মৌলভীবাজারের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টেছে। ৫ মাস আগেও যাদের হুকুমের হেরফের হতো না, তারা আজ লাপাত্তা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন। অনেকে আবার দল ডুবিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
এদিকে নেতারা গা-ঢাকা দিলেও জেলার তৃণমূল নেতাকর্মী পড়েছেন হয়রানির মুখে। মামলা, হামলা ও নির্যাতনে জর্জরিত তারা। অন্যদিকে দেড় দশক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বাইরে থাকা বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে চলছে প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় গত বছরের ৫ আগস্ট। এর পরপরই মৌলভীবাজার জেলার দুর্দান্ত প্রভাবশালী নেতারা অন্তরালে চলে যান। দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা একসময়ের আওয়ামী নেতারা ক্ষমতার মোহে জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন। জেলাজুড়ে গড়ে তুলেছিলেন রাজনৈতিক বলয়। সাধারণ নেতাকর্মীরা সুবিধাভোগীদের কাতারে না থাকলেও এখন তাদেরই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
তৃণমূল আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সুসময়ে মধু খেয়ে উড়ে যাওয়া নেতাদের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আকিল আহমদ, সদস্য ও একাধিকবারের সিআইপি এম এ রহিম শহীদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার, আব্দুল মোহিত টুটু, জেলা যুবলীগ সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, রাজনগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রীর ছেলে জাকির হোসেন জুমনের নাম উল্লেখযোগ্য। তারা ক্ষমতায় থাকতে দল বাণিজ্যে সবার আগে ছিলেন। পালানোর ক্ষেত্রেও সবার আগে।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিদেশে অবস্থান করা সাইফুর রহমান বাবুল মোবাইল ফোনে জানান, গত বছরের ১২ জুলাই পারিবারিক কাজে যুক্তরাজ্যে আসতে হয়েছে। সুবিধাভোগী অনেক নেতা নৌকা ডুবিয়ে ৫ আগস্টের পর বিদেশে এসেছেন। গুঞ্জন রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র ফজলুর রহমান প্রমুখ ভারতে অবস্থান করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান, সহসভাপতি আজমল মিয়া, মসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকন, সদ্য সাবেক এমপি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অর্ধেন্দু দেব, সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাই কমলগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল, লাউয়াছড়া সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক, মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি শফিউল আলম নাদেল, কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেণু, সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফি আহমদ সলমান আত্মগোপনে আছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদমর্যাদার এক নেতা জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা আইনিভাবে মামলা মোকাবিলা করলে নিরীহ নেতাকর্মীরা হয়রানি থেকে রেহাই পেতেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ র রহম ন র জন ত মন ত র উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা

সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ পয়েন্ট এলাকায় মরিচক্ষেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জমির মালিক সাব্বির আহমদ গ্রেনেডটি দেখতে পেরে পুলিশকে জানান। পুলিশ সেনাবাহিনীকে জানালে শুক্রবার দুপুরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করে।

স্থানীয়রা জানান, এলাকার সাব্বির আহমদের জমিতে একজন কৃষক কাজ করা অবস্থায় গ্রেনেডটি প্রথম দেখতে পান। পরে অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখালে তারা বুঝতে পারেন এটি গ্রেনেড জাতীয় কিছু এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করেন এবং নিশ্চিত হন যে এটি একটি সক্রিয় k36 অথবা M36 মডেলের গ্রেনেড। এরপর তারা নিরাপদ দূরত্বে গ্রেনেডটি নিয়ে যান এবং তা নিষ্ক্রিয় করেন।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. মুখলেছুর রহমান বললেন, স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদেরকে খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। তারা শুক্রবার এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেন।

শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, এটি k36 অথবা M36 মডেলের একটি সক্রিয় গ্রেনেড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই মডেলের গ্রেনেড ব্যবহৃত হতো। এটি এতোদিন মাটি ছাপা ছিলো এখানে অথবা অন্য জায়গা থেকে কেউ এনেছে। পুলিশ আমাদের জানানোর পর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সফলভাবে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা, আসামি ১৫৯
  • জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে বাধা: ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক ও ১৯ সংগঠনের নিন্দা
  • আপেল মাহমুদ অথবা রবিঠাকুরের কাদম্বিনীর গল্প
  • বালু ব্যবসার নামে প্রতারণা কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা
  • বিজিএমইএ’র নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান
  • বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা
  • ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন জামায়াতের আমিরের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ
  • হু হু করে বাড়ছে অপরিকল্পিত ভবন, মিলছে না ময়লা ফেলার জায়গা
  • মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা