2025-09-17@21:52:05 GMT
إجمالي نتائج البحث: 263

«ম সলম ন র»:

    অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘‘সরকারকে আমি সাবধান বাণী উচ্চারণ করছি, মানুষকে ঘর থেকে বের করে ইমানদার মানুষকে দিয়ে আর এই দেশে ধর্মীয় গৃহযুদ্ধ লাগায়েন না।’’ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘রাজবাড়ীতে একজন মানুষের দেহবাশেষ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নাউজুবিল্লাহ। যারা এ কাজ করেছে তারা মুসলমান না। আমি সমস্ত মানুষকে, ধর্মকামী মুসলমানকে এসবের প্রতিবাদ না শুধু আমি তাদের প্রতিরোধ করতে বলি।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘তৌহিদী জনতা হোক আর যেই হোক আর যদি মাজার ভাঙে তাহলে খবর আছে। এ দেশের ইমানদার মানুষ কিন্তু রাস্তায় নামবে বলে দিলাম।’’ ঢাকা/রুমন/রাজীব
    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.)। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মায়ের কোল আলোকিত করে দুনিয়াতে আসেন। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ তারিখেই ৬৩ বছর বয়সে তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। এজন্য এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।  ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ পাঠ, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করবেন। অনেকে এই দিনে নফল রোজা রাখেন। এছাড়া, দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা...
    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।” ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে দেওয়া শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্ব) এক বাণীতে তিনি বলেন, “ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।” আরো পড়ুন: ‘আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না, নির্বাচন দিয়ে চলে যান’ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত...
    আসন্ন নির্বাচন‌কে সাম‌নে রে‌খে সুন্নী মতাদর্শভি‌ত্তিক তিনটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মি‌লে বৃহত্তর সুন্নী জোটের আত্মপ্রকাশ ঘ‌টে‌ছে। জো‌টের শ‌রিক তিনদল হ‌লো বাংলা‌দেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলা‌দেশ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। তিন শ‌রিকদ‌লের চেয়ারম‌্যান যথাক্রমে আল্লামা এম এ মতিন, পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ও পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ সাইফুদ্দীন আল হাসানী নতুন জো‌টের শীর্ষ‌নেতা থাক‌বেন। এই জো‌টে চেয়ারম‌্যান ও মহাস‌চিব বল‌তে কো‌নো পদ থাক‌ছে না। তিন দ‌লের মহাস‌চিব থাক‌বেন মুখপা‌ত্রের দা‌য়ি‌ত্বে। শ‌নিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জো‌টের ঘোষণা দেন ইসলামী ফ্রন্টের মহাস‌চিব অধ‌্যক্ষ সওম আব্দুস সামাদ। তি‌নি ব‌লেন, ‘‘বাংলা‌দে‌শের অ‌ধিকাংশই সুন্নি মুসলমান। আহ‌লে সুন্নাত ওয়াল জামাআ‌তের আদ‌র্শে বিশ্বাসী। আজ‌কে তিন‌টি রাজ‌নৈ‌তিক দ‌লের সমন্ব‌য়ে বৃহত্তর সু‌ন্নি‌জোট গ‌ঠিত হ‌য়ে‌ছে। আমরা দে‌শের ছ‌ড়ি‌য়ে ছি‌টি‌য়ে থাকা সু‌ন্নি...
    রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল প্রার্থী ‘ভ্যালেন্টিনা গোমেজ’ কর্তৃক  পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতে বাংলাদেশ।  শুক্রবার (২৯ আস্ট) বাদজুম্মা আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  তাহরীকে খতমে নুবুওয়াত বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাওবান সাকিবের সঞ্চালনায় আল্লামা মুফতি ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুফতি হাফেজ আ. রহিম, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভাপতি বক্ত্যবে ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ নামে এক কুলাঙ্গার কোরআনুল কারীমের মধ্যে অগ্নিসংযোগ করেছে অত্যন্ত দুঃখজনক মেনে নেবার মত নয় । তিনি আরো বলেন,আমরাও মুসলমান পারি হাজার হাজার বাইবেল এক জাগায় স্তুপ করে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে। আমাদের সুমহান ইসলাম এ আদর্শ...
    রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল প্রার্থী ‘ভ্যালেন্টিনা গোমেজ’ কর্তৃক  পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতে বাংলাদেশ।  শুক্রবার (২৯ আস্ট) বাদজুম্মা আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  তাহরীকে খতমে নুবুওয়াত বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাওবান সাকিবের সঞ্চালনায় আল্লামা মুফতি ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুফতি হাফেজ আ. রহিম, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভাপতি বক্ত্যবে ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ নামে এক কুলাঙ্গার কোরআনুল কারীমের মধ্যে অগ্নিসংযোগ করেছে অত্যন্ত দুঃখজনক মেনে নেবার মত নয় । তিনি আরো বলেন,আমরাও মুসলমান পারি হাজার হাজার বাইবেল এক জাগায় স্তুপ করে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে। আমাদের সুমহান ইসলাম এ আদর্শ...
    শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘বাঙালি মুসলমানের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক লড়াই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-বিল্ডিংয়ে লিখিয়ে সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে এ আয়োজন হয়। লিখিয়ে সাহিত্য সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাফওয়ান চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লেখক ও গবেষক ফাহমিদ-উর-রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফাহমিদ-উর-রহমান বলেন, “আমাদের আত্মপরিচয়কে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বাঙালি মুসলমানরা লড়াইয়ের মাঝেই আছে। বাঙালি মুসলমানের একটি রেনেসাঁ প্রয়োজন। নিজেদের আত্মপরিচয়ের সংকট দূর করার মাধ্যমেই এই লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব।” আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে সমাজ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস নিরীক্ষার কাগজ ‘বাঙলানামা’। শাবিপ্রবি/ইকবাল/সাইফ
    জুমার নামাজ ইসলামের একটি বিশেষ ইবাদত, যা মুসলমানদের সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে জামাতের সঙ্গে আদায় করা হয়। কোরআনে জুমার নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত অগ্রসর হও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)এ আয়াত থেকে জুমার নামাজের তাৎপর্য স্পষ্ট। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, জুমার নামাজ কত রাকাত? আমরা জুমার নামাজের রাকাত সংখ্যা, এর ইসলামি বিধান, সুন্নাহ ইত্যাদি বিস্তারিত আলোচনা করব।জুমার নামাজের রাকাতসংখ্যা জুমার নামাজের রাকাতসংখ্যা ইসলামি শরিয়াহ দ্বারা সুনির্দিষ্ট। এটি জোহর নামাজের পরিবর্তে শুক্রবার আদায় করা হয়। রাকাতসংখ্যা নিম্নরূপ—ফরজ নামাজ: জুমার ফরজ নামাজ দুই রাকাত। এটি জামাতের সঙ্গে মসজিদে ইমামের নেতৃত্বে আদায় করা হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জুমার নামাজ দুই রাকাত, যা...
    ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল মুক্তির ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা আজাদি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা মুক্তি ও প্রথম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে। ইশতেহার ও সিলসিলার যৌথ আয়োজনে ভাষা ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সালের এই দিনে ভারতবর্ষের মুসলমানরা দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিল, যা ছিল ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শোষণ ও বঞ্ছনা থেকে মুক্তির দিন। কিন্তু আমাদের সেই ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। অথচ আমাদের শেখানো হয়- হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস শুরু হয়েছে বায়ান্ন থেকে।  আরো পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি সংসদের নেতৃত্বে জাহিন-রাফি...
    দিল্লি পুলিশ একটি চিঠিতে বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ হিসেবে উল্লেখ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলা কলঙ্কজনক, অপমানকর, দেশবিরোধী এবং অসাংবিধানিক কাজ। এটি ভারতের সব বাংলাভাষী মানুষকে অপমান করে। তারা আমাদের হেয় করে (চিঠিতে) এমন ভাষা ব্যবহার করতে পারে না।’দিল্লির পুলিশ যে চিঠিতে বাংলাকে বাংলাদেশি ভাষা বলেছে, সেটি বাংলাভাষী কয়েকজনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে একটি এফআইআর তদন্তের নথি অনুবাদ-সম্পর্কিত। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দিল্লিতে যে পান্থশালা আছে, সেখানকার কর্মকর্তাদের সাহায্য চাইতেই ওই চিঠি। চিঠিটি জুলাইয়ের ২৯ তারিখের। কিন্তু তার মাসখানেক আগে থেকে মমতা বাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন।আরও পড়ুন‘পুশ ইন’ কি দিল্লির বৈরী নীতির অংশ নয়১১ জুন ২০২৫দিল্লিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি...
    আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের সনাতনীদের নিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০–এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোরও পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে দেবে।’বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার মাঝে একটা রাজনীতি আছে। এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে অনেক সাম্প্রদায়িক...
    পিতৃ-আদেশে রবীন্দ্রনাথ উনিশ শতকের শেষ পর্বে যখন জমিদারিকাজ তদারকের জন্য তৎকালীন পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশে) এলেন, তখন সত্যিকার অর্থে রবীন্দ্রনাথের পুনর্জন্ম ঘটল। তাঁর জন্ম ভারতের রাজধানী কলকাতায়, সেখান থেকে বাবার সঙ্গে গিয়েছেন উত্তর ভারতে, হিমালয়ে; গিয়েছেন মেজ ভাইয়ের কর্মস্থল মধ্য-দক্ষিণ ভারতে আর ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডনে। যখন শিলাইদহ, শাহজাদপুর আর পতিসরে এলেন, পূর্ববঙ্গের পলিমাটিপ্রধান নদীবিধৌত প্রকৃতিলালিত সহজ–সরল মানুষের সংস্পর্শে রবীন্দ্রচেতনায় বিরাট-বিশাল পরিবর্তন সাধিত হলো। গঙ্গার তীরে জন্ম হলেও গঙ্গাজলের পবিত্রতায় আস্থা ছিল না তাঁর। শিলাইদহে এসে ভালোবাসলেন পদ্মাকে, পদ্মাতীরবর্তী মানুষদের। অধিকাংশ সময়ই থাকতেন পদ্মায়, বোটে। এই অকৃত্রিম ভালোবাসা তাঁর সাহিত্যে—বিশেষত ছোটগল্প, কবিতা ও গানের সৃষ্টিতে আমূল পরিবর্তন সঞ্চার করল। পদ্মায় বসবাস, পূর্ববঙ্গের প্রকৃতিলালিত মানুষের বৈশিষ্ট্য দর্শন ও এসবের প্রতি নিবিড় অনুরাগ তাঁর সৃষ্টিতে, চিন্তায় আর জীবনদর্শনে সার্বিক পরিবর্তন সাধন করল। একালে ভ্রাতুষ্পুত্রী...
    পি চিদাম্বরম ছিলেন মনমোহন সিংয়ের অর্থমন্ত্রী। হিন্দুত্ববাদের কট্টর সমালোচক; কিন্তু চিদাম্বরমের ‘ডেভেলপমেন্ট’ (উন্নয়ন) ছিল হাসিনার উন্নয়ন দশকের মতো। একদিকে ভারতে বিএমডব্লিউ বাড়ছে, পাঁচতারা হোটেল বাড়ছে, আরেক দিকে কৃষকের আত্মহত্যা বাড়ছে। জিডিপি বাড়ছে, আবার গরিব মানুষের ক্ষুধা আর বিপন্নতাও বাড়ছে। ঝাড়খন্ড আর ছত্তিশগড়ের হাজার হাজার হেক্টর কৃষিজমি কেড়ে নিয়ে উপহার দেওয়া হলো বক্সাইট কোম্পানিগুলোকে। ২০১২ সালে অরুন্ধতী রায় লিখেছিলেন, ‘মিস্টার চিদাম্বরমস ওয়ার’। রায় বললেন, অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম ভারতের কৃষকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন। তত দিনে বিজেপির উত্থান ঘটেছে। ‘সেক্যুলার’ কংগ্রেসের অত্যাচারে কৃষক অতিষ্ঠ। বিজেপির সামনে সহজ টার্গেট। বিজেপি বলল, সেক্যুলার মানেই হিন্দুর শত্রু, গরিবের শত্রু। আর বিজেপি হলো ভারতের নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি। বিজেপির ভোট বাড়ল। ১০ বছর পর পি চিদাম্বরম বই লিখলেন সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্র নিয়ে। মুসলমান নিধনের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। কিন্তু কৃষক-মারা চিদাম্বরমের এই সেক্যুলারিজমের...
