বে। দরকার হ‌লে যু‌দ্ধের জন‌্য প্রস্তু‌ত র‌য়ে‌ছি।” গাজায় ত্রাণবাহী জাহাজ ফ্লোটিলায় আক্রমণ, হামলা ও বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বাদ জুমা রাজধানীর বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে দ‌লের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আ‌য়ো‌জিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তারা এসব কথা ব‌লেন তারা। আরো পড়ুন: ত্রাণবাহী জাহাজে বাধা মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্যতম অপরাধ: জামায়া‌ত ব্রাজিল ও সুই‌ডে‌নের রাষ্ট্রদূতের স‌ঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক মহানগর উত্ত‌রের সভাপ‌তি সে‌লিম উদ্দিনের সভাপ‌তি‌ত্বে সমাবে‌শে প্রধান অতিথি ছি‌লেন দল‌টির সহকা‌রী...
    দাওয়াত মানে ডাকা বা আহ্বান করা। মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকে আনা, দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের মুক্তির দিকে আহ্বান করাই এর মূল উদ্দেশ্য। এটি কেবল একটি ধারণা নয়; বরং প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কাজ।যেমন ডাক্তারি বিদ্যা ছাড়া চিকিৎসা করলে রোগীর প্রাণহানি হতে পারে, তেমনি দাওয়াতের জ্ঞান ছাড়া ময়দানে নামলে মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।ভরা মজলিশে অশালীন ভাষা ব্যবহার বা কটু কথা বলা দাওয়াতের সঠিক পদ্ধতি নয়। এতে সাধারণ মুসলমান, বিশেষত কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণেরা ইসলাম ও আলেমদের থেকে দূরে সরে যেতে পারেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইসলামবিদ্বেষীরা সরল মুসলমানদের ইমান নিয়ে খেলতে পারে এবং নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে।‘আপনার প্রভুর পথে দাওয়াত দিন জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সুন্দর নীতিসম্পন্ন উপদেশ দিয়ে। তাদের সঙ্গে বিতর্ক করো এমনভাবে, যা সবচেয়ে সুন্দর।সুরা নাহল, আয়াত: ১২৫আরও...
    লাদাখের আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করে দিলেন। তাঁরা বলেছেন, ২৪ সেপ্টেম্বরের সহিংসতার জন্য কারা দায়ী, তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। সেই তদন্তের ভার দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনো বিচারপতিকে।একই সঙ্গে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ম্যাগসাইসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী সোনম ওয়াংচুকসহ গ্রেপ্তার করা সবার নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।সোনম ওয়াংচুককে কেন্দ্রীয় সরকার ‘পাকিস্তানি চর’ বলেছে। বলেছে, জনতাকে তিনিই সহিংসতায় উসকানি দিয়েছেন। তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।লেহ্‌ অ্যাপেক্স বডির (ল্যাব) চেয়ারম্যান থুপস্টান ছেওয়াং ও কো-চেয়ারম্যান শেরিং দোরজি গতকাল সোমবার আলোচনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও গ্রেপ্তার করা সবাইকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন না।লাদাখের দুটি জেলা। লেহ ও কারগিল। ৬০...
    বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গা পুজার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছাতে মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ পূজা মন্ড পরিদর্শণ করে জানান, বিএনপি ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছাতে আজ এখানে আসা। আমরা প্রমাণ করতে চাই হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই। আপনাদের উৎসবে আমরাও আপনাদের সাথে এক সাথে একযোগে পালন করতে চাই এবং বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ এটা প্রমাণ করতে চাই সোমবার (২৯ সেপ্টম্বর) সন্ধায় শহরের কয়েকটি পুজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এক কথা বলেন। এসময়, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম,  তিনি শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া ও শিব মন্দিরসহ উকিলপাড়া মন্দির পরিদর্শন করেন   তিনি আরো বলেন, আমাদের বিগত দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করতে চেয়েছে আমরা সেই রাজনীতি বর্জণ করতে চাই। সবাইকে আমরা বলতে চাই ধর্ম যার যার বাংলাদেশ আমার ।...
    বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক আপনাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। আর প্রতিটি পূজা মন্ডপে মন্ডপে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা পাহারায় রয়েছে। আপনারা শারদীয় দুর্গাপূজা নির্ভয়ে পালন করবেন বিএনপি আপনাদের পাশে আছে।  সোমবার (২৯ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমীতে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বন্দরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।  তিনি আরও বলেন, এদেশে আমরা মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বসবাস করি। দেশটা আমাদের, আমরা সবাই সমান। এখানে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, এতে কেউ কোনো বাধা বিপত্তি করতে পারবে না। আমাদের বিএনপির...
    ‘বদ নজর’ ইসলামে একটি বাস্তব সত্য, যা মানুষের ঈর্ষা, হিংসা বা অতিরিক্ত প্রশংসার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করতে পারে। কোরআন ও হাদিসে বদ নজরের বাস্তবতা এবং এর থেকে সুরক্ষা লাভের উপায় উল্লেখ করা হয়েছে।তাই মুসলমানদের জন্য বদ নজর থেকে রক্ষার দোয়া ও আমল জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বদ নজরের বাস্তবতাআল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে, তারা যখন কোরআন শোনে তখন প্রায় তাদের দৃষ্টির দ্বারা তোমাকে পতিত করবে। আর তারা বলে: ‘সে তো অবশ্যই পাগল।’” (সুরা কলাম, আয়াত: ৫১)রাসুল (সা.) বলেছেন: “চোখ লাগা (বদ নজর) সত্য।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৮৮)আরও পড়ুনশিশুদের বদ নজর থেকে বাঁচাতে১৫ আগস্ট ২০২৫বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়ারাসুল (সা.) বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি প্রসিদ্ধ দোয়া হলো:১. বদ নজর থেকে শিশুদের রক্ষার দোয়ারাসুল...
    জীবনের পথচলায় আমরা প্রায়ই অতীতের ছায়ায় আটকে পড়ি। ভুল, ক্ষতি বা হারানো সুযোগের জন্য আফসোসে হৃদয় ভারী হয়ে ওঠে। বর্তমানে অসন্তোষ আর ভবিষ্যতের ভয় আমাদের শান্তি কেড়ে নেয়।কিন্তু মুসলিমের জীবন এই আফসোসের শৃঙ্খলে বন্দী থাকার নয়। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় যে অতীতকে ছেড়ে দিয়ে বর্তমানকে আল্লাহর কদরে গ্রহণ করতে হবে এবং ভবিষ্যৎকে তাঁর রহমতের ওপর সমর্পণ করতে হবে।কোনো বিপদ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া আসে না। যে আল্লাহর ওপর ইমান আনে, তিনি তার হৃদয়কে পথ দেখান। আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ।সুরা তাগাবুন, আয়াত: ১১এ লেখায় আমরা দেখব কীভাবে ইমানের শক্তি আমাদের অতীতের বন্ধন থেকে মুক্ত করে, হৃদয়ে শান্তি নিয়ে আসে।অতীতের আফসোস: মানসিক অশান্তির কারণ জীবনের কোনো না কোনো মুহূর্তে আমরা অতীতের দিকে তাকাই। একটি ভুল সিদ্ধান্ত, হারানো সম্পর্ক বা উপেক্ষিত সুযোগ—এগুলো হৃদয়ে কাঁটার...
    যে জগৎ জীবন ও মৃত্যুর সীমায় আবদ্ধ এবং যে জগৎ ইন্দ্রিয়গোচর ও যুক্তিগ্রাহ্য, সেই জগৎকেন্দ্রিক মানবজীবনের সাধনাই ইহজাগতিকতা। মানুষকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারা ইহজাগতিকতার প্রধান লক্ষণ। এই দৃষ্টিভঙ্গি অর্জিত হয়েছিল ইতালীয় রেনেসাঁসের আবির্ভাবের কারণে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার রেনেসাঁস বলে যে কালপর্ব চিহ্নিত হয়ে আছে, সেই কাল যুক্তিবাদী ও রক্ষণশীলদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের উত্তেজনায় পূর্ণ। তৎকালীন শিক্ষিত হিন্দু মধ্যবিত্ত মনীষীদের জাগরণ ও যুক্তির পক্ষে যেতে হয়েছিল গোঁড়া হিন্দুদের ধর্মীয় প্রাচীরকে ডিঙিয়েই। বাংলার মুসলমানদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। শতবর্ষ আগে ১৯২৬ সালে মুসলিম সাহিত্য সমাজের নেতারা উপলব্ধি করেছিলেন, বাঙালি মুসলমানের পশ্চাৎপদতার মূল কারণ যুক্তিবর্জিত ধর্মমোহ ও কুসংস্কার। এ অঞ্চলে যুক্তিবাদের প্রসারে তাঁদের মুখপত্র শিখা হয়ে উঠেছিল এক অনন্য স্মারক। ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’—এই ছিল শিখার মুখবাণী। বুদ্ধির মুক্তির মাধ্যমে...
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁ - সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে কোন শব্দ থাকবে না। সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই রাষ্ট্রের সমান সুযোগ- সুবিধা ভোগ করবে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনারগাঁ পৌরসভা আদমপুর বাজার থেকে গণসংযোগ কালে ৩টি পুজা মন্ডল পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে কুশল বিনিময় এসব কথা বলেন। ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া বলেন, দেশের মানুষ বুঝে গেছে কাদের হাতে দেশ ও দেশের সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ। ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ের তৎকালীন ওসি ও উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনারগাঁয়ের ৩৬ টি পূজা মন্ডপ ও মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য আমার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন।  আমি স্পষ্ট করে বলেছি, পূজা...
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁ - সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে কোন শব্দ থাকবে না। সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই রাষ্ট্রের সমান সুযোগ- সুবিধা ভোগ করবে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনারগাঁ পৌরসভা আদমপুর বাজার থেকে গণসংযোগ কালে ৩টি পুজা মন্ডল পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে কুশল বিনিময় এসব কথা বলেন। ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া বলেন, দেশের মানুষ বুঝে গেছে কাদের হাতে দেশ ও দেশের সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ। ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ের তৎকালীন ওসি ও উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনারগাঁয়ের ৩৬ টি পূজা মন্ডপ ও মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য আমার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন।  আমি স্পষ্ট করে বলেছি, পূজা...
