মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে ৩০ শিশুসহ ৩৮ রোহিঙ্গা আটক
Published: 15th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৩০ শিশুসহ ৩৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ বলছে, অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিশুরা ছাড়া বাকি আটজন নারী। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরির্দশক শোভন কুমার শাহ।
এর আগে ৫ জানুয়ারি টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ উপকূলের মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকালে বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল।
অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহসান উদ্দিন। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে ধরা পড়ল বিরল সামুদ্রিক মাছ, এক লাখ টাকায়ও বিক্রি করলেন না জেলে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে।
জেলে আবদুল মান্নান বলেন, এফবি ভাই ভাই ট্রলারে করে তিন দিন আগে তাঁরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। তিনি জাল ফেললে অন্য মাছের সঙ্গে এই মাছ উঠে আসে।
আজ শনিবার সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্যবন্দরের ফয়সাল ফিশ আড়তে বিক্রির জন্য আনা হয়। এ সময় মাছটি একনজর দেখতে মানুষের ভিড় জমে যায়। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফয়সাল ফিশ আড়তের ব্যবসায়ী রাজু মিয়া জানান, মাছটি ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। তবে বেশি দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। মাছটির বায়ুথলির অনেক দাম বলে তিনি শুনেছেন। সে কারণে চট্টগ্রামে নিয়ে মাছটি ভালো দামে বিক্রির আশা তাঁর।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে, যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে তিনি দেখতে এসেছেন।
উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশ। তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকোফিশ বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান বলেন, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০–১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০–২৫ কেজি হলেও কখনো কখনো ৫০ কেজির বেশি হতে পারে। কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।
কলাপাড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা প্রথম আলোকে বলেন, মাছটির এয়ার ব্লাডার (বায়ুথলি) আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামি। একে ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকারও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।