জয় শাহের দায়িত্ব গ্রহণের পর পদ ছাড়লেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী
Published: 29th, January 2025 GMT
ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রন সংস্থার (বিসিসিআই) সাবেক সচিব এবং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডিসেম্বরের ১ তারিখে। এরপরই দুই মাসের মাথায় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি, ২০২৫) পদত্যাগ করেছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ অ্যালারডাইস। জয় শাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম আইসিসি রড় কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যালারডাইসের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে 'নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার' আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি। সরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময় মনে হয়েছে তার কাছে।
আরো পড়ুন:
৩ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে নায়ক-নায়িকার চুলোচুলি
ন্যায়বিচারের স্বার্থে ভারত হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে, আশা ক্যাডম্যানের
বিদায়ী বার্তায় ৫৭ বছর বয়সী আইসিসির সাবেক এই উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানান, প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করে তিনি গর্বিত। অ্যালারডাইস বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সম্মানের বিষয়। ক্রিকেটের বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতি বাড়ানো থেকে শুরু করে আইসিসির সদস্যদের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তি স্থাপন করা পর্যন্ত আমরা যা কিছু অর্জন করেছি, তাতে আমি ভীষণ গর্বিত।”
২০১২ সাল থেকেই আইসিসিকে কাজ করেন অ্যালার্ডিস। এরপর ২০২১ সালে প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন তিনি। স্থায়ী হওয়ার আগে অন্তর্বর্তী সিইওর দায়িত্ব পালন করেছেন ৮ মাস। মানু সাশ্বনি বরখাস্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান সাবেক এই ক্রিকেটার। আইসিসিতে
অ্যালারডাইস তার বিদায় বার্তায় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি। একই সাথে তিনি ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন, “গত ১৩ বছর ধরে আমাকে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য আইসিসি চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ ও গোটা ক্রিকেট সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, পদত্যাগ করার এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য এটাই সঠিক সময়। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ক্রিকেটের সামনে রোমাঞ্চকর সময় অপেক্ষা করছে। আর আমি আইসিসি ও বিশ্ব ক্রিকেট সম্প্রদায়ের জন্য ভবিষ্যতে সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।”- অ্যালারডাইস যোগ করেন।
এদিকে আইসিসির চেয়ারম্যান জয় অ্যালারডাইসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, “প্রধান নির্বাহী থাকাকালীন তার নেতৃত্ব ও নিবেদনের জন্য আইসিসি বোর্ডের পক্ষ থেকে জেফকে (অ্যালারডাইস) আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তার প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার কাজের জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ এবং তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স আইস স র র জন য কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