    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ না কর‌লে আন্দোলনে সরকার‌কে দা‌বি মানা‌তে বাধ‌্য করা হ‌বে ব‌লে হুঁশিয়ারি দি‌য়ে‌ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তি‌নি গা‌নের প‌রিব‌র্তে স্কু‌লে ধর্মীয় শিক্ষক নি‌য়ো‌গের দা‌বি জানান। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকারর‌মে অনু‌ষ্ঠিত বি‌ক্ষোভ সমা‌বে‌শে এ কথা ব‌লেন তিনি। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আ‌য়ো‌জিত সমা‌বে‌শে ফয়জুল করীম ব‌লেন, “স্পষ্ট ভাষায় আমরা সরকার‌কে জানিয়ে দিতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। ইসলামি শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির নৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়। যদি সরকার ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি করে কিংবা এই দাবি উপেক্ষা করে, তবে আমরা দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলিম জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামব। প্রয়োজনে সরকারকে...
    প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেন, “হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে সেবা করোনি।” বান্দা বলবে, “হে প্রভু! আপনি তো সব সৃষ্টির প্রতিপালক, আমি কীভাবে আপনার সেবা করব?” তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, “আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল, তুমি তার সেবা করোনি। তুমি যদি তার সেবা করতে, তাহলে আমার সেবা করা হতো!”’ (মুসলিম)নবীজি (সা.) আরও বলেছেন, ‘এক মুমিনের ওপর অপর মুমিনের ছয়টি হক রয়েছে। এর অন্যতম হলো কোনো মুসলমান অসুস্থ হলে তার সেবা করা।’ তিরমিজি ও নাসায়ি)।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো বান্দা তার অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে যায় অথবা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়, তখন একজন ফেরেশতা আকাশ থেকে উচ্চস্বরে বলেন, “তুমি ভালো থাকো, তোমার কর্ম ভালো হলো, তুমি জান্নাতে স্থান করে নিয়েছ।”’ (তিরমিজি)রাসুলুল্লাহ...
    অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘‘সরকারকে আমি সাবধান বাণী উচ্চারণ করছি, মানুষকে ঘর থেকে বের করে ইমানদার মানুষকে দিয়ে আর এই দেশে ধর্মীয় গৃহযুদ্ধ লাগায়েন না।’’ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘রাজবাড়ীতে একজন মানুষের দেহবাশেষ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নাউজুবিল্লাহ। যারা এ কাজ করেছে তারা মুসলমান না। আমি সমস্ত মানুষকে, ধর্মকামী মুসলমানকে এসবের প্রতিবাদ না শুধু আমি তাদের প্রতিরোধ করতে বলি।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘তৌহিদী জনতা হোক আর যেই হোক আর যদি মাজার ভাঙে তাহলে খবর আছে। এ দেশের ইমানদার মানুষ কিন্তু রাস্তায় নামবে বলে দিলাম।’’ ঢাকা/রুমন/রাজীব
    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.)। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মায়ের কোল আলোকিত করে দুনিয়াতে আসেন। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ তারিখেই ৬৩ বছর বয়সে তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। এজন্য এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।  ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ পাঠ, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করবেন। অনেকে এই দিনে নফল রোজা রাখেন। এছাড়া, দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা...
    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।” ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে দেওয়া শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্ব) এক বাণীতে তিনি বলেন, “ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।” আরো পড়ুন: ‘আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না, নির্বাচন দিয়ে চলে যান’ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত...
    আসন্ন নির্বাচন‌কে সাম‌নে রে‌খে সুন্নী মতাদর্শভি‌ত্তিক তিনটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মি‌লে বৃহত্তর সুন্নী জোটের আত্মপ্রকাশ ঘ‌টে‌ছে। জো‌টের শ‌রিক তিনদল হ‌লো বাংলা‌দেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলা‌দেশ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। তিন শ‌রিকদ‌লের চেয়ারম‌্যান যথাক্রমে আল্লামা এম এ মতিন, পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ও পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ সাইফুদ্দীন আল হাসানী নতুন জো‌টের শীর্ষ‌নেতা থাক‌বেন। এই জো‌টে চেয়ারম‌্যান ও মহাস‌চিব বল‌তে কো‌নো পদ থাক‌ছে না। তিন দ‌লের মহাস‌চিব থাক‌বেন মুখপা‌ত্রের দা‌য়ি‌ত্বে। শ‌নিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জো‌টের ঘোষণা দেন ইসলামী ফ্রন্টের মহাস‌চিব অধ‌্যক্ষ সওম আব্দুস সামাদ। তি‌নি ব‌লেন, ‘‘বাংলা‌দে‌শের অ‌ধিকাংশই সুন্নি মুসলমান। আহ‌লে সুন্নাত ওয়াল জামাআ‌তের আদ‌র্শে বিশ্বাসী। আজ‌কে তিন‌টি রাজ‌নৈ‌তিক দ‌লের সমন্ব‌য়ে বৃহত্তর সু‌ন্নি‌জোট গ‌ঠিত হ‌য়ে‌ছে। আমরা দে‌শের ছ‌ড়ি‌য়ে ছি‌টি‌য়ে থাকা সু‌ন্নি...
    রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল প্রার্থী ‘ভ্যালেন্টিনা গোমেজ’ কর্তৃক  পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতে বাংলাদেশ।  শুক্রবার (২৯ আস্ট) বাদজুম্মা আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  তাহরীকে খতমে নুবুওয়াত বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাওবান সাকিবের সঞ্চালনায় আল্লামা মুফতি ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুফতি হাফেজ আ. রহিম, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভাপতি বক্ত্যবে ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ নামে এক কুলাঙ্গার কোরআনুল কারীমের মধ্যে অগ্নিসংযোগ করেছে অত্যন্ত দুঃখজনক মেনে নেবার মত নয় । তিনি আরো বলেন,আমরাও মুসলমান পারি হাজার হাজার বাইবেল এক জাগায় স্তুপ করে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে। আমাদের সুমহান ইসলাম এ আদর্শ...
    রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল প্রার্থী ‘ভ্যালেন্টিনা গোমেজ’ কর্তৃক  পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতে বাংলাদেশ।  শুক্রবার (২৯ আস্ট) বাদজুম্মা আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  তাহরীকে খতমে নুবুওয়াত বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাওবান সাকিবের সঞ্চালনায় আল্লামা মুফতি ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুফতি হাফেজ আ. রহিম, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভাপতি বক্ত্যবে ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ নামে এক কুলাঙ্গার কোরআনুল কারীমের মধ্যে অগ্নিসংযোগ করেছে অত্যন্ত দুঃখজনক মেনে নেবার মত নয় । তিনি আরো বলেন,আমরাও মুসলমান পারি হাজার হাজার বাইবেল এক জাগায় স্তুপ করে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে। আমাদের সুমহান ইসলাম এ আদর্শ...
    শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘বাঙালি মুসলমানের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক লড়াই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-বিল্ডিংয়ে লিখিয়ে সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে এ আয়োজন হয়। লিখিয়ে সাহিত্য সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাফওয়ান চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লেখক ও গবেষক ফাহমিদ-উর-রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফাহমিদ-উর-রহমান বলেন, “আমাদের আত্মপরিচয়কে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বাঙালি মুসলমানরা লড়াইয়ের মাঝেই আছে। বাঙালি মুসলমানের একটি রেনেসাঁ প্রয়োজন। নিজেদের আত্মপরিচয়ের সংকট দূর করার মাধ্যমেই এই লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব।” আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে সমাজ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস নিরীক্ষার কাগজ ‘বাঙলানামা’। শাবিপ্রবি/ইকবাল/সাইফ
    জুমার নামাজ ইসলামের একটি বিশেষ ইবাদত, যা মুসলমানদের সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে জামাতের সঙ্গে আদায় করা হয়। কোরআনে জুমার নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত অগ্রসর হও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)এ আয়াত থেকে জুমার নামাজের তাৎপর্য স্পষ্ট। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, জুমার নামাজ কত রাকাত? আমরা জুমার নামাজের রাকাত সংখ্যা, এর ইসলামি বিধান, সুন্নাহ ইত্যাদি বিস্তারিত আলোচনা করব।জুমার নামাজের রাকাতসংখ্যা জুমার নামাজের রাকাতসংখ্যা ইসলামি শরিয়াহ দ্বারা সুনির্দিষ্ট। এটি জোহর নামাজের পরিবর্তে শুক্রবার আদায় করা হয়। রাকাতসংখ্যা নিম্নরূপ—ফরজ নামাজ: জুমার ফরজ নামাজ দুই রাকাত। এটি জামাতের সঙ্গে মসজিদে ইমামের নেতৃত্বে আদায় করা হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জুমার নামাজ দুই রাকাত, যা...
    ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল মুক্তির ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা আজাদি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা মুক্তি ও প্রথম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। ইশতেহার ও সিলসিলার যৌথ আয়োজনে ভাষা ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সালের এই দিনে ভারতবর্ষের মুসলমানরা দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিল, যা ছিল ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শোষণ ও বঞ্ছনা থেকে মুক্তির দিন। কিন্তু আমাদের সেই ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। অথচ আমাদের শেখানো হয়- হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস শুরু হয়েছে বায়ান্ন থেকে।  আরো পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি সংসদের নেতৃত্বে জাহিন-রাফি...
    দিল্লি পুলিশ একটি চিঠিতে বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ হিসেবে উল্লেখ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলা কলঙ্কজনক, অপমানকর, দেশবিরোধী এবং অসাংবিধানিক কাজ। এটি ভারতের সব বাংলাভাষী মানুষকে অপমান করে। তারা আমাদের হেয় করে (চিঠিতে) এমন ভাষা ব্যবহার করতে পারে না।’দিল্লির পুলিশ যে চিঠিতে বাংলাকে বাংলাদেশি ভাষা বলেছে, সেটি বাংলাভাষী কয়েকজনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে একটি এফআইআর তদন্তের নথি অনুবাদ-সম্পর্কিত। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দিল্লিতে যে পান্থশালা আছে, সেখানকার কর্মকর্তাদের সাহায্য চাইতেই ওই চিঠি। চিঠিটি জুলাইয়ের ২৯ তারিখের। কিন্তু তার মাসখানেক আগে থেকে মমতা বাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন।আরও পড়ুন‘পুশ ইন’ কি দিল্লির বৈরী নীতির অংশ নয়১১ জুন ২০২৫দিল্লিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি...
    আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের সনাতনীদের নিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০–এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোরও পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে দেবে।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার মাঝে একটা রাজনীতি আছে। এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে অনেক সাম্প্রদায়িক...
    পিতৃ-আদেশে রবীন্দ্রনাথ উনিশ শতকের শেষ পর্বে যখন জমিদারিকাজ তদারকের জন্য তৎকালীন পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশে) এলেন, তখন সত্যিকার অর্থে রবীন্দ্রনাথের পুনর্জন্ম ঘটল। তাঁর জন্ম ভারতের রাজধানী কলকাতায়, সেখান থেকে বাবার সঙ্গে গিয়েছেন উত্তর ভারতে, হিমালয়ে; গিয়েছেন মেজ ভাইয়ের কর্মস্থল মধ্য-দক্ষিণ ভারতে আর ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডনে। যখন শিলাইদহ, শাহজাদপুর আর পতিসরে এলেন, পূর্ববঙ্গের পলিমাটিপ্রধান নদীবিধৌত প্রকৃতিলালিত সহজ–সরল মানুষের সংস্পর্শে রবীন্দ্রচেতনায় বিরাট-বিশাল পরিবর্তন সাধিত হলো। গঙ্গার তীরে জন্ম হলেও গঙ্গাজলের পবিত্রতায় আস্থা ছিল না তাঁর। শিলাইদহে এসে ভালোবাসলেন পদ্মাকে, পদ্মাতীরবর্তী মানুষদের। অধিকাংশ সময়ই থাকতেন পদ্মায়, বোটে। এই অকৃত্রিম ভালোবাসা তাঁর সাহিত্যে—বিশেষত ছোটগল্প, কবিতা ও গানের সৃষ্টিতে আমূল পরিবর্তন সঞ্চার করল। পদ্মায় বসবাস, পূর্ববঙ্গের প্রকৃতিলালিত মানুষের বৈশিষ্ট্য দর্শন ও এসবের প্রতি নিবিড় অনুরাগ তাঁর সৃষ্টিতে, চিন্তায় আর জীবনদর্শনে সার্বিক পরিবর্তন সাধন করল। একালে ভ্রাতুষ্পুত্রী...
    পি চিদাম্বরম ছিলেন মনমোহন সিংয়ের অর্থমন্ত্রী। হিন্দুত্ববাদের কট্টর সমালোচক; কিন্তু চিদাম্বরমের ‘ডেভেলপমেন্ট’ (উন্নয়ন) ছিল হাসিনার উন্নয়ন দশকের মতো। একদিকে ভারতে বিএমডব্লিউ বাড়ছে, পাঁচতারা হোটেল বাড়ছে, আরেক দিকে কৃষকের আত্মহত্যা বাড়ছে। জিডিপি বাড়ছে, আবার গরিব মানুষের ক্ষুধা আর বিপন্নতাও বাড়ছে। ঝাড়খন্ড আর ছত্তিশগড়ের হাজার হাজার হেক্টর কৃষিজমি কেড়ে নিয়ে উপহার দেওয়া হলো বক্সাইট কোম্পানিগুলোকে। ২০১২ সালে অরুন্ধতী রায় লিখেছিলেন, ‘মিস্টার চিদাম্বরমস ওয়ার’। রায় বললেন, অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম ভারতের কৃষকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন। তত দিনে বিজেপির উত্থান ঘটেছে। ‘সেক্যুলার’ কংগ্রেসের অত্যাচারে কৃষক অতিষ্ঠ। বিজেপির সামনে সহজ টার্গেট। বিজেপি বলল, সেক্যুলার মানেই হিন্দুর শত্রু, গরিবের শত্রু। আর বিজেপি হলো ভারতের নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি। বিজেপির ভোট বাড়ল। ১০ বছর পর পি চিদাম্বরম বই লিখলেন সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্র নিয়ে। মুসলমান নিধনের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। কিন্তু কৃষক-মারা চিদাম্বরমের এই সেক্যুলারিজমের...
    ১৯৯৮ সাল। নজরুলজন্মশতবার্ষিকী চলছে দেশজুড়ে। ওই বছরই বর্ধমানের নজরুল একাডেমি থেকে আমাকে ‘নজরুল-পুরস্কার’ দেওয়া হলো। ওই পুরস্কার আনতে কলকাতায় গেলাম। কলকাতার বাংলা আকাদেমি নজরুলজন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আমার একটি একক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। অন্নদাশঙ্কর রায়ের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে আমার ভাষণের পরপরই ছিল খ্যাতিমান আবৃত্তিকার প্রদীপ ঘোষের একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান। প্রদীপ ঘোষ আবৃত্তি করেছিলেন নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬) আটটি কবিতা। তার একটি, ‘কেন আপনারে হানি হেলা’ শুনে প্রদীপ ঘোষকে আমি অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে সাধুবাদ দিয়েছিলাম। এবং ঢাকায় ফিরে দু-একজন চেনা আবৃত্তিকারকে নজরুলের এই অনাদৃত কিন্তু গুরুত্ববহ কবিতার দিকে মনোযোগ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। আবৃত্তিকর্ম শিল্প কি না জানি না, কিন্তু ভালো আবৃত্তি কোনো একটি কবিতার কোনো কোনো বন্ধ দুয়ার খুলে দেয়, সে নিজের কানেই শোনা আছে। যেমন: কাজী সব্যসাচীর অসাধারণ আবৃত্তি। কিংবা ভোলা অসম্ভব...
    পৃথিবী আমাদের জন্য আল্লাহর আমানত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘শান্তিশৃঙ্খলা স্থাপিত হওয়ার পর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ৫৬)জলবায়ু পরিবর্তন এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় হুমকি, যা আমাদের খাদ্য, পানি ও অস্তিত্বকে বিপন্ন করছে। জাতিসংঘের আন্তসরকারি জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেল (আইপিসিসি) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষতি অপরিবর্তনীয় হতে পারে। তবে আমরা এখনো পদক্ষেপ নিয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারি। ইসলাম আমাদের পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখায়।যে ব্যক্তি শুষ্ক, অনুর্বর জমি পুনরুদ্ধার করে এবং চাষ করে, আল্লাহ তার জন্য পুরস্কার লিখবেন।আল–মুনাওয়ী, ফায়যুল কাদির, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩৯এই নিবন্ধে আমরা মুসলমানদের জন্য সাতটি ব্যবহারিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে।জলবায়ু সংকটের গুরুত্ব জলবায়ু পরিবর্তন হলো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের (যেমন কার্বন ডাই–অক্সাইড ও মিথেন) অতিরিক্ত...
    ‘শিখাগোষ্ঠী’র চিন্তাচর্চা কি আমাদের সমাজ-সাহিত্যে কোনো কার্যকর প্রভাব ফেলতে পেরেছে? যেসব প্রত্যয় সামনে রেখে শিখা প্রকাশিত হয়েছিল, শতবর্ষ পরে সেই প্রয়োজন কি ফুরিয়েছে? এসব জিজ্ঞাসাকে সামনে রেখে ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’–এর (১৯২৬-১৯৩৬) তৎপরতার একটা হাইপোথিসিস দাঁড় করানো যায়। শিখার (১৯২৭-১৯৩১) প্রকাশ কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, নানা ধরনের ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক পটভূমিতেই একটা প্রোডাক্ট তৈরি হয়। যাপিত জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, রাজনীতি-সংস্কৃতি থেকে এটাকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, জগন্নাথ কলেজকে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা তরুণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়ে ওঠে ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’। সংগঠনের মূল স্লোগান ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’।সেটাকে কালের সাপেক্ষে দেখা ও বিশ্লেষণ করাই অধিক যুক্তিযুক্ত। সে সময় বাংলা অঞ্চলের উর্দুভাষী ‘আশরাফ’ (অভিজাত—নিজেদের আরব,...
    নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ধর্মীয় সংস্কৃতির লীলাভূমি হল বাংলাদেশ।  মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা নিজ নিজ ধর্ম খুব সুন্দর ভাবে পাল করে আসছি। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী ধর্মীয় সম্পদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতো। এ ধরনের লোক কিন্তু বাংলাদেশের অভাব নাই।  বাংলাদেশের ৯৯% মানুষ কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি কিন্তু শ্রদ্ধাবোধ আছে। একজন ভালো মানুষ কখনো অন্য ধর্ম মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করতে পারে না। আর আমি কখনো দেখিনি কোন হিন্দু ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করে। বাংলাদেশের মুসলমান সংখ্যা ঘনিষ্ঠ বেশি এরপরে দ্বিতীয় স্থানে কিন্তু রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়। এর পরে রয়েছে বৌদ্ধ খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজন। আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমে...
    হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। তাঁদের অনেকেই নির্যাতিত হয়েছেন। এ হামলা ও নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সংগঠন। তারা বলছে, এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ ঘটনা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের ওপর আঘাত। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।কটূক্তি, ধর্ম অবমাননা, অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া—এসব অভিযোগ তুলে হামলা-মামলা চলে আসছে অনেক দিন ধরে। নিকট অতীতে রামু, নাসিরনগর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ধুয়া তুলে দুর্বল সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর জুলুম হয়েছে। অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার নালিশ জানালেই হলো। পুলিশ বিদ্যুৎগতিতে তাকে ধরে নিয়ে যাবে। আদালতে রিমান্ড চাইবে। আদালত সঙ্গে সঙ্গেই দিয়ে দেবেন। এই ফর্মুলার নড়চড় হতে দেখছি না। ধর্ম একটি স্পর্শকাতর...
