আওয়ামী লীগের 'আগুন সন্ত্রাসের' প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল
Published: 13th, November 2025 GMT
দেশব্যাপী চলমান পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের 'আগুন সন্ত্রাসের' প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মহানগরীর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন এর নেতৃত্বে চাষাড়া, মিশন পাড়া, মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো: জামাল হোসাইন এর নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় এবং মহানগরীর প্রচার সম্পাদক হাফেজ আব্দুল মোমিন এর নেতৃত্বে বন্ধর ঘাটে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চাষাড়া মিশন পাড়া এলাকায় মহানগরীর নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেন।
সাইনবোর্ড এলাকাতেও একই সময়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাতে সহস্রাধিক নেতাকর্মীর অংশ গ্রহনে কর্মসূচি পালিত হয়। প্রতিবাদকারীরা এই ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
মহানগরীর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন বলেন যারা দেশের মানুষের ক্ষতি করতে চায় তাদের সাবধান হতে হবে। চব্বিশের বিপ্লব পরবর্তী এই বাংলাদেশ আর কোন ফ্যাসিস্টদের হত্যা, নৈরাজ্য দেখতে চায়না।
সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, "গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগের মদদে সারাদেশে যে আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দেশের সম্পদ ধ্বংস করা এবং সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলার এই রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। দেশের জনগণ সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির কোন কার্যক্রম দেখতে চায়না। মহানগরীর প্রচার সম্পাদক হাফেজ আব্দুল মোমিন বলেন আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল তারা এই দেশে গনহত্যা চালিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে এখন ভিন্ন দেশ থেকে এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে এখনো ঐক্যবদ্ধ আছে অতএব তাদের কৃতকর্মের বিচার হবেই হবে।
মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা খুনি হাসিনার বিচার চাই, 'সন্ত্রাস-নাশকতা বন্ধ করো', 'মানুষের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবেনা' ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানা আমীর মাওলানা মোস্তফা কামাল, সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ থানা আমীর আলহাজ্ব কফিলউদ্দিন আহমেদ, পশ্চিম থানা আমীর মাহাবুব আলম,বন্দর থানা দক্ষিন আমির মাওলানা আব্দুল হাই জাফরি, বন্দর উত্তর থানা আমির মাওলানা মুফতী আতিকুর রহমান সহ চাষাড়া মিশন পাড়া এলাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা, বন্দর ঘাট - বন্দর বাজার প্রদক্ষিণ করেন।
এসময় নেতাকর্মীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত গণভোট ও দেশে জনগণের ভোটাধিকার এবং স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন ত কর ম র সন ত র স আম র ম হ স ইন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
যেখানেই আওয়ামী লীগ দেখবেন, ধরে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন: হাসনাত আবদুল্লাহ
ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এনসিপির নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘যেখানেই আওয়ামী লীগ দেখবেন, আওয়ামী লীগের আগুন–সন্ত্রাস দেখবেন বা জনগণের ক্ষতি করার পরিকল্পনা দেখবেন, তাদের ধরে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এনসিপির এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ এ কথা বলেন। এর আগে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী খুনিদের বিচার নিশ্চিতের দাবিতে’ বাংলামোটর মোড় থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মিছিল করে এনসিপি।
মিছিল–পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের বিভাজনকে পুঁজি বানিয়ে আওয়ামী লীগ যেন পুনর্বাসিত না হতে পারে, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে, হাসিনার বিচার হতে হবে, দুই হাজার শহীদের হত্যার বিচার হতে হবে। এর আগে যাঁরা আওয়ামী লীগকে কোনো ধরনের নরমালাইজ করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের জনগণ প্রতিরোধ করবে।’
কেউ গাড়িতে আগুন দিলে তাঁকেই আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে—শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর এ কথা বলেছিলেন উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘এখন যারা জীবন, সম্পদ, বাস বা রিকশায় আগুন দিতে আসবে, হাসিনার নির্দেশনা সবাই অনুসরণ করবেন।’
‘এদের ট্যাক্স ফাইল টান দিতে হবে’
সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে দেখলাম, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা ঘুমিয়ে পড়েছে। আওয়ামী আগুন–সন্ত্রাস নিয়ে তাদের দেড় হাত লম্বা কোনো কলাম নেই।...তারা ইন্ডিয়ান এম্বাসি (ভারতীয় দূতাবাস) থেকে টাকা খেয়ে আওয়ামী লীগের গুম-খুন-নিপীড়নের পক্ষে কথা গত দেড় দশক ধরে টক শোগুলোতে বৈধতা উৎপাদন করেছে। এদের ট্যাক্স ফাইল টান দিতে হবে।...আমাদের কাছে খবর আছে, ভারতীয় এম্বাসি কাদের কাদের সঙ্গে বসে, কোন এজেন্টদের সঙ্গে বসে আমরা জানি। আপনারা গণবিরোধী অবস্থান নেবেন না। হাসিনার বিচার অবশ্যই হতে হবে। দুনিয়ার কোনো শক্তি ভারতে বসে হাসিনার বিচার আটকাতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মিছিল। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায়