রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
Published: 1st, August 2025 GMT
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
হামাস নিরস্ত্র হোক, চান না ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনি
বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি গাজায় হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় ইসরায়েল সত্যিই গাজায় যুদ্ধের ইতি টানবে কি না, তা নিয়েও তাঁদের গভীর সংশয় রয়েছে।
এ নিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজাজুড়ে একটি জরিপ চালিয়েছে ফিলিস্তিনি নীতি ও জরিপ গবেষণাকেন্দ্র (পিসিপিএসআর)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বলেছেন, তাঁরা হামাসের নিরস্ত্রীকরণের ঘোরবিরোধী। হামাস নিরস্ত্র না হলে ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকার পরও তাঁরা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির অস্ত্র ছাড়ার পক্ষে নন।
হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে অধিকৃত পশ্চিম তীরে। সেখানে জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৮০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বলেছেন, তাঁরা চান হামাসের সশস্ত্র শাখা নিজেদের অস্ত্র ধরে রাখুক।২২ থেকে ২৫ অক্টোবর এ জরিপ পরিচালিত হয়। গত মঙ্গলবার জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপের প্রতিবেদনে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে অধিকৃত পশ্চিম তীরে। সেখানে জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৮০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বলেছেন, তাঁরা চান হামাসের সশস্ত্র শাখা (ইজ্জেদিন আল–কাসাম ব্রিগেড) নিজেদের অস্ত্র ধরে রাখুক।
অধিকৃত পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীন পরিচালিত হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী দল ফাতাহ। মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে হামাসের মতবিরোধ রয়েছে।
আরও পড়ুনগাজায় আবার তীব্র হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর২৮ অক্টোবর ২০২৫অন্যদিকে গাজার ৫৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা করেছেন।
মোট ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি এ জরিপে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৬০ জন অধিকৃত পশ্চিম তীর ও ৪৪০ জন গাজার বাসিন্দা।
জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, গাজা যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্প যে শান্তি পরিকল্পনা করেছেন, তা নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে সন্দিহান।মুখোমুখি কথা বলে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে। পরে সমীক্ষার উত্তরগুলো এমন একটি সার্ভারে জমা হয়, যেখানে শুধু পিসিপিএসআর গবেষকদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। জরিপটির ত্রুটির সীমা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
কেন ফিলিস্তিনিরা হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা করছেন, তার উত্তরও জরিপে উঠে এসেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, গাজা যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্প যে শান্তি পরিকল্পনা করেছেন, তা নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে সন্দিহান।
আরও পড়ুনগাজা যুদ্ধ শেষ হয়েছে, ইসরায়েলে যাওয়ার আগে ট্রাম্প১৩ অক্টোবর ২০২৫জরিপে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ ফিলিস্তিনি মনে করেন, ট্রাম্প এ যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে পারবেন না।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় বেশি অধিকৃত পশ্চিম তীরে। সেখানে ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা এ পরিকল্পনা নিয়ে সন্দিহান, গাজায় ৫৪ শতাংশ ফিলিস্তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
মুখোমুখি কথা বলে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে। পরে সমীক্ষার উত্তরগুলো এমন একটি সার্ভারে জমা হয়, যেখানে শুধু পিসিপিএসআর গবেষকদের প্রবেশাধিকার রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৯ অক্টোবর মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি সই হয়। পরদিন ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
আরও পড়ুনট্রাম্পের প্রস্তাব ও হামাসের আংশিক সম্মতি নিয়ে বিশ্বনেতারা কে কী বললেন০৪ অক্টোবর ২০২৫