    ১৯৯৮ সাল। নজরুলজন্মশতবার্ষিকী চলছে দেশজুড়ে। ওই বছরই বর্ধমানের নজরুল একাডেমি থেকে আমাকে ‘নজরুল-পুরস্কার’ দেওয়া হলো। ওই পুরস্কার আনতে কলকাতায় গেলাম। কলকাতার বাংলা আকাদেমি নজরুলজন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আমার একটি একক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। অন্নদাশঙ্কর রায়ের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে আমার ভাষণের পরপরই ছিল খ্যাতিমান আবৃত্তিকার প্রদীপ ঘোষের একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান। প্রদীপ ঘোষ আবৃত্তি করেছিলেন নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬) আটটি কবিতা। তার একটি, ‘কেন আপনারে হানি হেলা’ শুনে প্রদীপ ঘোষকে আমি অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে সাধুবাদ দিয়েছিলাম। এবং ঢাকায় ফিরে দু-একজন চেনা আবৃত্তিকারকে নজরুলের এই অনাদৃত কিন্তু গুরুত্ববহ কবিতার দিকে মনোযোগ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। আবৃত্তিকর্ম শিল্প কি না জানি না, কিন্তু ভালো আবৃত্তি কোনো একটি কবিতার কোনো কোনো বন্ধ দুয়ার খুলে দেয়, সে নিজের কানেই শোনা আছে। যেমন: কাজী সব্যসাচীর অসাধারণ আবৃত্তি। কিংবা ভোলা অসম্ভব...
    পৃথিবী আমাদের জন্য আল্লাহর আমানত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘শান্তিশৃঙ্খলা স্থাপিত হওয়ার পর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ৫৬)জলবায়ু পরিবর্তন এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় হুমকি, যা আমাদের খাদ্য, পানি ও অস্তিত্বকে বিপন্ন করছে। জাতিসংঘের আন্তসরকারি জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেল (আইপিসিসি) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষতি অপরিবর্তনীয় হতে পারে। তবে আমরা এখনো পদক্ষেপ নিয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারি। ইসলাম আমাদের পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখায়।যে ব্যক্তি শুষ্ক, অনুর্বর জমি পুনরুদ্ধার করে এবং চাষ করে, আল্লাহ তার জন্য পুরস্কার লিখবেন।আল–মুনাওয়ী, ফায়যুল কাদির, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩৯এই নিবন্ধে আমরা মুসলমানদের জন্য সাতটি ব্যবহারিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে।জলবায়ু সংকটের গুরুত্ব জলবায়ু পরিবর্তন হলো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের (যেমন কার্বন ডাই–অক্সাইড ও মিথেন) অতিরিক্ত...
    ‘শিখাগোষ্ঠী’র চিন্তাচর্চা কি আমাদের সমাজ-সাহিত্যে কোনো কার্যকর প্রভাব ফেলতে পেরেছে? যেসব প্রত্যয় সামনে রেখে শিখা প্রকাশিত হয়েছিল, শতবর্ষ পরে সেই প্রয়োজন কি ফুরিয়েছে? এসব জিজ্ঞাসাকে সামনে রেখে ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’–এর (১৯২৬-১৯৩৬) তৎপরতার একটা হাইপোথিসিস দাঁড় করানো যায়। শিখার (১৯২৭-১৯৩১) প্রকাশ কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, নানা ধরনের ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক পটভূমিতেই একটা প্রোডাক্ট তৈরি হয়। যাপিত জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, রাজনীতি-সংস্কৃতি থেকে এটাকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, জগন্নাথ কলেজকে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা তরুণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়ে ওঠে ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’। সংগঠনের মূল স্লোগান ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’।সেটাকে কালের সাপেক্ষে দেখা ও বিশ্লেষণ করাই অধিক যুক্তিযুক্ত। সে সময় বাংলা অঞ্চলের উর্দুভাষী ‘আশরাফ’ (অভিজাত—নিজেদের আরব,...
    নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ধর্মীয় সংস্কৃতির লীলাভূমি হল বাংলাদেশ।  মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা নিজ নিজ ধর্ম খুব সুন্দর ভাবে পাল করে আসছি। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী ধর্মীয় সম্পদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতো। এ ধরনের লোক কিন্তু বাংলাদেশের অভাব নাই।  বাংলাদেশের ৯৯% মানুষ কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি কিন্তু শ্রদ্ধাবোধ আছে। একজন ভালো মানুষ কখনো অন্য ধর্ম মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করতে পারে না। আর আমি কখনো দেখিনি কোন হিন্দু ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করে। বাংলাদেশের মুসলমান সংখ্যা ঘনিষ্ঠ বেশি এরপরে দ্বিতীয় স্থানে কিন্তু রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়। এর পরে রয়েছে বৌদ্ধ খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকজন। আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমে...
    হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। তাঁদের অনেকেই নির্যাতিত হয়েছেন। এ হামলা ও নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সংগঠন। তারা বলছে, এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ ঘটনা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের ওপর আঘাত। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।কটূক্তি, ধর্ম অবমাননা, অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া—এসব অভিযোগ তুলে হামলা-মামলা চলে আসছে অনেক দিন ধরে। নিকট অতীতে রামু, নাসিরনগর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ধুয়া তুলে দুর্বল সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর জুলুম হয়েছে। অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার নালিশ জানালেই হলো। পুলিশ বিদ্যুৎগতিতে তাকে ধরে নিয়ে যাবে। আদালতে রিমান্ড চাইবে। আদালত সঙ্গে সঙ্গেই দিয়ে দেবেন। এই ফর্মুলার নড়চড় হতে দেখছি না। ধর্ম একটি স্পর্শকাতর...
    শুভবুদ্ধিসম্পন্ন চিন্তাধারা বাঙালি মুসলমান সমাজে যাঁদের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়েছে, তা প্রত্যক্ষ করতে আমাদের চোখ ফেরাতে হয় কাজী মোতাহার হোসেনের (৩০ জুলাই ১৮৯৭—৯ অক্টোবর ১৯৮১) দিকে। ধরা হয়, ব্যক্তির মুক্তির মাধ্যমেই নিশ্চিত হতে পারে বৃহত্তর সমাজের মুক্তি। কাজী মোতাহার হোসেন এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন। তাই ব্যক্তির মুক্তিকে প্রাধান্য দিতেই যোগ দিয়েছিলেন বুদ্ধির মুক্তির দলে। আজ থেকে ৯৯ বছর আগে ১৯২৬ সালে বৃহত্তর মুসলিম সমাজের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম সাহিত্য সমাজ, যাদের মুখপত্র ছিল ‘শিখা’ নামের পত্রিকা। যে পত্রিকার শুরুতেই লেখা থাকত, ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ঠ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’। এই মুক্তির হাওয়া যেমন বাঙালি মুসলমান সমাজে ‘শিখা’ গোষ্ঠী বইয়ে দিতে চেয়েছিল, তার সদস্য ছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন চৌধুরীও। ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলনের সেই পটভূমিতেই তাঁর জীবন ও চিন্তাধারার...
    আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)এই আয়াত থেকে স্পষ্ট যে নামাজের সময় নির্দিষ্ট এবং এটি পালন করা মুসলমানের ওপর অবশ্যক। জিবরাইল (আ.)-এর কাছ থেকে রাসুল (সা.) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় শিখেছেন এবং সাহাবিদের তা শিক্ষা দিয়েছেন।একটি হাদিসে উল্লেখ আছে, জিবরাইল (আ.) দুই দিন রাসুল (সা.)-কে নামাজের সময় শিখিয়েছেন: প্রথম দিন প্রতিটি নামাজের শুরুর সময়ে এবং দ্বিতীয় দিন শেষ সময়ে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৯৩)আধুনিক যুগে, বিশেষ করে ব্যস্ত জীবনযাত্রায়, নামাজের সময় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। শুধু ঘড়ির কাঁটা দেখে নয়, প্রাকৃতিক নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শুরু ও শেষ সময় জেনে রাখা নামাজের প্রতি যত্নের বহিঃপ্রকাশ।জিবরাইল (আ.) দুই দিন রাসুল (সা.)-কে নামাজের সময় শিখিয়েছেন: প্রথম দিন প্রতিটি নামাজের শুরুর সময়ে...
    ‘আল্লাহু আকবার’, এই শব্দের উচ্চারণ মুসলমানের হৃদয়ে আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বলা যায় ইসলামি জীবনধারার একটি মূলমন্ত্র, যা ইমান, ইবাদত ও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি প্রকাশ করে।‘আল্লাহু আকবার’–এর অর্থ ও তাৎপর্য ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো ‘আল্লাহ মহান’ বা ‘আল্লাহ সবচেয়ে বড়’। এই বাক্য তাকবির নামে পরিচিত এবং ইসলামে এটি আল্লাহর সর্বোচ্চ ক্ষমতা, মহিমা ও সার্বভৌমত্বের ঘোষণা। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাহর জন্যই হলো সর্বোচ্চ মহিমা।’ (সুরা ইসরা, আয়াত: ১১১)।আরও পড়ুনআজান এল কেমন করে ১০ নভেম্বর ২০২৪নামাজে ‘আল্লাহু আকবার’–এর ভূমিকা ‘আল্লাহু আকবার’ নামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু) থেকে শুরু করে রুকু, সিজদাহ ও বিভিন্ন অবস্থানে তাকবির উচ্চারণ করা হয়। এটি মুমিনকে স্মরণ করিয়ে...
    ১৯৮০-র দশকে আসাদ গেটের সামনে আমার স্কুল সেন্ট জোসেফ। একদিন শুনি সামনের কাতারের ছাত্র চিৎকার করে বলছে, ‘এই দেখ দেখ, চিঙ্কু যায়!’ চীনা লোক? মাও সে–তুংয়ের হাজার ফুল? তারা মোহাম্মদপুরে কী করছে, এই আদি ১৯৮৫ সালে? ভালোমতো তাকিয়ে দেখি গেটের বাইরে একজন আদিবাসী ছেলে। সে পাহাড়ি না সমতলের, বাংলাদেশের ২৭টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনটি—তাতে কিছু আসে যায় না। মুখের গড়নের কারণে বাঙালি, প্রধানত বাঙালি মুসলমান, ছাত্ররা তাঁকে নিষ্ঠুর বর্ণবাদী গালি দেওয়ার অধিকার পেয়ে গেল।১৪ বছর বয়সে প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রামে যাই, কাপ্তাই বিদ্যুৎ প্রকল্প দেখতে। মেশিনের শব্দ প্রচণ্ড। তার ওপর দিয়ে আমার চাচা যন্ত্রপাতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন। তিনি সবেমাত্র বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁর প্রকৌশলী কৌতূহল জলবিদ্যুৎ নিয়ে। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনলাম, মেশিনগুলো ছিল প্রযুক্তিগত বিস্ময়। আমি স্কুলে ফিরে একটি বিজ্ঞান...
    ইসলামের একটি সৌন্দর্য হচ্ছে সব মুসলমানের মধ্যে ভাইয়ের সম্পর্ক তৈরি করে দেওয়া, একজন অপরজনের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া। মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকেই, তবু এর মধ্যে কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে জীবন গতিশীল হয়ে ওঠে।সাহায্য মানে কেবল টাকাপয়সা দেওয়া নয়, সাহায্য অনেকভাবেই হতে পারে, এমনকি কথা দিয়েও সাহায্য করা যায়। কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে যদি বলেন, ‘দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে বিপদমুক্ত করুন’, এটাও কিন্তু সাহায্য। কোনো ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির দাতাকে গিয়ে যদি অনুরোধ করেন, ‘তাকে আর কয়েকটা দিন সময় দিন, সে ঋণের টাকা জোগাড় করতে পারেনি’, এটাও তাকে সাহায্য করবে।আরও পড়ুনহাসান ও হোসাইন নবীজির দুই নাতি০৬ জুলাই ২০২৫সাহায্য মানে কেবল টাকাপয়সা দেওয়া নয়, সাহায্য অনেকভাবেই হতে পারে, এমনকি কথা দিয়েও সাহায্য করা যায়।নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে লোক কোনো মুসলমানের দুনিয়ার বিপদ–আপদের মধ্যে...
    জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও স্বাধীনতার সংগ্রামে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। রবিবার (১৩ জুলাই) কাশ্মীর শহীদ দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন। খবর জিও নিউজের। শাহবাজ শরীফ বলেন, “প্রতি বছর এই দিবসটি ২২ জন কাশ্মীরির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পালিত হয়, যারা ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের ডোগরা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এই দিনটি কাশ্মীরের মুসলমানদের সহজাত দৃঢ়তা, নৃশংস শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও অটল মনোবলের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।” পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “কাশ্মীরের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও কাশ্মীরিদের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম ইতিহাসজুড়ে অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মীরের জনগণ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের জন্য তাদের বৈধ সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করে আসছে এবং এখনও করছে।” আরো পড়ুন: বরেণ্য...
    জল ও পানির বিরোধের খবর তো আমরা জানিই। জিনিসটা একই। একই কল থেকে পাওয়া যাচ্ছে, একইভাবে তৃষ্ণা নিবারণ করছে। কিন্তু হিন্দু বলছে, সে জল পান করছে; মুসলমান বলছে, সে পান করছে পানি। এ নিয়ে ভীষণ গোলযোগ ছিল। অথচ ‘জলপানি’ পেতে হিন্দু-মুসলমান কোনো ছাত্রেরই আপত্তি ছিল না। আপত্তি থাকবে কেন? ওটা তো পুরস্কার, তাতে জল ও পানি মেশামেশি করে থাকলে অসুবিধাটা কোথায়? জলখাবারও ঠিকই চলত। পানিফল পেলে কেউ যে নামের কারণে তা ফেলে দিত, এমন মোটেই নয়। সাধারণ মানুষ জল ও পানির পার্থক্য নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাত না; তারা জিনিসটা পেলেই খুশি থাকত। কিন্তু মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণির মানুষ নিয়েই যত মুশকিল ছিল। তারা ভাষার ওই পার্থক্যকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চিহ্নগুলোর একটি হিসেবে আঁকড়ে ধরেছিল। সাম্প্রদায়িকতা জনগণের ব্যাপার ছিল না। ছিল দুই দিকের...
    ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে ব্রিটিশদের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উপমহাদেশে উপনিবেশবাদের নতুন অধ্যায়। এই বিজয়ের ফলে মুসলিমরা হয়ে ওঠে ব্রিটিশদের প্রধান সন্দেহভাজন। ফলে প্রতিটি পদে তাদের অগ্রযাত্রায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ক্রমাগত বৈষম্যের শিকার হয়ে বাংলা তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমরা শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্পচর্চা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের অঙ্গনে পিছিয়ে পড়ে। এই পশ্চাদপসরণ থেকে মুসলিম সমাজকে উদ্ধারের প্রয়াস যিনি প্রথম গ্রহণ করেন, তিনি হলেন নবাব আবদুল লতিফ। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই ছিল, মুসলিম সমাজের জাগরণ ও অগ্রগতির স্বপ্নে নিবেদিত। আজ ১০ জুলাই, তার প্রয়াণ দিবসে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এই মহান সংস্কারককে, যিনি ছিলেন বাংলা মুসলমানদের নবজাগরণের পথ প্রদর্শক। আরো পড়ুন: সাধারণ ছুটিসহ ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবির ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী...
    ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যোগ দিতে অথবা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে কি আপনি আগ্রহী, এমন প্রশ্নের জবাবে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ বলেছেন, তাঁরা আগ্রহী নন।সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও একশনএইডের একটি জরিপে তরুণদের এই মনোভাব উঠে এসেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা-সম্পর্কিত এই জরিপ গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়।জরিপে ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, দেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তরুণদের সংযোগ ‘অকার্যকর’ বলে মনে করেন তাঁরা। আর এই সংযোগ ‘খুবই অকার্যকর’ বলে মনে করেন ১৬ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা।আরও পড়ুনতরুণেরা চান শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সংস্কার, ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ২ ঘণ্টা আগেতরুণদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় বিষয়ে জরিপে কিছু মত দিয়েছেন উত্তরদাতারা। এগুলো হলো যুব বা ছাত্র নেতৃত্বাধীন শাখাগুলোর সংযোগসংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন।...
    কোনো দেশের একটা শহরের মেয়র হতে চাওয়া ৩৩ বছর বয়সী এক তরুণের বিরুদ্ধে এমন আন্তঃমহাদেশীয় রাজনৈতিক মৈত্রীর নজির সমকালীন বিশ্বে বিরল। নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে ঠিক তা-ই হতে চলেছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানরা তাঁর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনেকটা যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আবেদন করা হচ্ছে তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার।  ভারতের কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় দলের সমর্থকরা মামদানিকে চিহ্নিত করছেন প্রতিপক্ষ ‘পাকিস্তানের লোক’ হিসেবে। আর ইসরায়েল সমর্থক মিডিয়াগুলো তাঁর বিরুদ্ধে শুরু করেছে সমন্বিত প্রচার। যার মধ্যে ‘জুইস নিউজ নেটওয়ার্ক’ ৩ জুন লিখেছে, ‘মামদানি কেবল যে ইহুদিদের ঘৃণা করেন, তা-ই নয়; ইসরায়েলকে ধ্বংসও করতে চান।’ ইউরোপ-আমেরিকায় কাউকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ঘায়েল করতে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ তকমা বেশ কার্যকর। মামদানিকে এখন সেই ইমেজ দেওয়ার কাজ চলছে।  নিউইয়র্ক যেহেতু ডেমোক্র্যাট দলের ঘাঁটি, সে কারণে বাংলাদেশসহ দূরদূরান্তের দেশগুলোতে অনেকে...
    আশুরা মানেই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা। আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবনবাজী রেখে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করতে শেখায় আশুরা।  প‌বিত্র আশুরা উপল‌ক্ষে জাতীয় পা‌র্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কা‌দের এক বিবৃ‌তি‌তে একথা ব‌লেন।  তি‌নি বলেন, ‘‘পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলামের সুমহান আদর্শ সমুন্নত রাখতে কারবালার মাঠে প‌রিবারসহ ইমাম হোসাই‌নের জীবন দেওয়ার ত্যাগ সমুজ্জল হয়ে থাকবে।’’ আরো পড়ুন: ২৮ জুন বিকল্প স্থানে কাউন্সিলের আহ্বান শীর্ষ‌ নেতা‌দের বা‌জেট পর্যা‌লোচনা ক‌রে প্রতিক্রিয়া জানা‌বে জাপা শোকাবহ এই দিনে বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  গোলাম মোহাম্মদ কাদের ব‌লেন, ‘‘ঐতিহাসিক কারবালার মাঠে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ সহচর বিশ্বাসঘাতক ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে ‌নির্মমভা‌বে...
    আজ পবিত্র আশুরা। হিজরি ১৪৪৭ সনের ১০ মহররম। মুসলমান সম্প্রদায়ের গভীর শোকের দিন। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে কারবালার প্রান্তর রক্তাক্ত হয়েছিল। এই লড়াইয়ে ইমাম হোসেন সপরিবার জীবন উৎসর্গ করে সত্যের জয়গান গেয়ে যান, যা আজও পৃথিবীর তাবৎ মুসলিমকে অনুপ্রাণিত করে।  মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ইয়াজিদ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেন এবং এ জন্য ষড়যন্ত্র ও বলপ্রয়োগের পথ বেছে নেন। মহানবী (সা.)-এর আরেক দৌহিত্র হজরত ইমাম হাসান (রা.)-কে বিষপানে হত্যা করা হয়। আশুরার দিন ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেন, তাঁর পরিবার ও বাহিনীকে অবরুদ্ধ করে রাখে ইয়াজিদ বাহিনী। কারবালার যুদ্ধ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।অবরুদ্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন, ৭২ জন সঙ্গীসহ শাহাদাতবরণ করেন হজরত ইমাম হোসেন (রা.)। এ হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত নির্মম।...
    আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন। হিজরি মহররম মাসের দশম দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। সবশেষ ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)-এর এই তারিখে শাহাদত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে শোক ও ত্যাগের মহিমার এক অনন্য অনুষজ্ঞ। দিনটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।  প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, “পবিত্র আশুরা’র শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম...
    আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। আর মহররম অর্থ সম্মানিত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা জোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে...
    নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে জোহরান মামদানির বিস্ময়কর বিজয় দুটি শহর ও দুটি আমেরিকার গল্প। একটিতে আশাবাদী ও প্রগতিশীল রাজনীতির বাহক একজন যুবক, যা তাদের বিশাল তহবিল, নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক দলের সিলসিলার মধ্য দিয়ে এস্টাবলিশমেন্ট বা ক্ষমতা বলয়ের হর্তাকর্তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন এবং বিজয় ছিনিয়ে আনলেন। অন্য গল্পে বর্ণবাদ ও ইসলামবিদ্বেষের এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে মুসলিমবিদ্বেষী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরটি দখল করেছে। মামদানির জয়ের পর প্রবল স্রোত, তীব্র ও নোংরা বর্জ্যের মতো মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রতিরোধ্যভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আজকাল অবাক করে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক কিছু করতে হয়। কিন্তু মামদানি মূলধারার কুসংস্কারের অশ্লীল মাত্রা তুলে ধরতে বা উদোম করে দিতে অল্পতেই সক্ষম হয়েছেন। রাজনীতিবিদ, জনসাধারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সদস্য এবং সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব-অনুসারীদের নরককুণ্ড– সবাই একত্রে এমন...
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর চরমোনাই বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন সর্বোত্তম। এ বিষয়ে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছেন। এ পদ্ধতি একদিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অন্যদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ভাবনা বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, পিআর পদ্ধতিতে দলগুলো ভোটের অনুপাতে সংসদীয় আসন পায়। ফলে কোন দল এককভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারে না এবং সংসদে ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব ও নিশ্চিত হয়। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা আপোস এবং যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবেশ তৈরি হয়। তিনি বলেন, মুসলমানদের অনৈক্যের কারণে বর্তমান মুসলিম বিশ্ব আজ দিশেহারা। বাংলাদেশের মুসলমান আজ একটি বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে বাস করছে।...
    মুসলিম সম্প্রদায়কে শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ‘ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ পরবর্তী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব’ শীর্ষক একাডেমিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, “অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর তুলনায় মুসলমানদের মধ্যে আন্তঃসম্প্রদায়িক বিরোধ বেশি লক্ষ্য করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যদি একত্রিতভাবে কাজ করে, তাহলে অনেক সংকটের সমাধান সম্ভব।” আরো পড়ুন: ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ইরানের এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে: ইরান এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি ইরানের ঐতিহাসিক বিপ্লব, বর্তমান মার্কিন-ইরান উত্তেজনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ...
    ‘তাকওয়া’ শব্দটির অর্থ আল্লাহকে ভয় করে চলা, সব সময় তাঁর নির্দেশ মেনে চলা এবং গুনাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। এটি এমন একটি গুণ, যা একজন মুমিনকে আল্লাহর প্রিয় বানিয়ে তোলে।তাকওয়া থাকে অন্তরে, কিন্তু তার প্রভাব দেখা যায় মানুষের জীবনে। তাকওয়াবান মানুষ একা থাকলেও খারাপ কাজ করে না, কারণ সে জানে, ‘আমার রব আমাকে দেখছেন।’আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেমনভাবে ভয় করা উচিত। আর মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০২)আল্লাহ আরও বলেন, ‘আল্লাহ তাদেরকেই কবুল করেন, যাঁরা তাকওয়াবান।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ২৭) এই আয়াতগুলো আমাদের শেখায় তাকওয়া ছাড়া ইমান পরিপূর্ণ হয় না আর আল্লাহর নৈকট্য অর্জনও সম্ভব নয়।হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেমনভাবে ভয় করা উচিত। আর মুসলমান না হয়ে...
    ৩০ জুন জন্ম নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের অন্যতম চিন্তাবিদ, লেখক ও প্রতিবাদের প্রতীক। তাঁর পরিচয় বহুমাত্রিক—তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক চিন্তক। আহমদ ছফাকে শুধু ‘প্রাবন্ধিক’ বললে তাঁর গভীরতা, ব্যাপ্তি ও প্রভাবকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। তিনি ছিলেন সেই দুর্লভ বাঙালি, যিনি এক হাতে বই লিখতেন আর অন্য হাতে দেশের বিবেক জাগিয়ে তুলতেন।ছফার লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল যুক্তিনির্ভরতা ও বুদ্ধিবৃত্তির স্বাধীনতা। তিনি ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার এবং অন্ধ আনুগত্যের বিরুদ্ধে ছিলেন সর্বদা সচেতন। তাঁর মতে, জাতিকে যদি জাগ্রত করতে হয়, তবে আগে জাগাতে হবে চিন্তার স্বাধীনতা। একটি সমাজ তখনই বিকশিত হয়, যখন সেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকে, মতভেদকে সম্মান করা হয় এবং বিতর্ককে অগ্রগতি হিসেবে দেখা হয়। সুতরাং ছফার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন একটি যুক্তিবাদী, মুক্তচিন্তার পরিবেশ। পাঠ্যক্রমে মুক্তচিন্তা, যুক্তি...
    বাংলাদেশের আকাশে গতকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ শুক্রবার ১৪৪৭ হিজরির প্রথম দিন, তথা মহররম গণনা শুরু হবে। এ হিসাবে আগামী ১০ মহররম, অর্থাৎ ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা।  বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আশুরা উপলক্ষে আগামী ৬ জুলাই সরকারি ছুটি থাকবে। ফারসি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ ‘দশ’। তাই ১০ মহররম ‘আশুরা’ নামে পরিচিত। ৬১ হিজরি ১০ মহররম কারবালায় ফুরাত নদীতীরে ইয়াজিদ বাহিনী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় কন্যা ফাতিমার (রা.) পুত্র ইমাম হুসাইন (রা.)-কে হত্যা করে। এ কারণে মুসলমানদের কাছে দিনটি শোকের। তবে আশুরার আরও গুরুত্ব রয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, ১০ মহররম কেয়ামত হবে। এই দিনে পৃথিবীতে আদম (আ.)-এর আগমন...
    ২৪ জুন রাত। নিউইয়র্কের জ্যামাইকার মুসলিম সেন্টারের সামনে মানুষের জটলা। তরুণ, যুবক ও বয়স্ক মানুষও আছেন। সবাই উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। কয়েক দিন ধরে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন তাঁরা। সেই চিন্তার অবসান হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে তাঁদের প্রার্থী জোহরান মামদানি জয়ী হয়েছেন। তাঁদের এত দিনের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।কিছু দিনের জন্য সন্তানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি। আছি নিউইয়র্কেই। ফলে নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনের এই উত্তাপ ও উত্তেজনা দেখার সুযোগ হলো। এবারের সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা তৈরি করেছিলেন জোহরান। ধীরে ধীরে বিশ্ব মিডিয়ায় শিরোনাম হয়ে যান তিনি। এখন তো নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হওয়ার একেবারেই দ্বারপ্রান্তে তিনি। মুসলিম কাউকে এ প্রথম মেয়র হিসেবে পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ শহর।  এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে কথা বললাম। তাদের বিশাল...
    ইসরায়েল কয়েক যুগ ধরে মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে ষড়যন্ত্রের এক নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে। শেষ পর্যন্ত এবার তা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ইরানে মার্কিন-ইসরায়েল উস্কানির বিপরীতে কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সেই সাফল্যের প্রতিচ্ছবি। দেড় কোটি ইহুদি আরবের ৩৫ কোটি মুসলমানকে আত্মঘাতী সংঘাতে লেলিয়ে দিল! যেখানে ব্যবহৃত হলো মার্কিন, রাশিয়ান আর চীনা সমরাস্ত্র।  ইসরায়েল এবার আরব, ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকাকে তাদের পরিকল্পনামতো পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি টানেন, কিন্তু ইসরায়েল সফলভাবেই মুসলিম উম্মাহকে ভাইয়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েল যা পেরেছে, বিশ্বের আর কেউ অন্তত মার্কিন পরাশক্তিকে তাদের ঘাড়ে পা রেখে এভাবে আনুগত্যে বাধ্য করতে পারবে কিনা, সন্দেহ আছে। ৩৫ কোটি মুসলমানসহ গোটা বিশ্বের ধুরন্ধর শাসকদের ধুল খাওয়ানো ইসরায়েলই বিশ্ব-শাসক হওয়ার দাবিদার। ধীরে ধীরে আরব...
    রাসূলে আকরাম (সা.) এর বিদায় হজ এবং ঈদে গ্বাদীর উপলক্ষে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে রাজশাহীর শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইমামিয়া ওলামা সোসাইটির সেক্রেটারি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ড. এম আব্দুল কুদ্দুস বাদশা। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ রাসুলে আকরাম (সা.) ইসলামিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মোহাম্মদ আলী মোর্তজা। আরো পড়ুন: ভাঙা নয়, মূল নকশায় ফিরছে ভাস্কর্য ‘অঞ্জলি লহ মোর’: উপাচার্য ইউরোপীয় গুপ্তচর যেভাবে মক্কায় ঢুকেছিলেন রাজশাহী সুগার মিলস লিমিটেডের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওসমান গণী, রাজশাহী...
    ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জোরালোভাবে সামনে এসেছে। ইতোমধ্যে ২১টি মুসলিম দেশ এই অন্যায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বলা বাহুল্য, ইসলামী ঐক্য বা মুসলিম ভ্রাতৃত্ব কেবল নিজেদের পারস্পরিক সহযোগিতার তাগিদেই নয়, বরং এটি ইমানের পূর্ণতার জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কারণ এর নির্দেশ রয়েছে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে। কোরআনের একটি সুপরিচিত বাণী– ‘তোমরা আল্লাহর রশিকে ঐক্যবদ্ধভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে আঁকড়ে ধরো এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ো না।’ (আল ইমরান, ১০৩)। এ ব্যাপারে হাদিসের বাণী– ‘তোমরা কখনও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা ইমানদার হও, আর তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা একে অপরকে ভালোবাস...!’ (সহিহ মুসলিম)।  সহিহ মুসলিমের একটি হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আদ-দিনু আন-নাসিহাহ’। অর্থাৎ দ্বীন হচ্ছে কল্যাণ কামনা করা। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, কার জন্য হে আল্লাহর রাসুল?...
    ফিলিস্তিন ও ইরানসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। সংঠনটি ইসরাইলের আগ্রাসন মোকাবিলায় ফিলিস্তিন ও ইরানকে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করতে সব মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। আরো পড়ুন: বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এবারো দেশসেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিগত সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে: আব্দুল মঈন খান বিক্ষোভে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পাকিস্তানি ছাত্র মোহাম্মদ তাহের, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার আহ্বায়ক রাকিব...
    ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দ বা নবম হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দূরে তাবুক প্রান্তরে যুদ্ধের উদ্দেশে রওনা হন। তাবুক, মদিনা ও দামেস্কের (সিরিয়া) মধ্যবর্তী একটি স্থান। এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে আরবের কাফের, মুনাফিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সম্মিলিত চূড়ান্ত প্রচেষ্টা।তৎকালীন বিশ্বের পরাশক্তি রোমান সাম্রাজ্য মুসলিমদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চেয়েছিল। এক বছর আগে মুতার যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় রোমানদের জন্য অশনিসংকেত হয়ে ওঠে। এর প্রভাবে আরব ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রোমান শোষণ থেকে মুক্তির চেতনা জাগ্রত হয়। সিরিয়ার রোম-আরব সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস মুসলিম শক্তিকে দমন করতে শাম ও আরব সীমান্তে ৪০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেন। (আর-রাহিকুল মাখতুম, সফিউর রহমান মুবারকপুরি, পৃ. ৬২১)নাবতিদের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.) এই প্রস্তুতির খবর পান এবং হিরাক্লিয়াসের আক্রমণের আগেই আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি...
    ভারতের সেনাবাহিনীর যে দুই নারী অফিসার ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের একজন হিন্দু ও একজন মুসলমান। তাঁদের দিয়ে অভিযানের ঘোষণা দেওয়ানোর ঘটনাকে ভারত জাতীয় কর্মযজ্ঞে নারীর অন্তর্ভুক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছে। খাকি পোশাক পরা এই দুই নারী যখন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলছিলেন; যখন তাঁরা ভারতের ২৬ জন সাধারণ পুরুষ মানুষকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলছিলেন এবং যখন তাঁরা প্রতীকীভাবে বিধবাদের সিঁদুরের সম্মান রক্ষার বার্তা দিচ্ছিলেন, তখন অনেকেই এই দৃশ্যকে দেশের সেবায় নিয়োজিত একটি নারীবাদী চিত্র বলে প্রশংসা করেছিলেন। দুই নারী অফিসারের ঘোষণাপর্ব শেষ হওয়ার পর ভারত সরকার এটিকে নারী ক্ষমতায়নের এক বিরাট উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করল। তাঁদের ছবি সবখানে ছড়িয়ে পড়ল। সবাই বলল, ‘দেখো, নারীরাও আজ সম্মুখসমরে লড়াই করছে!’এই ঘটনা ইতিহাসের আরেকটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়।...
    ইতিহাস যা-ই বলুক, একটি জনগোষ্ঠীকে তাদের ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তিতে তাদেরই ভূখণ্ড থেকে তুলে নিয়ে অন্য দেশে চালান করে দিচ্ছে আজকের ভারত।অন্যদিকে যে বাংলাদেশ প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে উচ্ছেদ হওয়া দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীকেও আশ্রয় দিয়েছে, তার ভূখণ্ডেই ঠেলে (পুশ ইন) দেওয়া হচ্ছে আরেক সীমান্ত-সংলগ্ন দেশের নাগরিক মুসলমান নর-নারীকে।এভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মুসলমানদের পণ বানানোর পাশাপাশি নিজ দেশের ইস্যুকে আন্তসীমান্ত দ্বন্দ্বে পরিণত করা হচ্ছে। মুসলমান ভোটার-সমৃদ্ধ পশ্চিম বাংলা ও আসামে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতের কেন্দ্রীয় হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের এমন পদক্ষেপ সে দেশের ভেতরকার গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও বিবেকবান মানুষের কাছেও কি প্রশংসিত হচ্ছে?এ পর্বে কিছু মুসলমান ভারতীয়র গলা ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর এ কাজটি দিল্লি করছে জুলাই ২০২৪ বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে। ঢাকার প্রতি বৈরী নীতির অংশ হিসেবেই যে এই উদ্যোগ, সেটা বাংলাদেশের মানুষের না...
    ‘আসিয়াছে ফের দুনিয়ার বুকে খুসির বকরি ঈদ সারাটি রজনী কাসেমের আজ আসেনি নয়নে নিদ।’কবিতার পঙ্‌ক্তিতে (এম. করিম–এর ‘কার ঈদ’) এমনিভাবে প্রকাশ পেয়েছে বকরি ঈদের জন্য বাঙালি মুসলমানের উন্মুখ প্রতীক্ষা। ‘ঈদুজ্জোহা’, ‘ঈদ-উল-বকর’ বা ‘ঈদ-উল-আযহা’ তথা কোরবানির ঈদ সামাজিক ইতিহাসের পরতে পরতে ‘বকরি ঈদ’ নামে অভিহিত। ‘বকরিদ’ বা ‘বকর ঈদ’ নামেও পরিচিত এই ঈদ। পত্রিকা, সাময়িকী ও সরকারি নথিপত্রে ‘ঈদ-উল-আদহা’ নামেও আখ্যায়িত হয়েছে কোরবানির ঈদ। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আরব বণিকেরা যখন এ দেশে আসতে শুরু করলেন তখন ঈদুল আজহার সময় তাঁরা বকরি (ছাগল) কোরবানি দিতেন বলে ‘ঈদুল আজহা’, ‘বকরি ঈদ’ নামেই সর্বাধিক পরিচিত পায়। জেমস টেলরের বিবরণ অনুযায়ী, ১৮৩৮ সালে ঢাকা শহরের বণিকদের মধ্যে হিন্দুরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন; মুসলমান ও খ্রিষ্টান ছিলেন মাত্র চার-পাঁচজন করে। সে সময় আজকের মতো প্রতিটি ঘরে কোরবানি দেওয়ার...
    দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড়মাঠে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এই বৃহৎ জামাত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নেওয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এই মাঠে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মাহফুজুর রহমান। যেখানে জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহ, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমান এবং ১৯৭১ ও ২৪-এর শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়। সকাল থেকেই এই মাঠের প্রবেশদ্বারগুলো খুলে দেয়া হয়। মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা প্রতিটি মুসল্লিকে আর্চ ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লালি করে প্রবেশ করানো হয়। পুরো মাঠটি পর্যবেক্ষণের জন্য ছিল ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের ব্যবস্থা। এছাড়াও প্রতিটি কাতারে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা...
    ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মুসলমানদের প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসব। ইসলামে উৎসব ও আনন্দের উপলক্ষ হিসেবেই দুই ঈদের প্রবর্তন ঘটেছে। আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় এসে দেখেন মদিনাবাসী নির্দিষ্ট দুটি দিনে খেলাধুলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, এ দুটি দিন কিসের? সবাই বলল, জাহেলি যুগে আমরা এই দুই দিন খেলাধুলা করতাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের এ দুই দিনের পরিবর্তে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। তা হলো, ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১১৩৪) দুই ঈদের ভেতর ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে থাকে। কেননা আদম (আ.) থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া...