    শুভবুদ্ধিসম্পন্ন চিন্তাধারা বাঙালি মুসলমান সমাজে যাঁদের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়েছে, তা প্রত্যক্ষ করতে আমাদের চোখ ফেরাতে হয় কাজী মোতাহার হোসেনের (৩০ জুলাই ১৮৯৭—৯ অক্টোবর ১৯৮১) দিকে। ধরা হয়, ব্যক্তির মুক্তির মাধ্যমেই নিশ্চিত হতে পারে বৃহত্তর সমাজের মুক্তি। কাজী মোতাহার হোসেন এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন। তাই ব্যক্তির মুক্তিকে প্রাধান্য দিতেই যোগ দিয়েছিলেন বুদ্ধির মুক্তির দলে। আজ থেকে ৯৯ বছর আগে ১৯২৬ সালে বৃহত্তর মুসলিম সমাজের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম সাহিত্য সমাজ, যাদের মুখপত্র ছিল ‘শিখা’ নামের পত্রিকা। যে পত্রিকার শুরুতেই লেখা থাকত, ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ঠ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’। এই মুক্তির হাওয়া যেমন বাঙালি মুসলমান সমাজে ‘শিখা’ গোষ্ঠী বইয়ে দিতে চেয়েছিল, তার সদস্য ছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন চৌধুরীও। ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলনের সেই পটভূমিতেই তাঁর জীবন ও চিন্তাধারার...
    আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)এই আয়াত থেকে স্পষ্ট যে নামাজের সময় নির্দিষ্ট এবং এটি পালন করা মুসলমানের ওপর অবশ্যক। জিবরাইল (আ.)-এর কাছ থেকে রাসুল (সা.) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় শিখেছেন এবং সাহাবিদের তা শিক্ষা দিয়েছেন।একটি হাদিসে উল্লেখ আছে, জিবরাইল (আ.) দুই দিন রাসুল (সা.)-কে নামাজের সময় শিখিয়েছেন: প্রথম দিন প্রতিটি নামাজের শুরুর সময়ে এবং দ্বিতীয় দিন শেষ সময়ে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৯৩)আধুনিক যুগে, বিশেষ করে ব্যস্ত জীবনযাত্রায়, নামাজের সময় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। শুধু ঘড়ির কাঁটা দেখে নয়, প্রাকৃতিক নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শুরু ও শেষ সময় জেনে রাখা নামাজের প্রতি যত্নের বহিঃপ্রকাশ।জিবরাইল (আ.) দুই দিন রাসুল (সা.)-কে নামাজের সময় শিখিয়েছেন: প্রথম দিন প্রতিটি নামাজের শুরুর সময়ে...
    ‘আল্লাহু আকবার’, এই শব্দের উচ্চারণ মুসলমানের হৃদয়ে আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বলা যায় ইসলামি জীবনধারার একটি মূলমন্ত্র, যা ইমান, ইবাদত ও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি প্রকাশ করে।‘আল্লাহু আকবার’–এর অর্থ ও তাৎপর্য ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো ‘আল্লাহ মহান’ বা ‘আল্লাহ সবচেয়ে বড়’। এই বাক্য তাকবির নামে পরিচিত এবং ইসলামে এটি আল্লাহর সর্বোচ্চ ক্ষমতা, মহিমা ও সার্বভৌমত্বের ঘোষণা। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাহর জন্যই হলো সর্বোচ্চ মহিমা।’ (সুরা ইসরা, আয়াত: ১১১)।আরও পড়ুনআজান এল কেমন করে ১০ নভেম্বর ২০২৪নামাজে ‘আল্লাহু আকবার’–এর ভূমিকা ‘আল্লাহু আকবার’ নামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু) থেকে শুরু করে রুকু, সিজদাহ ও বিভিন্ন অবস্থানে তাকবির উচ্চারণ করা হয়। এটি মুমিনকে স্মরণ করিয়ে...
    ১৯৮০-র দশকে আসাদ গেটের সামনে আমার স্কুল সেন্ট জোসেফ। একদিন শুনি সামনের কাতারের ছাত্র চিৎকার করে বলছে, ‘এই দেখ দেখ, চিঙ্কু যায়!’ চীনা লোক? মাও সে–তুংয়ের হাজার ফুল? তারা মোহাম্মদপুরে কী করছে, এই আদি ১৯৮৫ সালে? ভালোমতো তাকিয়ে দেখি গেটের বাইরে একজন আদিবাসী ছেলে। সে পাহাড়ি না সমতলের, বাংলাদেশের ২৭টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনটি—তাতে কিছু আসে যায় না। মুখের গড়নের কারণে বাঙালি, প্রধানত বাঙালি মুসলমান, ছাত্ররা তাঁকে নিষ্ঠুর বর্ণবাদী গালি দেওয়ার অধিকার পেয়ে গেল।১৪ বছর বয়সে প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রামে যাই, কাপ্তাই বিদ্যুৎ প্রকল্প দেখতে। মেশিনের শব্দ প্রচণ্ড। তার ওপর দিয়ে আমার চাচা যন্ত্রপাতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন। তিনি সবেমাত্র বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁর প্রকৌশলী কৌতূহল জলবিদ্যুৎ নিয়ে। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনলাম, মেশিনগুলো ছিল প্রযুক্তিগত বিস্ময়। আমি স্কুলে ফিরে একটি বিজ্ঞান...
    ইসলামের একটি সৌন্দর্য হচ্ছে সব মুসলমানের মধ্যে ভাইয়ের সম্পর্ক তৈরি করে দেওয়া, একজন অপরজনের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া। মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকেই, তবু এর মধ্যে কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে জীবন গতিশীল হয়ে ওঠে।সাহায্য মানে কেবল টাকাপয়সা দেওয়া নয়, সাহায্য অনেকভাবেই হতে পারে, এমনকি কথা দিয়েও সাহায্য করা যায়। কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে যদি বলেন, ‘দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে বিপদমুক্ত করুন’, এটাও কিন্তু সাহায্য। কোনো ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির দাতাকে গিয়ে যদি অনুরোধ করেন, ‘তাকে আর কয়েকটা দিন সময় দিন, সে ঋণের টাকা জোগাড় করতে পারেনি’, এটাও তাকে সাহায্য করবে।আরও পড়ুনহাসান ও হোসাইন নবীজির দুই নাতি০৬ জুলাই ২০২৫সাহায্য মানে কেবল টাকাপয়সা দেওয়া নয়, সাহায্য অনেকভাবেই হতে পারে, এমনকি কথা দিয়েও সাহায্য করা যায়।নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে লোক কোনো মুসলমানের দুনিয়ার বিপদ–আপদের মধ্যে...
    জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও স্বাধীনতার সংগ্রামে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। রবিবার (১৩ জুলাই) কাশ্মীর শহীদ দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন। খবর জিও নিউজের। শাহবাজ শরীফ বলেন, “প্রতি বছর এই দিবসটি ২২ জন কাশ্মীরির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পালিত হয়, যারা ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের ডোগরা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এই দিনটি কাশ্মীরের মুসলমানদের সহজাত দৃঢ়তা, নৃশংস শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও অটল মনোবলের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।” পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “কাশ্মীরের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও কাশ্মীরিদের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম ইতিহাসজুড়ে অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মীরের জনগণ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের জন্য তাদের বৈধ সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করে আসছে এবং এখনও করছে।” আরো পড়ুন: বরেণ্য...
    জল ও পানির বিরোধের খবর তো আমরা জানিই। জিনিসটা একই। একই কল থেকে পাওয়া যাচ্ছে, একইভাবে তৃষ্ণা নিবারণ করছে। কিন্তু হিন্দু বলছে, সে জল পান করছে; মুসলমান বলছে, সে পান করছে পানি। এ নিয়ে ভীষণ গোলযোগ ছিল। অথচ ‘জলপানি’ পেতে হিন্দু-মুসলমান কোনো ছাত্রেরই আপত্তি ছিল না। আপত্তি থাকবে কেন? ওটা তো পুরস্কার, তাতে জল ও পানি মেশামেশি করে থাকলে অসুবিধাটা কোথায়? জলখাবারও ঠিকই চলত। পানিফল পেলে কেউ যে নামের কারণে তা ফেলে দিত, এমন মোটেই নয়। সাধারণ মানুষ জল ও পানির পার্থক্য নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাত না; তারা জিনিসটা পেলেই খুশি থাকত। কিন্তু মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণির মানুষ নিয়েই যত মুশকিল ছিল। তারা ভাষার ওই পার্থক্যকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চিহ্নগুলোর একটি হিসেবে আঁকড়ে ধরেছিল। সাম্প্রদায়িকতা জনগণের ব্যাপার ছিল না। ছিল দুই দিকের...
    ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে ব্রিটিশদের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উপমহাদেশে উপনিবেশবাদের নতুন অধ্যায়। এই বিজয়ের ফলে মুসলিমরা হয়ে ওঠে ব্রিটিশদের প্রধান সন্দেহভাজন। ফলে প্রতিটি পদে তাদের অগ্রযাত্রায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ক্রমাগত বৈষম্যের শিকার হয়ে বাংলা তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমরা শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্পচর্চা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের অঙ্গনে পিছিয়ে পড়ে। এই পশ্চাদপসরণ থেকে মুসলিম সমাজকে উদ্ধারের প্রয়াস যিনি প্রথম গ্রহণ করেন, তিনি হলেন নবাব আবদুল লতিফ। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই ছিল, মুসলিম সমাজের জাগরণ ও অগ্রগতির স্বপ্নে নিবেদিত। আজ ১০ জুলাই, তার প্রয়াণ দিবসে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এই মহান সংস্কারককে, যিনি ছিলেন বাংলা মুসলমানদের নবজাগরণের পথ প্রদর্শক। আরো পড়ুন: সাধারণ ছুটিসহ ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবির ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী...
    ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যোগ দিতে অথবা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে কি আপনি আগ্রহী, এমন প্রশ্নের জবাবে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ বলেছেন, তাঁরা আগ্রহী নন।সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও একশনএইডের একটি জরিপে তরুণদের এই মনোভাব উঠে এসেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা-সম্পর্কিত এই জরিপ গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়।জরিপে ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, দেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তরুণদের সংযোগ ‘অকার্যকর’ বলে মনে করেন তাঁরা। আর এই সংযোগ ‘খুবই অকার্যকর’ বলে মনে করেন ১৬ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা।আরও পড়ুনতরুণেরা চান শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সংস্কার, ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ২ ঘণ্টা আগেতরুণদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় বিষয়ে জরিপে কিছু মত দিয়েছেন উত্তরদাতারা। এগুলো হলো যুব বা ছাত্র নেতৃত্বাধীন শাখাগুলোর সংযোগসংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন।...
    কোনো দেশের একটা শহরের মেয়র হতে চাওয়া ৩৩ বছর বয়সী এক তরুণের বিরুদ্ধে এমন আন্তঃমহাদেশীয় রাজনৈতিক মৈত্রীর নজির সমকালীন বিশ্বে বিরল। নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে ঠিক তা-ই হতে চলেছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানরা তাঁর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনেকটা যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আবেদন করা হচ্ছে তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার।  ভারতের কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় দলের সমর্থকরা মামদানিকে চিহ্নিত করছেন প্রতিপক্ষ ‘পাকিস্তানের লোক’ হিসেবে। আর ইসরায়েল সমর্থক মিডিয়াগুলো তাঁর বিরুদ্ধে শুরু করেছে সমন্বিত প্রচার। যার মধ্যে ‘জুইস নিউজ নেটওয়ার্ক’ ৩ জুন লিখেছে, ‘মামদানি কেবল যে ইহুদিদের ঘৃণা করেন, তা-ই নয়; ইসরায়েলকে ধ্বংসও করতে চান।’ ইউরোপ-আমেরিকায় কাউকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ঘায়েল করতে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ তকমা বেশ কার্যকর। মামদানিকে এখন সেই ইমেজ দেওয়ার কাজ চলছে।  নিউইয়র্ক যেহেতু ডেমোক্র্যাট দলের ঘাঁটি, সে কারণে বাংলাদেশসহ দূরদূরান্তের দেশগুলোতে অনেকে...
    আশুরা মানেই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা। আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবনবাজী রেখে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করতে শেখায় আশুরা।  প‌বিত্র আশুরা উপল‌ক্ষে জাতীয় পা‌র্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কা‌দের এক বিবৃ‌তি‌তে একথা ব‌লেন।  তি‌নি বলেন, ‘‘পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলামের সুমহান আদর্শ সমুন্নত রাখতে কারবালার মাঠে প‌রিবারসহ ইমাম হোসাই‌নের জীবন দেওয়ার ত্যাগ সমুজ্জল হয়ে থাকবে।’’ আরো পড়ুন: ২৮ জুন বিকল্প স্থানে কাউন্সিলের আহ্বান শীর্ষ‌ নেতা‌দের বা‌জেট পর্যা‌লোচনা ক‌রে প্রতিক্রিয়া জানা‌বে জাপা শোকাবহ এই দিনে বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  গোলাম মোহাম্মদ কাদের ব‌লেন, ‘‘ঐতিহাসিক কারবালার মাঠে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ সহচর বিশ্বাসঘাতক ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে ‌নির্মমভা‌বে...
    আজ পবিত্র আশুরা। হিজরি ১৪৪৭ সনের ১০ মহররম। মুসলমান সম্প্রদায়ের গভীর শোকের দিন। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে কারবালার প্রান্তর রক্তাক্ত হয়েছিল। এই লড়াইয়ে ইমাম হোসেন সপরিবার জীবন উৎসর্গ করে সত্যের জয়গান গেয়ে যান, যা আজও পৃথিবীর তাবৎ মুসলিমকে অনুপ্রাণিত করে।  মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ইয়াজিদ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেন এবং এ জন্য ষড়যন্ত্র ও বলপ্রয়োগের পথ বেছে নেন। মহানবী (সা.)-এর আরেক দৌহিত্র হজরত ইমাম হাসান (রা.)-কে বিষপানে হত্যা করা হয়। আশুরার দিন ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেন, তাঁর পরিবার ও বাহিনীকে অবরুদ্ধ করে রাখে ইয়াজিদ বাহিনী। কারবালার যুদ্ধ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।অবরুদ্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন, ৭২ জন সঙ্গীসহ শাহাদাতবরণ করেন হজরত ইমাম হোসেন (রা.)। এ হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত নির্মম।...
    আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন। হিজরি মহররম মাসের দশম দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। সবশেষ ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)-এর এই তারিখে শাহাদত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে শোক ও ত্যাগের মহিমার এক অনন্য অনুষজ্ঞ। দিনটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।  প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, “পবিত্র আশুরা’র শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম...
    আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। আর মহররম অর্থ সম্মানিত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে...
    নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে জোহরান মামদানির বিস্ময়কর বিজয় দুটি শহর ও দুটি আমেরিকার গল্প। একটিতে আশাবাদী ও প্রগতিশীল রাজনীতির বাহক একজন যুবক, যা তাদের বিশাল তহবিল, নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক দলের সিলসিলার মধ্য দিয়ে এস্টাবলিশমেন্ট বা ক্ষমতা বলয়ের হর্তাকর্তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন এবং বিজয় ছিনিয়ে আনলেন। অন্য গল্পে বর্ণবাদ ও ইসলামবিদ্বেষের এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে মুসলিমবিদ্বেষী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরটি দখল করেছে। মামদানির জয়ের পর প্রবল স্রোত, তীব্র ও নোংরা বর্জ্যের মতো মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রতিরোধ্যভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আজকাল অবাক করে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক কিছু করতে হয়। কিন্তু মামদানি মূলধারার কুসংস্কারের অশ্লীল মাত্রা তুলে ধরতে বা উদোম করে দিতে অল্পতেই সক্ষম হয়েছেন। রাজনীতিবিদ, জনসাধারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সদস্য এবং সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব-অনুসারীদের নরককুণ্ড– সবাই একত্রে এমন...
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর চরমোনাই বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন সর্বোত্তম। এ বিষয়ে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছেন। এ পদ্ধতি একদিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অন্যদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ভাবনা বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, পিআর পদ্ধতিতে দলগুলো ভোটের অনুপাতে সংসদীয় আসন পায়। ফলে কোন দল এককভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারে না এবং সংসদে ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব ও নিশ্চিত হয়। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা আপোস এবং যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবেশ তৈরি হয়। তিনি বলেন, মুসলমানদের অনৈক্যের কারণে বর্তমান মুসলিম বিশ্ব আজ দিশেহারা। বাংলাদেশের মুসলমান আজ একটি বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে বাস করছে।...
    মুসলিম সম্প্রদায়কে শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ‘ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ পরবর্তী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব’ শীর্ষক একাডেমিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, “অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর তুলনায় মুসলমানদের মধ্যে আন্তঃসম্প্রদায়িক বিরোধ বেশি লক্ষ্য করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যদি একত্রিতভাবে কাজ করে, তাহলে অনেক সংকটের সমাধান সম্ভব।” আরো পড়ুন: ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ইরানের এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে: ইরান এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি ইরানের ঐতিহাসিক বিপ্লব, বর্তমান মার্কিন-ইরান উত্তেজনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ...
    ‘তাকওয়া’ শব্দটির অর্থ আল্লাহকে ভয় করে চলা, সব সময় তাঁর নির্দেশ মেনে চলা এবং গুনাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। এটি এমন একটি গুণ, যা একজন মুমিনকে আল্লাহর প্রিয় বানিয়ে তোলে।তাকওয়া থাকে অন্তরে, কিন্তু তার প্রভাব দেখা যায় মানুষের জীবনে। তাকওয়াবান মানুষ একা থাকলেও খারাপ কাজ করে না, কারণ সে জানে, ‘আমার রব আমাকে দেখছেন।’আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেমনভাবে ভয় করা উচিত। আর মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০২)আল্লাহ আরও বলেন, ‘আল্লাহ তাদেরকেই কবুল করেন, যাঁরা তাকওয়াবান।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ২৭) এই আয়াতগুলো আমাদের শেখায় তাকওয়া ছাড়া ইমান পরিপূর্ণ হয় না আর আল্লাহর নৈকট্য অর্জনও সম্ভব নয়।হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেমনভাবে ভয় করা উচিত। আর মুসলমান না হয়ে...
    ৩০ জুন জন্ম নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের অন্যতম চিন্তাবিদ, লেখক ও প্রতিবাদের প্রতীক। তাঁর পরিচয় বহুমাত্রিক—তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক চিন্তক। আহমদ ছফাকে শুধু ‘প্রাবন্ধিক’ বললে তাঁর গভীরতা, ব্যাপ্তি ও প্রভাবকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। তিনি ছিলেন সেই দুর্লভ বাঙালি, যিনি এক হাতে বই লিখতেন আর অন্য হাতে দেশের বিবেক জাগিয়ে তুলতেন।ছফার লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল যুক্তিনির্ভরতা ও বুদ্ধিবৃত্তির স্বাধীনতা। তিনি ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার এবং অন্ধ আনুগত্যের বিরুদ্ধে ছিলেন সর্বদা সচেতন। তাঁর মতে, জাতিকে যদি জাগ্রত করতে হয়, তবে আগে জাগাতে হবে চিন্তার স্বাধীনতা। একটি সমাজ তখনই বিকশিত হয়, যখন সেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকে, মতভেদকে সম্মান করা হয় এবং বিতর্ককে অগ্রগতি হিসেবে দেখা হয়। সুতরাং ছফার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন একটি যুক্তিবাদী, মুক্তচিন্তার পরিবেশ। পাঠ্যক্রমে মুক্তচিন্তা, যুক্তি...
