মায়ের নামে মসজিদ নির্মাণ করলেন ডিপজল
Published: 14th, January 2025 GMT
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। চলচ্চিত্রের পর্দায় এ অভিনেতাকে নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুই চরিত্রেই দেখা গেছে। তবে খল অভিনেতা হিসেবেই অধিক পরিচিত। পর্দায় যেমনই থাকুক না কেন, বাস্তব জীবনে হিরোর ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। ডিপজল তার মাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। মা-ভক্ত ডিপজল এবার মায়ের নামে মসজিদ নির্মাণ করলেন।
গাইবান্ধার বাদিয়াখালীর তালুক রিফাইতপুর স্টেশনে ডিপজল মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। মরহুমা হাজী জবেদা বেগমের নামে মাদানিয়া মসজিদ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ডিপজলের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, মসজিদ নির্মাণ শেষে সেখানে এখন মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলমান। পুরো মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ডিপজল।
আরো পড়ুন:
নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়, সিনেমা থেকে বাদ পড়ার কারণ বললেন পরিচালক
‘আয়নাবাজি’র পর প্রেক্ষাগৃহে আসছে অমিতাভের ‘রিকশা গার্ল’
বিভিন্ন সময়ে ডিপজলের সেবামূলক কাজের কথা সামনে এসেছে। একবার মায়ের জন্য ট্রাক ভরে ফল নিয়েছিলেন। এমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিনেতা জ্যাকি আলমগীর বলেন, “একদিন তার মা গাড়ির ড্রাইভারকে বলেছিলেন-ডিপজলকে ফল নিয়ে আসতে বলিস। তার ড্রাইভার গাড়ি চালাতে চালাতে ডিপজল সাহেবকে বললেন- খালাম্মা ফল নিতে বলেছেন। তখন ডিপজল সাহেব বলেন- কি ফল নিতে বলছেন? ড্রাইভার উত্তরে বলেন, ফলের নাম তো বলেননি। এরপর ডিপজল সাহেব যে কাণ্ড করলেন তা অবাক করার মতো। কারণ ফলের বাজারে গিয়ে ট্রাক ভরে সব রকম ফল কিনে মায়ের জন্য নিয়ে আসেন। ডিপজল সাহেবের এমন কাণ্ড আমরা অনেক দেখেছি। বাস্তবে তিনি অনেক ভালো মানুষ।”
ডিপজলের মায়ের নাম জাবেদা খাতুন। ২০১৭ সালে মাকে হারান তিনি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা দেখেননি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো অস্বচ্ছতা দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি বলেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো অস্বচ্ছতা দেখেননি তিনি। কারণ, তাঁকে কেউ কোনো রকমের ইন্টারাপ্ট করেনি (বাধা দেয়নি)। এর বাইরে কোনো অস্বচ্ছতা আছে কি না, তা তাঁর জানা নেই।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা এ মামলার রায় আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) নির্ধারণ করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আমির হোসেন এ কথা বলেন।
এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন আসামি। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হয়েছেন।
আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
সাক্ষ্য গ্রহণসহ সবকিছু সমাপ্ত করে রায়ের দিন ধার্য করায় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি ও বিচারকদের ধন্যবাদ দেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপন করা সাক্ষীদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপন করা দালিলিক সাক্ষ্যে বিতর্ক (কন্ট্রোভার্সি) তৈরি করার চেষ্টা করেছেন এবং বিভিন্ন সময় দালিলিক সাক্ষীর ওপর বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর মক্কেলদ্বয় (শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান) খালাস পাবেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যেসব কাগজপত্র ও দলিলাদি পাওয়া গেছে, তার আলোকে এই মামলা পরিচালনা করেছেন জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, সে জায়গায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তাঁকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। কাগজপত্র যা যা দরকার, যা যা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে ছিল, আইন অনুযায়ী যেসব নথিপত্র তাঁর পাওয়া উচিত, সেসবই তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
শুধু রাষ্ট্রপক্ষের নথিপত্র দিয়ে মামলা যথাযথভাবে পরিচালনা করতে পেরেছেন, এ–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আমির বলেন, তাঁর সীমাবদ্ধতা থেকে তিনি চেষ্টা করেছেন, যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। তাঁর তরফ থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না এবং তাঁর চেষ্টায় কেউ কোনো বাধাও দেয়নি।
আমির হোসেন বলেন, আসামিরা উপস্থিত থাকলে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, যেসব ডকুমেন্টারি এভিডেন্স (প্রামাণ্য নথিপত্র) হয়তো তাঁকে তাঁরা (আসামিরা) দিতে পারতেন, সেসব নিয়ে তিনি লড়াই করতে পারতেন। সেসব তিনি পাচ্ছেন না। রাষ্ট্রপক্ষ এক জায়গায় কোনো একটা ঘটনার যেভাবে বর্ণনা দিয়েছে, সেই বর্ণনার বাইরেও হয়তো কোনো বর্ণনা থাকতে পারে। সেসব তিনি পাননি। এই জায়গায় তাঁর কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। সেই সীমাবদ্ধতা তাঁর মক্কেলরা অনুপস্থিত থাকার কারণে।
এ মামলার আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন নিজে বাঁচার জন্য অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন আমির হোসেন। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলদের (শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান) ওপর ভর করে সাবেক আইজিপি এটি করেছেন।