    ইংরেজ আমলের দীর্ঘকাল পর্যন্ত সবার ধারণা ছিল বাংলার অধিকাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী। কিন্তু ১৮৭২ সালে প্রদেশটির প্রথম আনুষ্ঠানিক আদমশুমারিতে দেখা যায় সমগ্র বাংলায় প্রায় অর্ধেক এবং পূর্ব বাংলায় অর্ধেকের বেশি মানুষ মুসলমান। অনেক এলাকায় তাদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।  তাছাড়া আরবদের পর বাঙালিরাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী। ইসলামের সূতিকাগার আরব দুনিয়া থেকে অনেক দূরে অবস্থিত বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কীভাবে মুসলিম হয়েছিল, এ নিয়ে নানা জনের নানা মত আছে।  তৎকালীন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সরকারী কর্মকর্তা জেমস ওয়াইজ লেখেন যে, ‘১৮৭২ সালের আদমশুমারীতে উদঘাটিত সব চাইতে কৌতুহলোদ্দীপক তথ্যটি হলো পুরনো রাজধানীগুলোর চারদিকে জড়ো হয়ে নয়, বরং বদ্বীপের পাললিক সমতলের নিভৃত পল্লীতে বিপুল সংখ্যক মুসলমান বসবাস করে’।  এ বিষয়ে  প্রথম উত্তপ্ত বিতর্কের সূত্রপাত ঘটান আদমশুমারির প্রতিবেদনের সঙ্কলক হেনরি বেভারলি। তিনি যুক্তি দেখান,...
    সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন। শনিবার সকালে পাড়া-মহল্লায় ঈদের নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন রাজধানীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সরেজমিনে ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে। কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো. সাদেকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আল্লাহর নামে কোরবানি দিচ্ছি। ইতোমধ্যে গরু জবাই হয়ে গেছে। আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের আশায় এই কোরবানি দেওয়া। কবুল করার মালিক আল্লাহ। রামপুরার বাসিন্দা গোলাম ফারুক বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছি। তারপর ঈদগাহ মাঠ থেকে এসে কোরবানি দিয়েছি। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে তাওফিক দান করেছে তাই আমি...
    কানাডায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। দেশটির ক্যালগেরি শহরের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় নানা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালিরাও অংশ নেন। ক্যালগেরির আকরাম জুম্মা মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় ঈদের নামাজ সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় ঈদের নামাজ সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন ইমাম শেখ ইউসুফ ট্রায়া। এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির মসজিদ বিএমআইসিসিতেও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের প্রথম নামাজ বিএমআইসিসি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় ঈদের নামাজ সকাল সাড়ে ৮টায় সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে সকাল থেকেই নামাজ আদায় করেন। ইসলামিক সেন্টার অফ আকরাম জুম্মার (এমসিসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, আকরাম জুম্মা মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা বরাবরের মতো সকাল থেকেই...
    ত্যাগ আর উৎসর্গের আদর্শে মহিমান্বিত পবিত্র ঈদুল আজহা আজ। আরবি মাসের ১০ জিলহজ তারিখে এই ঈদ উদ্‌যাপিত হয়। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি উদযাপন করবে। মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আসছে। সকালে মুসল্লিরা কাছাকাছি ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।...
    ‘ঈদুল আজহা মানুষকে শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায়’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও চরম ত্যাগের অনুপম নিদর্শন। হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হন। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও আত্মদানের এই সুমহান দৃষ্টান্ত কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয়...
    আগামীকাল ৭ জুন শনিবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। আমাদের দেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আযহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আসছে। আগামীকাল সকালে মুসল্লিরা কাছাকাছি ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আযহার সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক...
    আগামীকাল ৭ জুন শনিবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। আমাদের দেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আযহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আসছে। আগামীকাল সকালে মুসল্লিরা কাছাকাছি ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঈদের দিন সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আযহার সঙ্গে পবিত্র হজের সম্পর্ক...
    ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদুল আজহার গুরুত্ব অপরিসীম। এর ঐতিহাসিক ভিত্তি হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের আদর্শ। তিনি যখন আল্লাহর আদেশে তাঁর প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে উদ্যত হন, তখন আল্লাহ তাঁর খাঁটি নিয়ত দেখে পুত্রের পরিবর্তে একটি পশু পাঠিয়ে সেই কোরবানি কবুল করেন। সেই ঘটনার স্মরণে প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে থাকেন।শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির সংজ্ঞা হলো জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কিছু পশু জবাই করা। এ আমলকে ইসলাম ‘কোরবানি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব? একজন প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলমান, যিনি কোরবানির নির্ধারিত সময়ে সাহেবে নিসাব হন, অর্থাৎ যাঁর কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে...
    পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কামনা করে ‘ঈদ মোবারক’ জানান। তারেক রহমান বলেন, “ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা। বিশ্বাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতি বছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা।” আরো পড়ুন: ৩৫ মণের ‘কালো মানিক’ নিয়ে খালেদা জিয়ার...
    মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ইসলামে যে পাঁচটি অবশ্যপালনীয় বিধান আছে, তার অন্যতম হজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য হজ পালন করা ফরজ। এই হজের অনুষঙ্গ হিসেবেই কোরবানি দেওয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফাত ময়দানে সমবেত হয়ে পবিত্র হজ পালন করবেন। বাংলাদেশ থেকে এবারও লক্ষাধিক মানুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।ত্যাগের মধ্যেও যে আনন্দ আছে, সেটাই ঈদুল আজহার শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে তাঁর প্রিয় বস্তু কোরবানি করার নির্দেশ দেন। এরপর হজরত ইব্রাহিম তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দেওয়ার জন্য নিয়ে যান। এর মাধ্যমে তিনি আল্লাহর প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য প্রদর্শন করেন। এ সময় আল্লাহর নির্দেশে তিনি পুত্র ইসমাইলের বদলে সেখানে একটি দুম্বা কোরবানি...
    ত্যাগের বাণী নিয়ে বছর ঘুরে এসেছে লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষকে পরাভূত করার সময়। এসেছে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম সময়। আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাত ময়দান। সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীকাল। বাংলাদেশে শনিবার উদযাপিত হবে ঈদ। বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব গেছেন ৮৭ হাজার ১৫৭ জন। বিভিন্ন দেশের ও স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা ২০ লাখের মতো। ধর্মপ্রাণ এই মুসলমানরা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে আজ পবিত্র হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিচ্ছেন। ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে অন্যতম স্তম্ভ হজের দ্বিতীয় রুকন আদায়ের জন্য তারা মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত...
    কোরবানির মাংস সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়: এক ভাগ পরিবারের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-বন্ধুদের জন্য এবং এক ভাগ গরিব-দুস্থদের জন্য। কিন্তু একটি সাধারণ প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে: কোরবানির মাংস কি মুসলমানদের বাইরে অন্য ধর্মাবলম্বী কাউকে দান করা বৈধ?ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী কিছু শর্ত সাপেক্ষে কোরবানির মাংস অমুসলিমদের দেওয়া যায়। প্রখ্যাত সৌদি আলেম শাইখ মুহাম্মদ ইবনে সালিহ আল-উসাইমিন (রহ.) বলেছেন, ‘যদি কোনো অমুসলিম মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত না থাকে, তবে তাকে কোরবানির মাংস দান করা বৈধ।’তিনি এই মতামতের সমর্থনে কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করেছেন, ‘আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে ধর্মের কারণে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের ঘর থেকে বিতাড়িত করেনি, তাদের সঙ্গে ন্যায় ও দয়ার সঙ্গে ব্যবহার করতে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন। কিন্তু যারা ধর্মের কারণে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ...
    আগামী শনিবার দেশব্যাপী পালিত হইতে যাইতেছে মুসলমানদের   অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আনন্দের সহিত ত্যাগেরও    বার্তাবাহী এই উৎসব উপলক্ষে সমকাল পরিবারের পক্ষ হইতে গ্রাহক, পাঠক, সাংবাদিক, কর্মচারী, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতাসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে  আন্তরিক শুভেচ্ছা।  স্রষ্টার প্রতি পূর্ণ ও শর্তহীন আনুগত্য প্রদর্শন করিয়া হজরত ইব্রাহিম (আ.) নির্দ্বিধায় আপন পুত্র ইসমাঈলকে (আ.) কোরবানি দিতে উদ্যত হন। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশে কোরবানি হয় তাহার পুত্রের পরিবর্তে একটি পশু। স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের স্মারক সেই মহান ঘটনাই ধর্মীয় বিধানরূপে সমগ্র বিশ্বের মুসলমান‍ অনুসরণ করিয়া থাকেন। যাহার অংশ হিসাবে প্রতি বৎসর ঈদুল আজহায় বাংলাদেশের মুসলিমরাও স্বীয় সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেন। এ কারণেই কোরবানিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেক মনীষী মনের পশু কোরবানির সহিত তুলনা করিয়াছেন। মনের পশু কোরবানির অর্থ সমস্ত হিংসা, দ্বেষ, অহম...
    হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভই নয়; মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বড় সম্মিলনও বটে। সারাবিশ্বের মুসলমান পবিত্র জিলহজ মাসে বায়তুল্লাহ জিয়ারতের জন্য মক্কায় মিলিত হন। হজের মাধ্যমে উপস্থিত হাজিরা বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেন– বিশ্বের সব মুসলমান এক জাতি। তাই তারা সাদা হোক বা কালো, ধনী কিংবা গরিব; তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। তারা সবাই মহান আল্লাহর বান্দা।  ৯ জিলহজ পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফার ময়দান সারাবিশ্ব থেকে আসা মুসলমানের লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। অর্থাৎ হাজিরা বলছেন– হে আল্লাহ, আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির; তোমার কোনো শরিক নেই। এদিন আরাফার ময়দানে অবস্থান এবং খুতবা হজের প্রধান আয়োজন।   হজ ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহপাকের নির্দেশে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠানোর পর হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া...
    ইসলামের প্রাথমিক যুগের মুসলমানদের সঙ্গে আজকের মুসলমানদের অন্যতম একটি পার্থক্য হলো তাঁদের দৃঢ়তা ও সাহসিকতায়। ইসলামের সূচনালগ্নে যে সমাজ গড়ে উঠেছিল, তা ছিল এমন কিছু মানুষের দ্বারা নির্মিত, যাঁরা ছিলেন আত্মত্যাগে প্রস্তুত, আল্লাহর নির্দেশে সমর্পিত, আদর্শে অটল, আর সাহসিকতায় অনন্য। এই সাহস কেবল বাহ্যিক দৃঢ়তা নয়, বরং ইমান ও তাওয়াক্কুল থেকে উৎসারিত এমন এক শক্তি, যা তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে, সত্য প্রতিষ্ঠায় উৎসর্গ করেছে এবং মৃত্যুর মুখেও ভীতসন্ত্রস্ত করেনি।কোরআনে সাহসিকতার শিক্ষাপবিত্র কোরআনে সাহসিকতা ও দৃঢ়তার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য অবলম্বন করো, মোকাবিলার সময় অবিচলতা প্রদর্শন করো এবং সীমান্ত রক্ষায় স্থিত থাকো। আর আল্লাহকে ভয় করে চলো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ২০০)তিনি বলেন, ‘তারা যদি আমার ডান হাতে সূর্য আর...
    বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিছক ভূগোল নয়; যেন এক নৃশংস আয়না, যাতে ভারতীয় গণতন্ত্রের সাজানো ময়ূর পেখম ঝরে পড়ে। মে মাস থেকে রাতের আঁধারে নারী-পুরুষ-শিশু, এমনকি আদালতে বিচারাধীন শরণার্থীকে পর্যন্ত গহিন বন ও উত্তাল নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কারও হাতে খাবার নেই, কারও গায়ে কাপড় পর্যন্ত নেই।  অমানবিক অভিযানগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মোদি সরকারের সুপরিকল্পিত বর্জননীতি, যাতে মুসলমানসহ সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব রাজনৈতিক লাঠিতে পরিণত হয়েছে। সুন্দরবনের খাঁড়িতে একসঙ্গে ৭৮ জনকে ফেলে রাখা; ফেনী নদীতে পাঁচ নারী-শিশুকে প্লাস্টিক বোতলে বেঁধে ভাসিয়ে দেওয়া অথবা দিল্লি থেকে তুলে আনা ৪০ রোহিঙ্গাকে নৌবাহিনীর জাহাজে আন্দামান সাগরে নামিয়ে দেওয়া– এসব কাহিনি ভারতীয় রাষ্ট্রের নির্দয় চেহারাই উন্মোচন করে।  আন্দামানের অন্ধকার সমুদ্রে তাদের ছিল শুধু সস্তা লাইফ জ্যাকেট; জাহাজের সেদ্ধ ভাতও ছুড়ে দেওয়া হয়নি। ঢেউয়ে দুলতে দুলতে ১০...