    বাংলাদেশের আকাশে গতকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ শুক্রবার ১৪৪৭ হিজরির প্রথম দিন, তথা মহররম গণনা শুরু হবে। এ হিসাবে আগামী ১০ মহররম, অর্থাৎ ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা।  বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আশুরা উপলক্ষে আগামী ৬ জুলাই সরকারি ছুটি থাকবে। ফারসি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ ‘দশ’। তাই ১০ মহররম ‘আশুরা’ নামে পরিচিত। ৬১ হিজরি ১০ মহররম কারবালায় ফুরাত নদীতীরে ইয়াজিদ বাহিনী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় কন্যা ফাতিমার (রা.) পুত্র ইমাম হুসাইন (রা.)-কে হত্যা করে। এ কারণে মুসলমানদের কাছে দিনটি শোকের। তবে আশুরার আরও গুরুত্ব রয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, ১০ মহররম কেয়ামত হবে। এই দিনে পৃথিবীতে আদম (আ.)-এর আগমন...
    ২৪ জুন রাত। নিউইয়র্কের জ্যামাইকার মুসলিম সেন্টারের সামনে মানুষের জটলা। তরুণ, যুবক ও বয়স্ক মানুষও আছেন। সবাই উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। কয়েক দিন ধরে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন তাঁরা। সেই চিন্তার অবসান হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে তাঁদের প্রার্থী জোহরান মামদানি জয়ী হয়েছেন। তাঁদের এত দিনের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।কিছু দিনের জন্য সন্তানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি। আছি নিউইয়র্কেই। ফলে নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনের এই উত্তাপ ও উত্তেজনা দেখার সুযোগ হলো। এবারের সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা তৈরি করেছিলেন জোহরান। ধীরে ধীরে বিশ্ব মিডিয়ায় শিরোনাম হয়ে যান তিনি। এখন তো নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হওয়ার একেবারেই দ্বারপ্রান্তে তিনি। মুসলিম কাউকে এ প্রথম মেয়র হিসেবে পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ শহর।  এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে কথা বললাম। তাদের বিশাল...
    ইসরায়েল কয়েক যুগ ধরে মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে ষড়যন্ত্রের এক নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে। শেষ পর্যন্ত এবার তা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ইরানে মার্কিন-ইসরায়েল উস্কানির বিপরীতে কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সেই সাফল্যের প্রতিচ্ছবি। দেড় কোটি ইহুদি আরবের ৩৫ কোটি মুসলমানকে আত্মঘাতী সংঘাতে লেলিয়ে দিল! যেখানে ব্যবহৃত হলো মার্কিন, রাশিয়ান আর চীনা সমরাস্ত্র।  ইসরায়েল এবার আরব, ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকাকে তাদের পরিকল্পনামতো পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি টানেন, কিন্তু ইসরায়েল সফলভাবেই মুসলিম উম্মাহকে ভাইয়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল যা পেরেছে, বিশ্বের আর কেউ অন্তত মার্কিন পরাশক্তিকে তাদের ঘাড়ে পা রেখে এভাবে আনুগত্যে বাধ্য করতে পারবে কিনা, সন্দেহ আছে। ৩৫ কোটি মুসলমানসহ গোটা বিশ্বের ধুরন্ধর শাসকদের ধুল খাওয়ানো ইসরায়েলই বিশ্ব-শাসক হওয়ার দাবিদার। ধীরে ধীরে আরব...
    রাসূলে আকরাম (সা.) এর বিদায় হজ এবং ঈদে গ্বাদীর উপলক্ষে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে রাজশাহীর শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইমামিয়া ওলামা সোসাইটির সেক্রেটারি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ড. এম আব্দুল কুদ্দুস বাদশা। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ রাসুলে আকরাম (সা.) ইসলামিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মোহাম্মদ আলী মোর্তজা। আরো পড়ুন: ভাঙা নয়, মূল নকশায় ফিরছে ভাস্কর্য ‘অঞ্জলি লহ মোর’: উপাচার্য ইউরোপীয় গুপ্তচর যেভাবে মক্কায় ঢুকেছিলেন রাজশাহী সুগার মিলস লিমিটেডের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওসমান গণী, রাজশাহী...
    ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জোরালোভাবে সামনে এসেছে। ইতোমধ্যে ২১টি মুসলিম দেশ এই অন্যায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বলা বাহুল্য, ইসলামী ঐক্য বা মুসলিম ভ্রাতৃত্ব কেবল নিজেদের পারস্পরিক সহযোগিতার তাগিদেই নয়, বরং এটি ইমানের পূর্ণতার জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কারণ এর নির্দেশ রয়েছে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে। কোরআনের একটি সুপরিচিত বাণী– ‘তোমরা আল্লাহর রশিকে ঐক্যবদ্ধভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে আঁকড়ে ধরো এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ো না।’ (আল ইমরান, ১০৩)। এ ব্যাপারে হাদিসের বাণী– ‘তোমরা কখনও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা ইমানদার হও, আর তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা একে অপরকে ভালোবাস...!’ (সহিহ মুসলিম)।  সহিহ মুসলিমের একটি হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আদ-দিনু আন-নাসিহাহ’। অর্থাৎ দ্বীন হচ্ছে কল্যাণ কামনা করা। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, কার জন্য হে আল্লাহর রাসুল?...
    ফিলিস্তিন ও ইরানসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। সংঠনটি ইসরাইলের আগ্রাসন মোকাবিলায় ফিলিস্তিন ও ইরানকে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করতে সব মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। আরো পড়ুন: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এবারো দেশসেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিগত সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে: আব্দুল মঈন খান বিক্ষোভে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পাকিস্তানি ছাত্র মোহাম্মদ তাহের, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার আহ্বায়ক রাকিব...
    ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দ বা নবম হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দূরে তাবুক প্রান্তরে যুদ্ধের উদ্দেশে রওনা হন। তাবুক, মদিনা ও দামেস্কের (সিরিয়া) মধ্যবর্তী একটি স্থান। এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে আরবের কাফের, মুনাফিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সম্মিলিত চূড়ান্ত প্রচেষ্টা।তৎকালীন বিশ্বের পরাশক্তি রোমান সাম্রাজ্য মুসলিমদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চেয়েছিল। এক বছর আগে মুতার যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় রোমানদের জন্য অশনিসংকেত হয়ে ওঠে। এর প্রভাবে আরব ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রোমান শোষণ থেকে মুক্তির চেতনা জাগ্রত হয়। সিরিয়ার রোম-আরব সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস মুসলিম শক্তিকে দমন করতে শাম ও আরব সীমান্তে ৪০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেন। (আর-রাহিকুল মাখতুম, সফিউর রহমান মুবারকপুরি, পৃ. ৬২১)নাবতিদের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.) এই প্রস্তুতির খবর পান এবং হিরাক্লিয়াসের আক্রমণের আগেই আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি...
    ভারতের সেনাবাহিনীর যে দুই নারী অফিসার ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের একজন হিন্দু ও একজন মুসলমান। তাঁদের দিয়ে অভিযানের ঘোষণা দেওয়ানোর ঘটনাকে ভারত জাতীয় কর্মযজ্ঞে নারীর অন্তর্ভুক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছে। খাকি পোশাক পরা এই দুই নারী যখন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলছিলেন; যখন তাঁরা ভারতের ২৬ জন সাধারণ পুরুষ মানুষকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলছিলেন এবং যখন তাঁরা প্রতীকীভাবে বিধবাদের সিঁদুরের সম্মান রক্ষার বার্তা দিচ্ছিলেন, তখন অনেকেই এই দৃশ্যকে দেশের সেবায় নিয়োজিত একটি নারীবাদী চিত্র বলে প্রশংসা করেছিলেন। দুই নারী অফিসারের ঘোষণাপর্ব শেষ হওয়ার পর ভারত সরকার এটিকে নারী ক্ষমতায়নের এক বিরাট উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করল। তাঁদের ছবি সবখানে ছড়িয়ে পড়ল। সবাই বলল, ‘দেখো, নারীরাও আজ সম্মুখসমরে লড়াই করছে!’এই ঘটনা ইতিহাসের আরেকটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়।...
    ইতিহাস যা-ই বলুক, একটি জনগোষ্ঠীকে তাদের ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তিতে তাদেরই ভূখণ্ড থেকে তুলে নিয়ে অন্য দেশে চালান করে দিচ্ছে আজকের ভারত।অন্যদিকে যে বাংলাদেশ প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে উচ্ছেদ হওয়া দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীকেও আশ্রয় দিয়েছে, তার ভূখণ্ডেই ঠেলে (পুশ ইন) দেওয়া হচ্ছে আরেক সীমান্ত-সংলগ্ন দেশের নাগরিক মুসলমান নর-নারীকে।এভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মুসলমানদের পণ বানানোর পাশাপাশি নিজ দেশের ইস্যুকে আন্তসীমান্ত দ্বন্দ্বে পরিণত করা হচ্ছে। মুসলমান ভোটার-সমৃদ্ধ পশ্চিম বাংলা ও আসামে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতের কেন্দ্রীয় হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের এমন পদক্ষেপ সে দেশের ভেতরকার গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও বিবেকবান মানুষের কাছেও কি প্রশংসিত হচ্ছে?এ পর্বে কিছু মুসলমান ভারতীয়র গলা ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর এ কাজটি দিল্লি করছে জুলাই ২০২৪ বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে। ঢাকার প্রতি বৈরী নীতির অংশ হিসেবেই যে এই উদ্যোগ, সেটা বাংলাদেশের মানুষের না...
    ‘আসিয়াছে ফের দুনিয়ার বুকে খুসির বকরি ঈদ সারাটি রজনী কাসেমের আজ আসেনি নয়নে নিদ।’কবিতার পঙ্‌ক্তিতে (এম. করিম–এর ‘কার ঈদ’) এমনিভাবে প্রকাশ পেয়েছে বকরি ঈদের জন্য বাঙালি মুসলমানের উন্মুখ প্রতীক্ষা। ‘ঈদুজ্জোহা’, ‘ঈদ-উল-বকর’ বা ‘ঈদ-উল-আযহা’ তথা কোরবানির ঈদ সামাজিক ইতিহাসের পরতে পরতে ‘বকরি ঈদ’ নামে অভিহিত। ‘বকরিদ’ বা ‘বকর ঈদ’ নামেও পরিচিত এই ঈদ। পত্রিকা, সাময়িকী ও সরকারি নথিপত্রে ‘ঈদ-উল-আদহা’ নামেও আখ্যায়িত হয়েছে কোরবানির ঈদ। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আরব বণিকেরা যখন এ দেশে আসতে শুরু করলেন তখন ঈদুল আজহার সময় তাঁরা বকরি (ছাগল) কোরবানি দিতেন বলে ‘ঈদুল আজহা’, ‘বকরি ঈদ’ নামেই সর্বাধিক পরিচিত পায়। জেমস টেলরের বিবরণ অনুযায়ী, ১৮৩৮ সালে ঢাকা শহরের বণিকদের মধ্যে হিন্দুরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন; মুসলমান ও খ্রিষ্টান ছিলেন মাত্র চার-পাঁচজন করে। সে সময় আজকের মতো প্রতিটি ঘরে কোরবানি দেওয়ার...
    দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড়মাঠে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এই বৃহৎ জামাত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নেওয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এই মাঠে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মাহফুজুর রহমান। যেখানে জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহ, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমান এবং ১৯৭১ ও ২৪-এর শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়। সকাল থেকেই এই মাঠের প্রবেশদ্বারগুলো খুলে দেয়া হয়। মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা প্রতিটি মুসল্লিকে আর্চ ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লালি করে প্রবেশ করানো হয়। পুরো মাঠটি পর্যবেক্ষণের জন্য ছিল ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের ব্যবস্থা। এছাড়াও প্রতিটি কাতারে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা...
    ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসব। ইসলামে উৎসব ও আনন্দের উপলক্ষ হিসেবেই দুই ঈদের প্রবর্তন ঘটেছে। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় এসে দেখেন মদিনাবাসী নির্দিষ্ট দুটি দিনে খেলাধুলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, এ দুটি দিন কিসের? সবাই বলল, জাহেলি যুগে আমরা এই দুই দিন খেলাধুলা করতাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের এ দুই দিনের পরিবর্তে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। তা হলো, ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১১৩৪) দুই ঈদের ভেতর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে থাকে। কেননা আদম (আ.) থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া...
    ইংরেজ আমলের দীর্ঘকাল পর্যন্ত সবার ধারণা ছিল বাংলার অধিকাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী। কিন্তু ১৮৭২ সালে প্রদেশটির প্রথম আনুষ্ঠানিক আদমশুমারিতে দেখা যায় সমগ্র বাংলায় প্রায় অর্ধেক এবং পূর্ব বাংলায় অর্ধেকের বেশি মানুষ মুসলমান। অনেক এলাকায় তাদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।  তাছাড়া আরবদের পর বাঙালিরাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী। ইসলামের সূতিকাগার আরব দুনিয়া থেকে অনেক দূরে অবস্থিত বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কীভাবে মুসলিম হয়েছিল, এ নিয়ে নানা জনের নানা মত আছে।  তৎকালীন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সরকারী কর্মকর্তা জেমস ওয়াইজ লেখেন যে, ‘১৮৭২ সালের আদমশুমারীতে উদঘাটিত সব চাইতে কৌতুহলোদ্দীপক তথ্যটি হলো পুরনো রাজধানীগুলোর চারদিকে জড়ো হয়ে নয়, বরং বদ্বীপের পাললিক সমতলের নিভৃত পল্লীতে বিপুল সংখ্যক মুসলমান বসবাস করে’।  এ বিষয়ে  প্রথম উত্তপ্ত বিতর্কের সূত্রপাত ঘটান আদমশুমারির প্রতিবেদনের সঙ্কলক হেনরি বেভারলি। তিনি যুক্তি দেখান,...
    সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন। শনিবার সকালে পাড়া-মহল্লায় ঈদের নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন রাজধানীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সরেজমিনে ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে। কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো. সাদেকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আল্লাহর নামে কোরবানি দিচ্ছি। ইতোমধ্যে গরু জবাই হয়ে গেছে। আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের আশায় এই কোরবানি দেওয়া। কবুল করার মালিক আল্লাহ। রামপুরার বাসিন্দা গোলাম ফারুক বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছি। তারপর ঈদগাহ মাঠ থেকে এসে কোরবানি দিয়েছি। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে তাওফিক দান করেছে তাই আমি...
    কানাডায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। দেশটির ক্যালগেরি শহরের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় নানা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালিরাও অংশ নেন। ক্যালগেরির আকরাম জুম্মা মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় ঈদের নামাজ সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় ঈদের নামাজ সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন ইমাম শেখ ইউসুফ ট্রায়া। এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির মসজিদ বিএমআইসিসিতেও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের প্রথম নামাজ বিএমআইসিসি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় ঈদের নামাজ সকাল সাড়ে ৮টায় সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে সকাল থেকেই নামাজ আদায় করেন। ইসলামিক সেন্টার অফ আকরাম জুম্মার (এমসিসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, আকরাম জুম্মা মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা বরাবরের মতো সকাল থেকেই...
    ত্যাগ আর উৎসর্গের আদর্শে মহিমান্বিত পবিত্র ঈদুল আজহা আজ। আরবি মাসের ১০ জিলহজ তারিখে এই ঈদ উদ্‌যাপিত হয়। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি উদযাপন করবে। মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আসছে। সকালে মুসল্লিরা কাছাকাছি ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।...
    ‘ঈদুল আজহা মানুষকে শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায়’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও চরম ত্যাগের অনুপম নিদর্শন। হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হন। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আত্মদানের এই সুমহান দৃষ্টান্ত কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয়...
    আগামীকাল ৭ জুন শনিবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। আমাদের দেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আযহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আসছে। আগামীকাল সকালে মুসল্লিরা কাছাকাছি ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আযহার সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক...
    আগামীকাল ৭ জুন শনিবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। আমাদের দেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আযহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আসছে। আগামীকাল সকালে মুসল্লিরা কাছাকাছি ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আযহার সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক...
    ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদুল আজহার গুরুত্ব অপরিসীম। এর ঐতিহাসিক ভিত্তি হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের আদর্শ। তিনি যখন আল্লাহর আদেশে তাঁর প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে উদ্যত হন, তখন আল্লাহ তাঁর খাঁটি নিয়ত দেখে পুত্রের পরিবর্তে একটি পশু পাঠিয়ে সেই কোরবানি কবুল করেন। সেই ঘটনার স্মরণে প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে থাকেন।শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির সংজ্ঞা হলো জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কিছু পশু জবাই করা। এ আমলকে ইসলাম ‘কোরবানি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব? একজন প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলমান, যিনি কোরবানির নির্ধারিত সময়ে সাহেবে নিসাব হন, অর্থাৎ যাঁর কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে...
    পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কামনা করে ‘ঈদ মোবারক’ জানান। তারেক রহমান বলেন, “ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা। বিশ্বাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতি বছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা।” আরো পড়ুন: ৩৫ মণের ‘কালো মানিক’ নিয়ে খালেদা জিয়ার...
    মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ইসলামে যে পাঁচটি অবশ্যপালনীয় বিধান আছে, তার অন্যতম হজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য হজ পালন করা ফরজ। এই হজের অনুষঙ্গ হিসেবেই কোরবানি দেওয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফাত ময়দানে সমবেত হয়ে পবিত্র হজ পালন করবেন। বাংলাদেশ থেকে এবারও লক্ষাধিক মানুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।ত্যাগের মধ্যেও যে আনন্দ আছে, সেটাই ঈদুল আজহার শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে তাঁর প্রিয় বস্তু কোরবানি করার নির্দেশ দেন। এরপর হজরত ইব্রাহিম তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দেওয়ার জন্য নিয়ে যান। এর মাধ্যমে তিনি আল্লাহর প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য প্রদর্শন করেন। এ সময় আল্লাহর নির্দেশে তিনি পুত্র ইসমাইলের বদলে সেখানে একটি দুম্বা কোরবানি...
    ত্যাগের বাণী নিয়ে বছর ঘুরে এসেছে লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষকে পরাভূত করার সময়। এসেছে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম সময়। আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাত ময়দান। সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীকাল। বাংলাদেশে শনিবার উদযাপিত হবে ঈদ। বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব গেছেন ৮৭ হাজার ১৫৭ জন। বিভিন্ন দেশের ও স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা ২০ লাখের মতো। ধর্মপ্রাণ এই মুসলমানরা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে আজ পবিত্র হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিচ্ছেন। ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে অন্যতম স্তম্ভ হজের দ্বিতীয় রুকন আদায়ের জন্য তারা মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত...
    কোরবানির মাংস সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়: এক ভাগ পরিবারের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-বন্ধুদের জন্য এবং এক ভাগ গরিব-দুস্থদের জন্য। কিন্তু একটি সাধারণ প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে: কোরবানির মাংস কি মুসলমানদের বাইরে অন্য ধর্মাবলম্বী কাউকে দান করা বৈধ?ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী কিছু শর্ত সাপেক্ষে কোরবানির মাংস অমুসলিমদের দেওয়া যায়। প্রখ্যাত সৌদি আলেম শাইখ মুহাম্মদ ইবনে সালিহ আল-উসাইমিন (রহ.) বলেছেন, ‘যদি কোনো অমুসলিম মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত না থাকে, তবে তাকে কোরবানির মাংস দান করা বৈধ।’তিনি এই মতামতের সমর্থনে কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করেছেন, ‘আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে ধর্মের কারণে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের ঘর থেকে বিতাড়িত করেনি, তাদের সঙ্গে ন্যায় ও দয়ার সঙ্গে ব্যবহার করতে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন। কিন্তু যারা ধর্মের কারণে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ...
