কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে দুটি নতুন ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি চালু হতে যাওয়া এই ট্রেনগুলোর নাম রাখা হয়েছে সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস। যাত্রী ও পর্যটকদের যাতায়াত আরো সহজ এবং আরামদায়ক করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়ের প্রধান অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্ট কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কক্সবাজারের আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেছেন, “এই অঞ্চলের মানুষ এবং পর্যটকদের দীর্ঘদিনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ট্রেনগুলো চালু করা হচ্ছে।”

সৈকত এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করবে এবং ৯টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে পুনরায় চট্টগ্রামে পৌঁছাবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে।

অন্যদিকে, প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ছাড়বে এবং দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে এবং সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে। সোমবার এই দুটি ট্রেনের চলাচল বন্ধ থাকবে।

কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ শুরুর পর থেকেই এই রুটের যাত্রীদের মধ্যে আরো ট্রেন যুক্ত করার চাহিদা তৈরি হয়েছিল। নতুন এ ট্রেন দুটি সেই চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কক্সবাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেছেন, ‘ঢাকা-কক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ চালু হলেও চট্টগ্রামের সঙ্গে ছিল না। নতুন এই ট্রেনগুলো ব্যবসা ও পর্যটন উভয়ের জন্যই সুবিধা বাড়াবে।”

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালু হলে পর্যটন খাতের বিকাশ আরো ত্বরান্বিত হবে। দ্রুত এবং আরামদায়ক এই যাত্রা আরও বেশি পর্যটককে আকৃষ্ট করবে।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হামলার পর আশা ও আতঙ্কের মধ্যে পেহেলগামে ধীরে ধীরে ফিরছেন পর্যটকেরা

ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামের কাছে এক প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর শহরটিতে এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অবশ্য সেখানে অল্প অল্প করে পর্যটক ফিরতে শুরু করেছেন।

গত সপ্তাহে শহরের প্রধান মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, খালি হয়ে গিয়েছিল হোটেলগুলো। এখন সেখানে আবার অল্প অল্প করে প্রাণ ফিরছে।

গত মঙ্গলবার পেহেলগাম থেকে তিন মাইল (৫ কিলোমিটার) দূরে পাহাড়চূড়ার উপত্যকা বৈসারানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের ওপর গুলি চালায় একদল বন্দুকধারী। এই বৈসারানকে অনেক সময় ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ বলা হয়।

বৈসারানের হামলাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে এবং ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কাশ্মীরের দুই অংশ দুই দেশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তরে পুরো অঞ্চলকে দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।

দিল্লি এ হামলার কোনো সামরিক জবাব দেবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।

১৯৮৯ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে কাশ্মীরে প্রায়ই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এসব ঘটনায় কখনো নিরাপত্তা বাহিনী আবার কখনো বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা বিরল এবং তা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের হতবাক ও আতঙ্কিত করেছে।

১৯৮৯ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে কাশ্মীরে প্রায়ই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এসব ঘটনায় কখনো নিরাপত্তা বাহিনী আবার কখনো বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের এভাবে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা বিরল এবং তা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের হতবাক ও আতঙ্কিত করেছে।

পেহেলগামের মতো এলাকার অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। হামলার জেরে সেখানে বহু মানুষের জীবিকা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনকাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড়, ভাঙা হচ্ছে বাড়ি: ‘আমার ভাই জড়িত থাকলেও পরিবারের অপরাধ কী’১৮ ঘণ্টা আগেহামলার পরদিন (২৩ এপ্রিল) ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পেহেলগামের বৈসারান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাপ্তাই হ্রদের ‘দ্বীপে’ রিসোর্ট-কটেজ, টানছে পর্যটক
  • ভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট
  • হামলার পর আশা ও আতঙ্কের মধ্যে পেহেলগামে ধীরে ধীরে ফিরছেন পর্যটকেরা