আনন্দময় আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি কর্মশালা
Published: 1st, August 2025 GMT
আয়োজনটি হবে একেবারেই তারুণ্যে পা দেওয়া একঝাঁক শিক্ষার্থী নিয়ে। সঙ্গে থাকবেন অভিভাবক, শিক্ষকসহ নানা গুণীজন। একই সময়ে তাঁদের সবার মনোযোগ একসঙ্গে ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং কাজ বটে। এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে সামলাতে হবে, পুরো আয়োজন কীভাবে আনন্দদায়ক করা যাবে, তারই খুঁটিনাটি নিয়ে আয়োজিত হলো শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী সংবর্ধনা ২০২৫–এর প্রস্তুতি কর্মশালা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য অ্যাটেনশন নেটওয়ার্কে এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রথম আলো। এতে সারা দেশের ৬৪ জেলার প্রথম আলোর প্রতিনিধি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য বন্ধুসভার সদস্যরা অংশ নেন।
প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষ যা শুনতে চায় তা শোনে এবং যা দেখতে চায় তা-ই দেখে। তাই আপনাদের কাজ হচ্ছে আয়োজনের সময়টিতে আপনাকে দেখানো ও আপনাকে শোনানো।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীরাই প্রধান অতিথি। তাই তারা যেন সম্মানিত বোধ করে, পাশাপাশি তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদেরও সেই সম্মানটা দিতে হবে। সবাই যেন সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরে। সঠিক সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে ও শেষ করতে হবে।’
কর্মশালায় কুড়িগ্রাম থেকে আসা বন্ধুসভার একজন উপস্থাপক জানান, এ ধরনের সংবর্ধনা আয়োজনে শিক্ষার্থীরা সাধারণত সাংস্কৃতিক পর্বটা বেশি উপভোগ করে।
এই সাংস্কৃতিক পর্বের বিষয়াবলি নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন। তিনি বলেন, গান, কবিতা বাছাইয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একেবারে তরুণ বয়সীদের নিয়ে আয়োজন, তাই সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর পাশাপাশি কথা, গানের মধ্যে সঠিক বার্তা যেন শিক্ষার্থীরা পায়, সেদিকে খেলায় রাখতে হবে।
সুমনা শারমীন আরও বলেন, অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকলে পুরো আয়োজনই স্বতঃস্ফূর্ত হবে। শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবক, শিক্ষকেরা থাকবেন। সংবাদপত্রের ভূমিকা, সঠিক খবর পাওয়ার নির্ভরযোগ্য উপায় নিয়ে ধারণা দিতে হবে।
কর্মশালার শুরুতে প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টসের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান সংবর্ধনা আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই আয়োজনে অন্তত ৮০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেবে। বক্তার সংখ্যা, বক্তব্যের সময় সীমাসহ কেউ যেন আগ্রহ না হারিয়ে ফেলে সেসব উল্লেখ করেন। এ সময় প্রতিনিধি ও উপস্থাপকেরা নানা প্রশ্ন করেন।
অনুষ্ঠানকে উপস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে প্রাণবন্ত করে তোলা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দেন ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ইন্সপায়ারেশনাল কর্মকর্তা গোলাম সামদানি ডন। কথা বলার ভঙ্গি, শব্দচয়ন কী হবে এবং কোন ধরনের প্রশ্ন করা যাবে ও কীভাবে কথা বলতে হবে, সে বিষয়ে কিছু ধারণা দেন তিনি। সংবর্ধনাকারীদের সবার মনোযোগ ধরে রাখার কৌশলও জানান।
অনুষ্ঠানকে উপস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে প্রাণবন্ত করে তোলা যায়, সে পরামর্শ দেন ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড কনসালট্যান্সির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ইন্সপায়ারেশনাল কর্মকর্তা গোলাম সামদানি ডন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল র অন ষ ঠ ন স মদ ন উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।