কে বলবে এটা সে রিয়াল মাদ্রিদ যারা কিনা দিন কয়েক আগে চরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সালোনার কাছে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল সুপার কোপার ফাইনালে? সপ্তাহ ঘুরতেই লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে মাদ্রিদের অভিজাতরা। রোববার (১৯ জানুয়ারি, ২০২৫) লা লিগার ম্যাচে লাস পালমাসকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। জোড়া গোল করেছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। 

এই সপ্তাহে স্প্যানিশ লিগ জয়ের রেসে পয়েন্ট হারিয়েছিল বার্সালোনা এবং আতলেতিকো মাদ্রিদ। সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল। এই জয়ে ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠল রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সালোনার সংগ্রহ ৩৯ পয়েন্ট।

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লিখা, ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।’ কবিতাটা রিয়াল ফুটবলাররা শুনার কথা না। তবে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোববার রাতে তারা তেমন কিছুই করে দেখিয়েছে! ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে সেটা বুঝা যাবে না। 

আরো পড়ুন:

ইয়ামালই এই মুহূর্তে সেরা তবে মেসির পরে 

আবার লা লিগায় ফিরলেন হামেস রদ্রিগেজ

এদিন লস পালমাস টিভিতে ম্যাচ ‘সম্প্রচার যুগের’ সবচেয়ে দ্রুততম গোলটি পায়। খেলা শুরুর ২৭ সেকেন্ডের মাঝে পর্তুগিজ তরুণ স্ট্রাইকার ফাবিও সিলভা অতিথী দলকে এগিয়ে নেন। মজার বিষয় হচ্ছে খেলা শুরু পর এই গোলটা হওয়ার আগ পর্যন্ত একবারের জন্যও বলে স্পর্ষ করতে পারেনি রিয়ালের ফুটবলাররা!

তবে এটুকুই অর্জন ছিল পালমাসের। বাকি গল্পটা রিয়াল লিখেছে আপন মহিমায়। পেনাল্টি থেকে রিয়ালকে ম্যাচের ১৮ মিনিটে সমতায় ফেরান এমবাপে। এরপর ম্যাচের ৩৩ মিনিটে রিয়ালকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ব্রাহিম ডিয়াজ। ঠিক ৩ মিনিট পরই রদ্রিগোর ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপে। এতে রিয়াল এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। বিরতির আগে আরেকবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান এই ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকা। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। হ্যাটট্রিকও পাওয়া হয়নি এমবাপের।

ম্যাচের ৫৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে রিয়ালের শেষ গোলটি করেন রদ্রিগো। এতে ম্যাচের ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-১। খেলার ৬৪ মিনিটে লুকাস ভাসকেসকে বাজে ট্যাকল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পালমাসের বদলি খেলোয়াড় বেনিতো রামিরেজ। সফরকারীরা ম্যাচের বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেললেও আর গোল করতে পারেনি রিয়াল।

তবে রিয়ালের আরও দুইবার বল জালে জড়ালেও অফ সাইডে সেটা বাতিল হয়ে যায়। লা লিগার ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে এক ম্যাচে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রিয়ালের তিনটি গোল ভিএআরে বাতিল হলো। এর আগে ২০২২ সালে এলচের বিপক্ষে ম্যাচেও ভিএআরে রিয়ালের তিনটি গোল বাতিল হয়। 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ক ল য় ন এমব প প ব যবধ ন এমব প

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের কাছে এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী সংবিধি ও আচরণবিধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়বদ্ধ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছাত্রদলের ১২ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে; স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি বাক্সে আলাদা নম্বর থাকতে হবে; ব্যালট ছাপানোর সংখ্যা, কাস্টিং ভোটার ও নষ্ট ব্যালটের সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে; কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে (ভুল তথ্য প্রচার হলে) সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে; পোলিং এজেন্টরা নিজ কেন্দ্রেই অবস্থান করবেন, তবে অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন করা যাবে না।

বাকি দাবিগুলো হলো- ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও জাকসুর নির্বাচনের সময়সূচি বিবেচনা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের সুবিধা অনুযায়ী যথাযথ সময় রেখে জকসু নির্বাচন নির্ধারণ করতে হবে; আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলে নির্বাচনী প্রচারণার আচরণবিধি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে, পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের চুক্তি ও অবস্থান বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে; অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমফিল শিক্ষার্থীদেরও জকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে এবং বিধিমালা থেকে তাদের বাদ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

এছাড়া জকসুর আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার আলোকে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ কার্ড দিতে হবে, যা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে কার্যকর হবে; রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলমান রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, যেন একটি গণতান্ত্রিক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। অন্যথায়, কমিশন কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব বা চাপের মুখে পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে।

ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা সন্তোষজনকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি উপস্থাপন করেছে এবং কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