    বাংলাদেশে বহুমুখী রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। টানাপোড়েনের দৃশ্যমান স্তরে রয়েছে ‘সংস্কার’ প্রশ্নে বিতর্ক-বিবাদ। পরোক্ষ স্তরে চলছে নির্বাচনকেন্দ্রিক অঙ্ক এবং অঙ্ক না মেলার কাজিয়া। সবই করছে মূলত মূলধারার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়।সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ের কোনো আলাপে সংখ্যালঘুদের জনপ্রতিনিধিত্ব নিয়ে আপাতত কোনো প্রস্তাব বা তর্ক নেই। হয়তো ধরে নেওয়া হচ্ছে, সংবিধান ও সংসদের সংস্কার উদ্যোগে বড় দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিত্বের সমস্যাও মিটবে।বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ নানান ধর্ম ও বহু জাতের নাগরিক আছেন। তবে অনেকে বলেন, এখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে পৃথক বর্গ নেই। সবাই আমরা ‘বাংলাদেশি’। রাজনৈতিক উচ্চাশা হিসেবে এটা বেশ ভালো শোনায়। এ রকমই হওয়া দরকার। কিন্তু অমুসলিম ও অবাঙালি বাংলাদেশিরা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক বর্গ হিসেবে পৃথক অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা নিয়েই জীবন যাপন করে। সংখ্যাগুরুরা যদিও মনে করে ‘সংখ্যালঘু’ বলে কিছু নেই, কিন্তু সংখ্যালঘু...
    ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত এপ্রিলে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে দেশটিজুড়ে একের পর এক মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।ভারতের কবি ও গবেষক নাবিয়া খান ভারতে ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে গত ২২ মে মিডল ইস্ট আইয়ে লেখা এক মতামত কলামে বলেন, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন। এর প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে দিল্লিভিত্তিক সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অব সিভিল রাইটস’ দেশজুড়ে ১৮৪টি মুসলিমবিদ্বেষী ঘটনার তথ্য নথিভুক্ত করেছে। এর প্রায় অর্ধেক অভিযোগ বিদ্বেষমূলক বক্তব্যসংক্রান্ত। আর বাকি ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল ভয় দেখানো, হয়রানি, হামলা, ভাঙচুর, হুমকি, গালাগাল করা ও তিনটি হত্যার ঘটনা।এখানে যে শুধু ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সহিংসতা হচ্ছে তা নয়; এর চেয়েও বিপজ্জনক এক পরিবর্তন ঘটছে। তা হলো, সন্দেহকে রাজনীতির মূলস্রোতে অন্তর্ভুক্ত করা ও ভারতে মুসলমান পরিচয়ের মানে কী, তা...
    পৃথিবীর সব ধর্মেই অতিথি বা মেহমানের সমাদর, যত্নআত্তি ও আপ্যায়ন করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেবল ধর্মীয় নির্দেশ মেনে পুণ্য অর্জনের জন্য নয়, মানবিক কারণেও মানুষ অতিথিসেবা ও মেহমানের আপ্যায়ন করে থাকেন। অতিথি বলতে কেবল আত্মীয়স্বজন বোঝায় না, বরং মুসাফির ও আগন্তুকেরাও সংশ্লিষ্ট এলাকার অতিথি। আতিথেয়তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরোনো। প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় অতিথির প্রয়োজন পূরণ এবং তাঁকে সেবাদান করা ঐশ্বরিক বিধান হিসেবে পালিত হতো।মুসলমানদের ধর্মপিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) মেহমান ব্যতীত কখনো খাবার গ্রহণ করতেন না। মেহমান না থাকলে তিনি কোনো দরিদ্র মানুষকে নিয়ে আসতেন এবং তাঁকে আপ্যায়ন করাতেন। প্রাচীন ভারতে অতিথিকে দেবতা জ্ঞান করা হতো এবং বর্তমানেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতিথি ব্যক্তি দেবতা হিসেবে বিবেচিত হন। এস্কিমো জাতিগুলোর মধ্যে অতিথিসেবার জন্য অদ্ভুত এক প্রথা প্রচলিত আছে—তারা অতিথিকে...
    উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলাপ তুললে আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে কলকাতার কথা মনে না এসে উপায় থাকে না। তখন কলকাতাই ছিল আধুনিক অর্থে আমরা যাকে বাংলা সাহিত্য বলে প্রায় সর্বসম্মত স্বীকৃতি দিয়েছি, তার প্রধানতম চর্চাস্থল। সে কলকাতায় বাঙালি মুসলমানের তুলনায় উর্দুভাষী মুসলমানরা কেবল সংখ্যায় নয়, প্রভাব-প্রতিপত্তির দিক থেকেও বেশ অগ্রসর ছিল। এমতাবস্থায় ‘বাংলা সাহিত্যে’র সাপেক্ষে আলাপ তুলে আমরা বাঙালি মুসলমানকে যতই আলাদা করতে চাই না কেন, দুটি সংশ্লিষ্ট ও প্রতাপশালী জনগোষ্ঠীর হিস্যা বাদ দিয়ে সে আলাপ পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।এর প্রথমটি যদি হয় বাংলা অঞ্চলের অবাঙালি মুসলমান সম্প্রদায়, অন্যটি হবে হিন্দু ভদ্রলোক সমাজ। উনিশ শতকের বাংলা ভাষাচর্চা, সাহিত্যচর্চা এবং পশ্চিমা অর্থে আধুনিকতার চর্চা প্রধানত শেষোক্ত সমাজটিই করেছিল। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এবং চর্চাকারীরা সংখ্যায় খুব কম হলেও সে চর্চার ফলাফল বর্ণাঢ্য...
    দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গে‌ছে। ফলে ২৯ মে বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র জিলহজ মাস গণনা করা হবে। এ অনুযায়ী শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। আরো পড়ুন: জিলহজের চাঁদ উঠেছে, ৭...
    চলতি বছর পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামী ৪ জুন। সৌদি আরবের পর্যবেক্ষণকেন্দ্রগুলো পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ ঘোষণা দিয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এ–সংক্রান্ত এক বিবৃতি দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশ করা হয়।গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।পবিত্র হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম যেকোনো মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ।প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয়...
    সৌদি আরবে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ওই দেশে আগামী ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হ‌বে। বাংলা‌দে‌শে ঈদুল আজহা ক‌বে উদযাপন করা হ‌বে, তা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর কর‌ছে।  আজ বুধবার (২৮ মে) চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আগামী ৭ জুন (১০ জিলহজ) ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। আজ চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার (৩০ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে এবং ঈদুল আজহা পালন করা হবে ৮ জুন। ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যা‌লোচনা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণে বৈঠ‌কে বস‌বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়...
    কাশ্মীরে গত মাসে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর ভারতজুড়ে মুসলমানদের উদ্দেশ করে ঘৃণামূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে অস্ত্রধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন। নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা দিল্লিভিত্তিক প্রোটেকশন অব সিভিল রাইটস জানাচ্ছে, পেহেলগাম হামলার পর ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা ১৮৪টি ঘৃণামূলক কর্মকাণ্ড নথিভুক্ত করেছে।প্রায় অর্ধেক ঘটনাই হলো ঘৃণাব্যঞ্জক ভাষার ব্যবহার। বাকিগুলোর মধ্যে ভয় দেখানো, হয়রানি, হামলা, ভাঙচুর, হুমকি ও কটূক্তির মতো ঘটনা রয়েছে। তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, অন্তত ১০০টি ঘটনার পেছনে পেহেলগাম হামলা ‘উদ্দীপক’ হিসেবে কাজ করেছে।সবচেয়ে উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো, মুসলমানদের প্রতি অবিশ্বাসকে রাজনীতির মূলস্রোতে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং ভারতে মুসলমান হিসেবে বেঁচে থাকার সংজ্ঞাকে নতুন করে নির্ধারণ করা হচ্ছে।আরও পড়ুনশক্তি দেখাতে গিয়ে ভারতের দুর্বলতা বেরিয়ে এল কি?১৩ মে ২০২৫পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ার ভারত...
    কবিকে বলা হয় দ্রষ্টা; কেননা বহুকৌণিক অবস্থান থেকে তিনি দেখেন। দেখতে দেখতেই কবি-লেখকেরা এঁকে ফেলেন ভবিষ্যতের কোনো নকশা। এ কথা কাজী নজরুল ইসলাম জানতেন; তবু তিনি বলেছিলেন, ‘বর্তমানের কবি আমি ভাই ভবিষ্যতের নই নবী।’ এই উক্তি ছিল মূলত ‘কৈফিয়ত’। কিন্তু ভবিষ্যতের দিকে তিনি প্রবলভাবেই তাকিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে একজন কবির বড় একটি কাজ সময়ের সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’ করা। পৃথিবীজুড়ে থাকা বড় কবিদের লক্ষণ তেমন সত্যই হাজির করে। ভবিষ্যতের পানে চোখ তুলে বড় কবিরা বর্তমানকে বিচার করেছেন। অতীতকে পাঠ করেছেন সূক্ষ্ম সংবেদনের মারফত। আর তাই আমরা নজরুলকে দেখতে পাই সময়ের সঙ্গে বোঝাপড়ার এক নিবিড় তৎপরতায় মগ্ন হতে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় নজরুলকে ভাবতে হয়েছে আত্মপরিচয় প্রসঙ্গে। এক দিকে তাঁর বাঙালিত্ব, অন্যদিকে তাঁর মুসলমানত্ব; একদিকে তাঁর বাংলা, অন্যদিকে তাঁর সর্বভারতীয়তা। কোন দিকে যাবেন...
    জসীম উদ্‌দীন প্রসঙ্গ এলেই সবার আগে ‘কবর’ কবিতার কথা মনে পড়ে। কবর কবিতাই জসীম উদ্‌দীনকে কবিখ্যাতি এনে দিয়েছিল। এর মানে এই নয় যে, কবর কবিতার বাইরে জসীম উদ্‌দীনের উল্লেখযোগ্য সৃষ্টিশীল কাজ নেই। ‘নক্সীকাঁথার মাঠ’ ও ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’-এর মতো অনবদ্য কাব্য আছে; আছে নানামাত্রিক উজ্জ্বল সাহিত্যকর্ম। আমি ভেবে অবাক হই, বিএ ক্লাসে পড়া অবস্থায় জসীম উদ্‌দীন কবর কবিতাটি লিখেছিলেন। শতবর্ষ পরেও এই ড্রামাটিক মনোলগ বাংলার পাঠককুলে ব্যাপক সমাদৃত। কবিতাটি পড়ে এ যুগের নরনারীও অশ্রুসিক্ত হয়। ১৯২৫ সালে কবিতাটি যখন কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, তখন কবিতাটি নিয়ে ড. দীনেশচন্দ্র সেন ফরোয়ার্ড পত্রিকায় যে আলোচনা করেছিলেন, তার শিরোনাম ছিল ‘অ্যান ইয়াং মোহামেডান পোয়েট’। এই আলোচনাই বিদ্বৎসমাজের দৃষ্টি কেড়েছিল। জানা যায়, কবিতাটি তখন নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রেও ড. সেনের ভূমিকা ছিল।...
    ২০২৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম পুরোনো রাজনৈতিক ধারা আরএসএসের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ) শত বছর পূর্তি হচ্ছে। মুহূর্তটি বর্ণিল কোনো কায়দায় উদ্‌যাপন করতে চান করপোরেট ধাঁচের এই সংগঠনের কর্তারা। ভারতের কেন্দ্রে তাঁদের দল বিজেপি ইতিমধ্যে ক্ষমতায় আছে। তাহলে উদ্‌যাপনের বিকল্প আর কী হতে পারে—সেটাই এখন ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের।কারও কারও অনুমান, পশ্চিমবঙ্গের আগামী নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিজেপি ‘সংঘ’ পরিবারের শত বছর পূর্তি উৎসবের ‘তারাবাজিতে আগুনের ছোঁয়া’ দিতে চায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কেন টিম আরএসএসের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ? কীভাবে এগোচ্ছে তারা পশ্চিমবঙ্গ জয়ের দিকে? যুদ্ধ কি তাতে বাড়তি জ্বালানি জোগাচ্ছে? বাংলাদেশ প্রসঙ্গই-বা আসছে কেন বারবার?পশ্চিমবঙ্গ যে কারণে আরএসএসের কাছে গুরুত্বপূর্ণভারতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট সংখ্যা ৩৬। এর মধ্যে ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিজেপি ও তার মিত্ররা এখন ক্ষমতায় আছে। তার...
