ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। চলচ্চিত্রের পর্দায় এ অভিনেতাকে নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুই চরিত্রেই দেখা গেছে। তবে খল অভিনেতা হিসেবেই অধিক পরিচিত। পর্দায় যেমনই থাকুক না কেন, বাস্তব জীবনে হিরোর ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। ডিপজল তার মাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। মা-ভক্ত ডিপজল এবার মায়ের নামে মসজিদ নির্মাণ করলেন।

গাইবান্ধার বাদিয়াখালীর তালুক রিফাইতপুর স্টেশনে ডিপজল মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। মরহুমা হাজী জবেদা বেগমের নামে মাদানিয়া মসজিদ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ডিপজলের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, মসজিদ নির্মাণ শেষে সেখানে এখন মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলমান। পুরো মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ডিপজল।

আরো পড়ুন:

নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়, সিনেমা থেকে বাদ পড়ার কারণ বললেন পরিচালক

‘আয়নাবাজি’র পর প্রেক্ষাগৃহে আসছে অমিতাভের ‘রিকশা গার্ল’

বিভিন্ন সময়ে ডিপজলের সেবামূলক কাজের কথা সামনে এসেছে। একবার মায়ের জন্য ট্রাক ভরে ফল নিয়েছিলেন। এমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিনেতা জ্যাকি আলমগীর বলেন, “একদিন তার মা গাড়ির ড্রাইভারকে বলেছিলেন-ডিপজলকে ফল নিয়ে আসতে বলিস। তার ড্রাইভার গাড়ি চালাতে চালাতে ডিপজল সাহেবকে বললেন- খালাম্মা ফল নিতে বলেছেন। তখন ডিপজল সাহেব বলেন- কি ফল নিতে বলছেন? ড্রাইভার উত্তরে বলেন, ফলের নাম তো বলেননি। এরপর ডিপজল সাহেব যে কাণ্ড করলেন তা অবাক করার মতো। কারণ ফলের বাজারে গিয়ে ট্রাক ভরে সব রকম ফল কিনে মায়ের জন্য নিয়ে আসেন। ডিপজল সাহেবের এমন কাণ্ড আমরা অনেক দেখেছি। বাস্তবে তিনি অনেক ভালো মানুষ।”

ডিপজলের মায়ের নাম জাবেদা খাতুন। ২০১৭ সালে মাকে হারান তিনি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