আয়োজনটি হবে একেবারেই তারুণ্যে পা দেওয়া একঝাঁক শিক্ষার্থী নিয়ে। সঙ্গে থাকবেন অভিভাবক, শিক্ষকসহ নানা গুণীজন। একই সময়ে তাঁদের সবার মনোযোগ একসঙ্গে ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং কাজ বটে। এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে সামলাতে হবে, পুরো আয়োজন কীভাবে আনন্দদায়ক করা যাবে, তারই খুঁটিনাটি নিয়ে আয়োজিত হলো শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী সংবর্ধনা ২০২৫–এর প্রস্তুতি কর্মশালা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য অ্যাটেনশন নেটওয়ার্কে এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রথম আলো। এতে সারা দেশের ৬৪ জেলার প্রথম আলোর প্রতিনিধি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য বন্ধুসভার সদস্যরা অংশ নেন।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষ যা শুনতে চায় তা শোনে এবং যা দেখতে চায় তা-ই দেখে। তাই আপনাদের কাজ হচ্ছে আয়োজনের সময়টিতে আপনাকে দেখানো ও আপনাকে শোনানো।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীরাই প্রধান অতিথি। তাই তারা যেন সম্মানিত বোধ করে, পাশাপাশি তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদেরও সেই সম্মানটা দিতে হবে। সবাই যেন সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরে। সঠিক সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে ও শেষ করতে হবে।’

কর্মশালায় কুড়িগ্রাম থেকে আসা বন্ধুসভার একজন উপস্থাপক জানান, এ ধরনের সংবর্ধনা আয়োজনে শিক্ষার্থীরা সাধারণত সাংস্কৃতিক পর্বটা বেশি উপভোগ করে।

এই সাংস্কৃতিক পর্বের বিষয়াবলি নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন। তিনি বলেন, গান, কবিতা বাছাইয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একেবারে তরুণ বয়সীদের নিয়ে আয়োজন, তাই সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর পাশাপাশি কথা, গানের মধ্যে সঠিক বার্তা যেন শিক্ষার্থীরা পায়, সেদিকে খেলায় রাখতে হবে।

সুমনা শারমীন আরও বলেন, অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকলে পুরো আয়োজনই স্বতঃস্ফূর্ত হবে। শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবক, শিক্ষকেরা থাকবেন। সংবাদপত্রের ভূমিকা, সঠিক খবর পাওয়ার নির্ভরযোগ্য উপায় নিয়ে ধারণা দিতে হবে।

কর্মশালার শুরুতে প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টসের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান সংবর্ধনা আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই আয়োজনে অন্তত ৮০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেবে। বক্তার সংখ্যা, বক্তব্যের সময় সীমাসহ কেউ যেন আগ্রহ না হারিয়ে ফেলে সেসব উল্লেখ করেন। এ সময় প্রতিনিধি ও উপস্থাপকেরা নানা প্রশ্ন করেন।

অনুষ্ঠানকে উপস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে প্রাণবন্ত করে তোলা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দেন ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ইন্সপায়ারেশনাল কর্মকর্তা গোলাম সামদানি ডন। কথা বলার ভঙ্গি, শব্দচয়ন কী হবে এবং কোন ধরনের প্রশ্ন করা যাবে ও কীভাবে কথা বলতে হবে, সে বিষয়ে কিছু ধারণা দেন তিনি। সংবর্ধনাকারীদের সবার মনোযোগ ধরে রাখার কৌশলও জানান।

অনুষ্ঠানকে উপস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে প্রাণবন্ত করে তোলা যায়, সে পরামর্শ দেন ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ইন্সপায়ারেশনাল কর্মকর্তা গোলাম সামদানি ডন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল র অন ষ ঠ ন স মদ ন উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস

জমকালো সাজে সেজেছে যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল। উপলক্ষটাও অনন্য, রাজকীয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সস্ত্রীক যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষে এখানে রাজকীয় নৈশ্যভোজ আয়োজন করেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা।

বুধবার রাতের রাজকীয় এ আয়োজনে কূটনীতি, খাবার, ঐতিহ্য, সংগীত আর আভিজাত্য একসুতোয় বাঁধা পড়েছিল। ট্রাম্প–মেলানিয়াসহ রাজার অতিথি হয়েছিলেন বিশ্বের ১৬০ জন গণমান্য ব্যক্তি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লসের আয়োজন করা রাজকীয় ভোজের টেবিল। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