    পেহেলগামের খবরটা পেয়ে আমার শিরা বেয়ে ঠান্দা স্রোত বয়ে গিয়েছিল। কারণ, অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি যে প্রতিটি জঙ্গি আক্রমণের পর নাগরিকদের মধ্যে এক বিশ্রী প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভারতীয়দের একটি বিষাক্ত অংশ এ রকম ঘটনাকে ভারতের মুসলিমদের শাস্তিযোগ্য পাকিস্তানি বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিত্রিত করার সুযোগ পায়। দেশভাগের প্রায় আট শতক পার হয়ে গেছে; কিন্তু হিন্দু আর মুসলিমদের মধ্যে তৈরি হওয়া পারষ্পরিক অবিশ্বাস মোটেও কমেনি। গত ১০ বছরে মুসলিমবিরোধী মনোভাব তুঙ্গে উঠেছে। শাসক দল সেই শয়তানি প্রক্রিয়াকে বাড়িয়েছে বহু গুণ। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব অনিবার্য মুসলিম নিধনে রূপান্তরিত হয়ে যায়। পেহেলগামের ঘটনাও ঠিক সেই পথেই গেছে।  সমাজ হিসেবে আমরা অমানবিকতার তলে গিয়ে ঠেকেছি। মাসুদপুর ডেইরি অঞ্চলে বাস করে আমাদের নরসুন্দর। সে খুবই মর্মাহত। সেসহ অন্যান্য মুসলমানকে এলাকা ছাড়তে...
    হজ শব্দের অর্থ ‘ইচ্ছা করা’। ইসলামি পরিভাষায়, হজ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখে ইহরাম অবস্থায় মিনা, আরাফাত, মুজদালিফায় অবস্থান, কাবাঘর তাওয়াফ, সাঈ, এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করা। হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি এবং সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য ফরজ। বাঙালি মুসলমানদের হজযাত্রার ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই নিবন্ধে হজের ঐতিহাসিক পটভূমি এবং বাঙালির হজযাত্রার বিবর্তন তুলে ধরা হলো। হজের ঐতিহাসিক পটভূমিইবনে কাসিরের আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া অনুযায়ী, জান্নাত থেকে নির্বাসনের পর হজরত আদম (আ.) ভারতীয় উপমহাদেশের সারন দ্বীপে (ধারণা করা হয়, শ্রীলঙ্কা) এবং বিবি হাওয়া (আ.) আরবে অবতরণ করেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার পর আদম (আ.)-কে আরাফাতে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়, যেখানে তিনি বিবি হাওয়া (আ.)-এর সঙ্গে মিলিত হন। ‘আরাফাত’ শব্দের অর্থ ‘পরিচয়’। এরপর তাঁরা...
    শক্তিশালী রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তু‌লে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশ প্রশ্নে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১৩ মে) সংগঠন‌টির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিবৃ‌তি‌তে এ আহ্বান জানান। তি‌নি ব‌লে‌ন, “ফ্যাসিবাদী আমলে ইন্ডিয়ান রেটোরিক ও ন্যারেটিভ ব্যবহার করে এ দেশের শীর্ষ ইসলামপন্থিদের ওপর বিচারিক হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। এর পুনরাবৃত্তি আর কখনো হতে দেওয়া যাবে না। এ দেশে পাকিস্তানপন্থি বলে কিছু নেই। বাংলাদেশপন্থি শক্তিশালী রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশ প্রশ্নে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।” আরো পড়ুন: নারীদের বিষয়ে আনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়নে হেফাজতের দুঃখ প্রকাশ মহাসমা‌বেশের জন‌্য প্রস্তুত হেফাজতইসলামবিরোধী প্রস্তাবনা রুখে দেওয়া হবে: মামুনুল হক ইসলামাবাদী বলেন, “ইন্ডিয়ান মিডিয়া হরহামেশা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ ও...
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, “আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছি। নতুনভাবে তারা আসবে, আর আমাদের কি উপহার দেবে সেটা বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবেই দেখে ফেলেছে, জেনে ফেলেছে। নতুনভাবে আর আমাদের দেখাবার কিছু নেই।” সংস্কার শেষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  রেজাউল করীম বলেন, ‘এখন শুধু একটাই নীতি-আদর্শ রয়েছে। যে নীতি-আদর্শের মাধ্যমে দুনিয়াতে শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি মিলবে। সেই নীতি-আদর্শের নাম ইসলাম। মুসলমান কখনোই ইসলামী নীতি-আদর্শের বাইরে থাকতে পারে না। প্রতিটা মুসলমানকে ইসলামী নীতি ও আদর্শের...
    মুহম্মদ ইউসুফ সিদ্দিক রচিত নিদ্রিত শিলার মুখরিত লিপি: বাংলায় আরবী-ফার্সী লেখমালা (১২০৫-১৪৮৮) বইটি সম্প্রতিকালে প্রকাশিত শিলালিপিভিত্তিক অতি মূল্যবান গ্রন্থ। বিজ্ঞ গবেষকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে কঠিন শিলা বা প্রস্তরের ওপর উৎকীর্ণ শিলালিপি। মধ্যযুগের আরবি-ফারসি শিলালিপিগুলো বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অমূল্য সম্পদ। শিলা বা পাথরের মসৃণতল খোদাই করে অভীষ্ট বাণী লিপিবদ্ধ করা হয়, যা শিলালিপি নামে অভিহিত হয়ে থাকে। মধ্যযুগে কাগজের প্রচলন শুরু হলেও তা ছিল অতি দুর্লভ ও ব্যয়বহুল; উপরন্তু সহজপাচ্য ও ক্ষয়িষ্ণু। এ জন্য সে যুগের রাজা-বাদশাহরা তাঁদের কীর্তিকলাপ সংরক্ষণের টেকসই মাধ্যম হিসেবে শিলালিপিকে বেছে নিয়েছিলেন।মুসলিম শাসনামলে (১২০৪-১৭৫৭) বাংলায় এযাবৎ এ রকম চার শতাধিক শিলালিপির সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশ-বিদেশের পণ্ডিতেরা বিভিন্ন সময় এসব শিলালিপি সংগ্রহ, পাঠোদ্ধার ও আলোচনা-গবেষণা করে বাংলার ইতিহাস নির্মাণে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন। এগুলোর অধিকাংশই আরবি ও...
    ভারতে মুসলমানদের ওপর দমনপীড়ন সীমা ছাড়িয়েছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিনিয়ত তাদের বাড়িঘর, মসজিদ, খানকাহ, কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিচ্ছে উগ্রবাদীরা। এ পরিস্থিতিতে উপমহাদেশের মুসলমানদের নিরাপত্তার স্বার্থেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্ব অপরিহার্য। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্বের প্রয়োজনীয়তা ও দায়’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিমত দেন বক্তারা। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি এ সেমিনারের আয়োজক। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আবু বকর রফিক বলেন, ‘ইসলামী ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করা ইমানি দায়িত্ব। বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্ব উপমহাদেশের মুসলমানদের নিরাপত্তার জন্যই অপরিহার্য।’ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে আয়োজক সংগঠনের সেক্রেটারি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলো ভারতবর্ষের প্রত্যেক মুসলমানদের রক্ত, ঘাম, শ্রম ও ত্যাগের ফসল। ভারতের যেসব অঞ্চলের মুসলমানরা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হলেও তাদের ভূখণ্ড দেশটির অঙ্গ হবে না জেনেই আন্দোলনে শরিক...
    মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর মুসলমানরা আশা করেছিলেন, মক্কার কুরাইশরা তাদের বিরুদ্ধে বৈরিতা পরিত্যাগ করবে। কিন্তু কুরাইশ নেতৃবৃন্দ মদিনায় ইসলাম ও মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে নিজেদের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। এই পরিস্থিতিতে মদিনায় গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর অসাধারণ দূরদর্শিতা, কূটনৈতিক দক্ষতা এবং নাগরিকত্বের চেতনার মাধ্যমে এই সংকট নিরসন করেন, মদিনাকে একটি শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ সমাজে রূপান্তরিত করেন।  মক্কার উদ্বেগের কারণ মুসলমানদের মদিনায় হিজরত মক্কার কুরাইশদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তাদের আশঙ্কার প্রধান কারণগুলো ছিল এ রকম। মদিনার কৌশলগত অবস্থান: মদিনা সিরিয়া অঞ্চলের বাণিজ্যিক কাফেলার পথে অবস্থিত ছিল। মুসলমানদের শক্তিশালী হওয়া মক্কার বাণিজ্যিক প্রাধান্যের জন্য হুমকি ছিল। (সিরাতে ইবনে হিশাম, পৃষ্ঠা: ২৫২-২৫৪) প্রতিশোধ ও সম্পদের ভয়: কুরাইশরা আশঙ্কা করত, মুসলমানরা মক্কায় ফিরে তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং...
    পেহেলগামের ‘বদলা’ কবে কীভাবে নেওয়া হবে, সেই আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন আচমকাই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে, পরবর্তী জনগণনার সময় জাতগণনাও করা হবে। ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ আবহে প্রত্যাঘাতের ব্যাপ্তি ও চরিত্র জল্পনায় মশগুল ভারতীয়দের কাছে এ ঘোষণার আকস্মিকতা ছিল অভাবিত। তার কারণও ছিল।প্রথমত, এমন অস্থির সময়ে ওই রকম এক ঘোষণা যে হতে পারে, সে প্রত্যাশা কারও ছিল না। দ্বিতীয়ত, ঘোষণাটি করল সেই দলের সরকার, যারা আবহমান কাল ধরে জাতগণনার বিরোধিতা করে এসেছে। যুদ্ধের আবহে এই ‘অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স’ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চর্চা। শুরু হয়েছে কৃতিত্বের দাবি ঘিরে চাপান–উতোর।অতীত প্রেক্ষাপট ও বর্তমানের বাস্তবতাএ ঘোষণা নিয়ে বিস্ময়ও অন্তহীন। আরএসএসের পক্ষপুটে লালিত, পালিত ও আশ্রিত ‘ব্রাহ্মণ্যবাদী’ বিজেপি বরাবর নীতি ও আদর্শগতভাবে জাতগণনার বিরোধিতা করে এসেছে। তারাই কেন ভোল পাল্টে এ সিদ্ধান্ত নিল—এ প্রশ্ন আলোড়ন তুলেছে। কংগ্রেস...
    তওবা মানে অনুতাপ বা প্রত্যাবর্তন। সুরা তওবা পবিত্র কোরআনের নবম সুরা। এই সুরা মদিনায় অবতীর্ণ হয়। এতে রয়েছে ১৬ রুকু, ১২৯ আয়াত। এই সুরাকে ‘তওবা’র পাশাপাশি ‘বারাআত’ (দায়মুক্তি) নামেও ডাকা হয়। এ সুরায় বিশ্বাসীদের তওবা কবুল হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ জন্য এটিকে সুরা তওবা বলা হয়। বারাআত বলার কারণ হলো, বারাআত অর্থ সম্পর্ক ছিন্ন করা। এতে অবিশ্বাসীদের সঙ্গে মুসলমানদের সম্পর্কচ্ছেদ ও তাদের ব্যাপারে দায়মুক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। পবিত্র কোরআনে শুধু এই সুরার শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লিপিবদ্ধ হয়নি। অনেকের মতে, এটি স্বতন্ত্র সুরা নয়, সুরা আনফালের শেষাংশ মাত্র। হজরত আলী (রা.)–এর মতে, এটি স্বতন্ত্র সুরা। কাফিরদের সঙ্গে তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা রয়েছে। অনেকের মতে, এ রকম ব্যাপারে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ ব্যবহৃত হয় না। ইসলাম যে জয়যুক্ত...