    আগামী শনিবার দেশব্যাপী পালিত হইতে যাইতেছে মুসলমানদের   অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আনন্দের সহিত ত্যাগেরও    বার্তাবাহী এই উৎসব উপলক্ষে সমকাল পরিবারের পক্ষ হইতে গ্রাহক, পাঠক, সাংবাদিক, কর্মচারী, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতাসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে  আন্তরিক শুভেচ্ছা।  স্রষ্টার প্রতি পূর্ণ ও শর্তহীন আনুগত্য প্রদর্শন করিয়া হজরত ইব্রাহিম (আ.) নির্দ্বিধায় আপন পুত্র ইসমাঈলকে (আ.) কোরবানি দিতে উদ্যত হন। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশে কোরবানি হয় তাহার পুত্রের পরিবর্তে একটি পশু। স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের স্মারক সেই মহান ঘটনাই ধর্মীয় বিধানরূপে সমগ্র বিশ্বের মুসলমান‍ অনুসরণ করিয়া থাকেন। যাহার অংশ হিসাবে প্রতি বৎসর ঈদুল আজহায় বাংলাদেশের মুসলিমরাও স্বীয় সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেন। এ কারণেই কোরবানিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেক মনীষী মনের পশু কোরবানির সহিত তুলনা করিয়াছেন। মনের পশু কোরবানির অর্থ সমস্ত হিংসা, দ্বেষ, অহম...
    হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভই নয়; মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বড় সম্মিলনও বটে। সারাবিশ্বের মুসলমান পবিত্র জিলহজ মাসে বায়তুল্লাহ জিয়ারতের জন্য মক্কায় মিলিত হন। হজের মাধ্যমে উপস্থিত হাজিরা বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেন– বিশ্বের সব মুসলমান এক জাতি। তাই তারা সাদা হোক বা কালো, ধনী কিংবা গরিব; তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। তারা সবাই মহান আল্লাহর বান্দা।  ৯ জিলহজ পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফার ময়দান সারাবিশ্ব থেকে আসা মুসলমানের লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। অর্থাৎ হাজিরা বলছেন– হে আল্লাহ, আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির; তোমার কোনো শরিক নেই। এদিন আরাফার ময়দানে অবস্থান এবং খুতবা হজের প্রধান আয়োজন।   হজ ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহপাকের নির্দেশে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠানোর পর হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া...
    ইসলামের প্রাথমিক যুগের মুসলমানদের সঙ্গে আজকের মুসলমানদের অন্যতম একটি পার্থক্য হলো তাঁদের দৃঢ়তা ও সাহসিকতায়। ইসলামের সূচনালগ্নে যে সমাজ গড়ে উঠেছিল, তা ছিল এমন কিছু মানুষের দ্বারা নির্মিত, যাঁরা ছিলেন আত্মত্যাগে প্রস্তুত, আল্লাহর নির্দেশে সমর্পিত, আদর্শে অটল, আর সাহসিকতায় অনন্য। এই সাহস কেবল বাহ্যিক দৃঢ়তা নয়, বরং ইমান ও তাওয়াক্কুল থেকে উৎসারিত এমন এক শক্তি, যা তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে, সত্য প্রতিষ্ঠায় উৎসর্গ করেছে এবং মৃত্যুর মুখেও ভীতসন্ত্রস্ত করেনি।কোরআনে সাহসিকতার শিক্ষাপবিত্র কোরআনে সাহসিকতা ও দৃঢ়তার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য অবলম্বন করো, মোকাবিলার সময় অবিচলতা প্রদর্শন করো এবং সীমান্ত রক্ষায় স্থিত থাকো। আর আল্লাহকে ভয় করে চলো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ২০০)তিনি বলেন, ‘তারা যদি আমার ডান হাতে সূর্য আর...
    বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিছক ভূগোল নয়; যেন এক নৃশংস আয়না, যাতে ভারতীয় গণতন্ত্রের সাজানো ময়ূর পেখম ঝরে পড়ে। মে মাস থেকে রাতের আঁধারে নারী-পুরুষ-শিশু, এমনকি আদালতে বিচারাধীন শরণার্থীকে পর্যন্ত গহিন বন ও উত্তাল নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কারও হাতে খাবার নেই, কারও গায়ে কাপড় পর্যন্ত নেই।  অমানবিক অভিযানগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মোদি সরকারের সুপরিকল্পিত বর্জননীতি, যাতে মুসলমানসহ সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব রাজনৈতিক লাঠিতে পরিণত হয়েছে। সুন্দরবনের খাঁড়িতে একসঙ্গে ৭৮ জনকে ফেলে রাখা; ফেনী নদীতে পাঁচ নারী-শিশুকে প্লাস্টিক বোতলে বেঁধে ভাসিয়ে দেওয়া অথবা দিল্লি থেকে তুলে আনা ৪০ রোহিঙ্গাকে নৌবাহিনীর জাহাজে আন্দামান সাগরে নামিয়ে দেওয়া– এসব কাহিনি ভারতীয় রাষ্ট্রের নির্দয় চেহারাই উন্মোচন করে।  আন্দামানের অন্ধকার সমুদ্রে তাদের ছিল শুধু সস্তা লাইফ জ্যাকেট; জাহাজের সেদ্ধ ভাতও ছুড়ে দেওয়া হয়নি। ঢেউয়ে দুলতে দুলতে ১০...
    বাংলাদেশে বহুমুখী রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। টানাপোড়েনের দৃশ্যমান স্তরে রয়েছে ‘সংস্কার’ প্রশ্নে বিতর্ক-বিবাদ। পরোক্ষ স্তরে চলছে নির্বাচনকেন্দ্রিক অঙ্ক এবং অঙ্ক না মেলার কাজিয়া। সবই করছে মূলত মূলধারার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়।সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ের কোনো আলাপে সংখ্যালঘুদের জনপ্রতিনিধিত্ব নিয়ে আপাতত কোনো প্রস্তাব বা তর্ক নেই। হয়তো ধরে নেওয়া হচ্ছে, সংবিধান ও সংসদের সংস্কার উদ্যোগে বড় দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিত্বের সমস্যাও মিটবে।বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ নানান ধর্ম ও বহু জাতের নাগরিক আছেন। তবে অনেকে বলেন, এখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে পৃথক বর্গ নেই। সবাই আমরা ‘বাংলাদেশি’। রাজনৈতিক উচ্চাশা হিসেবে এটা বেশ ভালো শোনায়। এ রকমই হওয়া দরকার। কিন্তু অমুসলিম ও অবাঙালি বাংলাদেশিরা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক বর্গ হিসেবে পৃথক অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা নিয়েই জীবন যাপন করে। সংখ্যাগুরুরা যদিও মনে করে ‘সংখ্যালঘু’ বলে কিছু নেই, কিন্তু সংখ্যালঘু...
    ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত এপ্রিলে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে দেশটিজুড়ে একের পর এক মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।ভারতের কবি ও গবেষক নাবিয়া খান ভারতে ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে গত ২২ মে মিডল ইস্ট আইয়ে লেখা এক মতামত কলামে বলেন, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন। এর প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে দিল্লিভিত্তিক সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অব সিভিল রাইটস’ দেশজুড়ে ১৮৪টি মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার তথ্য নথিভুক্ত করেছে। এর প্রায় অর্ধেক অভিযোগ বিদ্বেষমূলক বক্তব্যসংক্রান্ত। আর বাকি ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল ভয় দেখানো, হয়রানি, হামলা, ভাঙচুর, হুমকি, গালাগাল করা ও তিনটি হত্যার ঘটনা।এখানে যে শুধু ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সহিংসতা হচ্ছে তা নয়; এর চেয়েও বিপজ্জনক এক পরিবর্তন ঘটছে। তা হলো, সন্দেহকে রাজনীতির মূলস্রোতে অন্তর্ভুক্ত করা ও ভারতে মুসলমান পরিচয়ের মানে কী, তা...
    পৃথিবীর সব ধর্মেই অতিথি বা মেহমানের সমাদর, যত্নআত্তি ও আপ্যায়ন করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেবল ধর্মীয় নির্দেশ মেনে পুণ্য অর্জনের জন্য নয়, মানবিক কারণেও মানুষ অতিথিসেবা ও মেহমানের আপ্যায়ন করে থাকেন। অতিথি বলতে কেবল আত্মীয়স্বজন বোঝায় না, বরং মুসাফির ও আগন্তুকেরাও সংশ্লিষ্ট এলাকার অতিথি। আতিথেয়তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরোনো। প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় অতিথির প্রয়োজন পূরণ এবং তাঁকে সেবাদান করা ঐশ্বরিক বিধান হিসেবে পালিত হতো।মুসলমানদের ধর্মপিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) মেহমান ব্যতীত কখনো খাবার গ্রহণ করতেন না। মেহমান না থাকলে তিনি কোনো দরিদ্র মানুষকে নিয়ে আসতেন এবং তাঁকে আপ্যায়ন করাতেন। প্রাচীন ভারতে অতিথিকে দেবতা জ্ঞান করা হতো এবং বর্তমানেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতিথি ব্যক্তি দেবতা হিসেবে বিবেচিত হন। এস্কিমো জাতিগুলোর মধ্যে অতিথিসেবার জন্য অদ্ভুত এক প্রথা প্রচলিত আছে—তারা অতিথিকে...
    উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলাপ তুললে আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে কলকাতার কথা মনে না এসে উপায় থাকে না। তখন কলকাতাই ছিল আধুনিক অর্থে আমরা যাকে বাংলা সাহিত্য বলে প্রায় সর্বসম্মত স্বীকৃতি দিয়েছি, তার প্রধানতম চর্চাস্থল। সে কলকাতায় বাঙালি মুসলমানের তুলনায় উর্দুভাষী মুসলমানরা কেবল সংখ্যায় নয়, প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক থেকেও বেশ অগ্রসর ছিল। এমতাবস্থায় ‘বাংলা সাহিত্যে’র সাপেক্ষে আলাপ তুলে আমরা বাঙালি মুসলমানকে যতই আলাদা করতে চাই না কেন, দুটি সংশ্লিষ্ট ও প্রতাপশালী জনগোষ্ঠীর হিস্যা বাদ দিয়ে সে আলাপ পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।এর প্রথমটি যদি হয় বাংলা অঞ্চলের অবাঙালি মুসলমান সম্প্রদায়, অন্যটি হবে হিন্দু ভদ্রলোক সমাজ। উনিশ শতকের বাংলা ভাষাচর্চা, সাহিত্যচর্চা এবং পশ্চিমা অর্থে আধুনিকতার চর্চা প্রধানত শেষোক্ত সমাজটিই করেছিল। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এবং চর্চাকারীরা সংখ্যায় খুব কম হলেও সে চর্চার ফলাফল বর্ণাঢ্য...