    বিশ শতকের শুরুতে অখণ্ড বাংলায় উপনিবেশবাদবিরোধী রাজনীতি প্রবল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তখনকার ব্রিটিশ-ভারতীয় ঔপনিবেশিক শাসকচক্র একে দমন করার কৌশল হিসেবে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয়। শাসক লর্ড কার্জন ছিলেন এর মুখ্য পরিকল্পনাকারী ও উদ্যোক্তা। তাদের নিশ্চিত উদ্দেশ্য ছিল ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের স্বার্থ রক্ষা। আঠারো শতকে এই বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে শাসক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেমন এ দেশের প্রধান দুই ধর্মীয় পরিচয়ধারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টির কৌশল হিসেবে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতি গ্রহণ করেছিল, এবারেও তার ভিন্নতা হয়নি। পার্থক্য ঘটেছিল শুধু কোন সম্প্রদায়কে শাসককুল নিজ স্বার্থের পক্ষভুক্ত করবে তা নির্ধারণে। আঠারো শতকের কৌশলে তারা বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়কে নিজ পক্ষপুটে আশ্রয় দিয়ে নানাভাবে ফুলেফেঁপে ওঠার সুযোগ দিয়েছিল। শতাধিক বছরের ব্যবধানে এই সম্প্রদায়ের সুবিধাপ্রাপ্ত অংশ শিক্ষা, প্রশাসন, অর্থনীতি, বাণিজ্য সবদিক থেকে প্রতিপত্তিশালী হয়ে উঠলে শাসককুলের...
    আনফাল ‘নফল’ শব্দের বহুবচন। অর্থ অতিরিক্ত। কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে যে সম্পদ মুসলিমদের হস্তগত হয়, তাকে নফল বলা হয়। মানে নফল বা আনফাল অর্থ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ; যাকে ইসলামি পরিভাষায় ‘গনিমত’ বলা হয়। সুরা আনফাল পবিত্র কোরআনের অষ্টম সুরা। এই সুরা মদিনায় অবতীর্ণ হয়। এতে আছে ১০টি রুকু, ৭৫টি আয়াত। এই সুরায় আল্লাহ যুদ্ধজয়ের পর শত্রুর কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ বা গনিমতের মাল সম্পর্কে আদেশ দান করেন এবং হিজরত সম্পর্কেও বলেন। এ সুরায় গনিমতের সম্পদ বণ্টন নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। তাই এ সুরাকে আনফাল বলা হয়।সুরা আনফালের ১ থেকে ৪০ আয়াতে বিশেষ করে আল্লাহর পথে যুদ্ধ, ইমানদারের বৈশিষ্ট্য, যুদ্ধলব্ধ সম্পদের বণ্টননীতি, নবীজির (সা.) বিরুদ্ধে অবিশ্বাসীদের ষড়যন্ত্র, তাদের পরকালের ঠিকানা, বদর যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ এবং মুসলমানদের অভিভাবক আল্লাহ ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ...
    পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর সীমান্তবর্তী রাজ্য রাজস্থান ও পাঞ্জাবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে যেকোনো উত্তেজনার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত থাকায় সবপুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। পাকিস্তানের সাথে  এক হাজার ৩৭ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া রাজস্থানে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় সেক্টরে আকাশে যুদ্ধবিমান টহল দেওয়ার কারণে যোধপুর, কিষাণগড় এবং বিকানের বিমানবন্দর থেকে ৯ মে পর্যন্ত বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়...
    মদিনা থেকে প্রায় ১০২ কিলোমিটার দূরে বদর যুদ্ধের প্রান্তরের কাছে একটি কুয়া রয়েছে, যার নাম বিরে শিফা বা নিরাময় কুয়া। কুয়ার নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর মহিমা। আরবি ‘বির’ অর্থ কুয়া এবং ‘শিফা’ অর্থ নিরাময় বা আরোগ্য। এই কুয়ার পানি রোগমুক্তি ও সুস্থতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বদর যুদ্ধের পর এই কুয়ার পানি মহানবী (সা.)-এর একটি অলৌকিক মুজিজার মাধ্যমে বিষাক্ত ও লবণাক্ত অবস্থা থেকে সুপেয় ও সুস্বাদু পানিতে পরিণত হয়। আজও এই কুয়ার পানি মুসলমানদের জন্য রোগমুক্তির আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়।বিরে শিফা কুয়াটি মদিনা থেকে বদর যাওয়ার পথে মূল সড়ক থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে একেবারে বদর যুদ্ধের প্রান্তরের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত। বদর যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই যুদ্ধে মুসলমানরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ...
    চার দাবি আদায়ে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসমাবেশ শেষ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান। এর আগে আজ সকালে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে মহাসমাবেশ শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। সকাল ৯টায় সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর সোয়া ১টায়। এতে সভাপতিত্বে করছেন হেফাজতের আমির মাওলানা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী। সমাবেশে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা বক্তব্য দেন। হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, আজকের মহাসমাবেশের মুখ্য দাবি মূলত চারটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা...
    চার দাবি আদায়ে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসমাবেশ শেষ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান। এর আগে আজ সকালে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে মহাসমাবেশ শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। সকাল ৯টায় সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর সোয়া ১টায়। এতে সভাপতিত্বে করছেন হেফাজতের আমির মাওলানা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরী। সমাবেশে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা বক্তব্য দেন। হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, আজকের মহাসমাবেশের মুখ্য দাবি মূলত চারটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা...
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে এসব দাবি ঘোষণা করেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক।  হেফাজত শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে লাখো মানুষের এ সমাবেশে সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। ১২ দফা দাবির মধ্যে যা আছে- ১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের কোরানবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করে আলেম-ওলামাদের পরামর্শক্রমে নারী সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নারীর সামাজিক উন্নয়নে পশ্চিমা মূল্যবোধ নয় বরং আমাদের নিজস্ব সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকেই বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে।  ২. সংবিধানের মূলনীতিতে আল্লাহর ওপরে পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে। ধর্মপ্রাণ গণমানুষের ঈমান ও আমল রক্ষার্থে বহুত্ববাদ নামক আত্মঘাতী ধারণা থেকে সরকারকে সরে আসতে...
    ভারত শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দা শাবির আহমেদ দার ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পশমিনা শাল বিক্রি করে আসছেন। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি পাহাড়ি শহর মুসৌরিতে, যেখানে তিনি কাজ করেন, সেখানে তার গ্রাহকদের কাছে জটিল সূচিকর্ম করা পালকের ওজনের স্কার্ফগুলো খুবই প্রিয়। শাবিরের ক্রেতাদের কাছে শালগুলো বিলাসিতায় পরিপূর্ণ। এগুলো ঘরের রূপক; এর ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ইতিহাসের স্তরে স্তরে স্তরে মিশে আছে এবং এর কাশ্মীরি পরিচয়ের চিহ্ন। কিন্তু সম্প্রতি, একই পরিচয় অভিশাপের মতো মনে হচ্ছে। রবিবার শাবির ও আরেকজন বিক্রয়কর্মী একটি হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে প্রকাশ্যে হয়রানি ও লাঞ্ছিত হন। গত সপ্তাহে কাশ্মীরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থানে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ এই হিন্দু গোষ্ঠীটি।  শাবিরের ওপর হামলর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যস্ততম বুলেভার্ডে অবস্থিত শাবির এবং তার বন্ধুর...
    মসজিদটি মদিনা শহরের পশ্চিম প্রান্তে খালিদ বিন ওয়ালিদ সড়কে অবস্থিত কিবলাতাঈন মসজিদ, মানে দুই কেবলার মসজিদ। বনু সালামা অঞ্চলে হওয়ার সুবাদে এই মসজিদের প্রথম নাম ছিল ‘মসজিদে বনু সালামা’।মসজিদে কিবলাতাইন ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। এই মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় কেবলা বদলের আদেশ দেওয়া হয়। নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে ওহি পাওয়ার পর নবীজি (সা.) মসজিদে আকসার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে কাবামুখী হন এবং বাকি নামাজ শেষ করেন। প্রথমে কিবলা ছিল মসজিদে আকসা, সবাই সেদিকে ফিরে নামাজ পড়তেন। এ সময় পরে কাবা শরিফকে কিবলা নির্ধারণ করা হয়। তাই এই মসজিদকে দুই কেবলার মসজিদ বলে।মসজিদের ভেতরের মূল অংশ অক্ষত রেখে চারদিকে দালান করে মসজিদটি বাড়ানো হয়েছে। স্মৃতিস্বরূপ মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকের কেবলার জায়গাটি দুইতলা বরাবর রেখে দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুন মসজিদে নববি...
    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা কাউকে নৌকা আর কাউকে ধানের শীষে ভাগ করেছি। হিন্দু-মুসলমানে ভাগ করেছি। এ ভাগ খুব ভয়ঙ্কর। আমরা কখনো হিন্দু-মুসলমান ভাগ হব না। আপনার ভোট আপনি দেবেন, যাকে খুশি তাকে দেবেন।”  বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের দেবীপুর মুন্সিরহাট এলাকায় দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণসংযোগের সময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টানদের ভাগ করে রাখা হয়েছে, অথচ আমরা যুগের পর যুগ একসঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করছি। গ্রামে একে-অপরের বিপদে এগিয়ে আসার সময় হিন্দু-মুসলমান দেখি না। ভাগ হলে বছরের পর বছর অশান্তি লেগে থাকবে।” আরো পড়ুন: শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ মির্জা ফখরুলের আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল  ...
    কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর এই হামলার জবাবে কী করা উচিত, তা নিয়ে ভারতের মানুষের মধ্যে এখন আলোচনা চলছে। অনেকে এবং আমি নিজেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতোই মনে করি, অপরাধীদের এমন শাস্তি দেওয়া দরকার, যা তারা কোনো দিন ভুলবে না। তবে আবার কেউ কেউ বলছেন, যুদ্ধ এড়িয়ে চলা উচিত। প্রধানমন্ত্রী নিজেই একসময় বলেছিলেন, ‘এখন আর যুদ্ধের যুগ নয়।’ কিন্তু এটা তো সন্ত্রাসবাদের যুগও হওয়া উচিত নয়। তাহলে ভারতের কীভাবে জবাব দেওয়া উচিত?প্রথমে ভাবতে হবে, যারা এই হামলা চালিয়েছে, আসলে তাদের চাওয়াটা কী। তাদের লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরে শান্তির পরিবেশ নষ্ট করা। তারা চেয়েছে, যাতে সেখানে পর্যটন বন্ধ হয়ে যায়, স্থানীয় মানুষের জীবিকা নষ্ট হয়, মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা চেয়েছে, ভারতের অন্য প্রান্তের মানুষ যেন কাশ্মীরিদের...
    ইথিওপিয়া হিজরত মক্কার নিপীড়িত জীবনে নবিজির (সা.) একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল। প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু হলে যখন নির্যাতনের মাত্রা তীব্র হলো, নবিজি তাঁর সাহাবিদেরকে ইথিওপিয়ায় (তখনকার আবিসিনিয়া) হিজরতের নির্দেশ দিলেন। প্রশ্ন হলো, ইথিওপিয়াই কেন, যার দূরত্ব আবার মক্কা থেকে চার হাজার চারশ ছিয়াশি কিলোমিটার? অন্য কোনো দেশ নয় কেন? মুহাম্মদ (সা.) জেনেছিলেন, ইথিওপিয়ার শাসক একজন খ্রিষ্টান। তিনি ধার্মিক, ন্যায়পরায়ণ, দূরদর্শী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি এমন মানুষ, যার ওপর মজলুমরা ভরসা রাখতে পারে। আর একারেই হিজরতের প্রথম ভূমি হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ইথিওপিয়াকে।নবীজির (সা.)ধারণা সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। সম্রাট নাজ্জাশির ইথিওপিয়া উদার বক্ষে গ্রহণ করেছিল মুহাজির মুসলিমদেরকে। যদিও মক্কার কাফেরদের ক্রোধের থাবা বিস্তৃত হয়েছিল সাগরের ওপারের নিরীহ দেশটি পর্যন্ত। কিন্তু আসহামা নাজ্জাশির বিচক্ষণতা এবং ন্যায়পরায়ণতার সামনে কাফেরদের কোনো চক্রান্ত টিকে...
    রাজনীতি হিন্দু–মুসলমানকে মাঝেমধ্যে আলাদা করে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ওই বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করতে হবে। আজ বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালীবাড়ি মন্দিরের শনিদেব মন্দিরের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭১ সালে যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ করি, তখন একবারের জন্য ভাবিনি কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান। সবাই একসঙ্গে লড়াই করেছি। আপনাদের প্রতি অন্তরের টান এখনো আছে। আপনাদের কখনোই আলাদা করে দেখার চেষ্টা করিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের রাজনীতি মাঝেমধ্যে আমাদের আলাদা করে দেয়। সেই রাজনীতি আমাদের পরিহার করতে হবে।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ; এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এখনো মনে করি, আমি আপনাদেরই একজন। তবে...