এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে ভালো নজির স্থাপিত হলো এবার
Published: 10th, July 2025 GMT
২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলো। এবার পরীক্ষার আয়োজন থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত একধরনের রাজনীতিমুক্ত পেশাদারত্বের ছাপ পাওয়া গেল। শিক্ষা প্রশাসন সে জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে।
এবার পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখের মতো। পাস করেছে ১৩ লাখ এবং ফেল করেছে ৬ লাখ। জিপিএ–৫ এর সংখ্যাও কমেছে। নিঃসন্দেহে এটা ‘খারাপ ফল’।
এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ফেল করেছে দেখে বিভিন্ন দিকে হাহাকার দেখা যাচ্ছে। অনেক বোর্ড ছয়-সাত বছরের মধ্যে ‘খারাপ ফল’ করেছে বলে অনলাইনে হেডিং দেখছি। সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়াদের সংখ্যাও এবার অনেক কমেছে। একজন শিক্ষার্থী-পরীক্ষার্থীর পেছনে পরিবারের অনেক বিপুল বিনিয়োগ থাকে। ফলে লাখ লাখ পরিবারে আজকে একটা দুঃখের দিন।
এটা কেন হলো সেটা সবাইকে অনুসন্ধান করতে হবে স্কুল পর্যায়ে। এর সঙ্গে রাজনীতিকে জড়ানো ঠিক হবে না। অতীতে এ ধরনের পরীক্ষা নিয়ে সেই কাজটি হতো।
শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে ছবি তোলার আনন্দে মেতেছে। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বরিশাল নগর, ১০ জুলাই।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসির ফল নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোল
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে হট্টগোল করেছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বগুড়া জিলা স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে মোট মান ৫০। এর জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষা হয় না। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজ, প্রজেক্ট তৈরি, উপস্থাপনা, বিতর্ক, কর্মশালা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়। বাকি ২৫ নম্বর দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আট স্কুলের ৮৮৩ পরীক্ষার্থীর কেউ ২৫ নম্বরের বেশি পাননি। তবে এসব স্কুল থেকে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তারা পুরো ২৫ নম্বর দিয়েছেন।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ২৫ নম্বর কম দেওয়ায় সামগ্রিকভাবে ফল খারাপ হয়েছে। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বগুড়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কেন্দ্র থেকে সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে নম্বর বাদ পড়তে পারে।
আরো পড়ুন:
পরিবারহীন ১২ বন্ধুর এসএসসি জয়
পটুয়াখালীতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ
যে আট স্কুলের শিক্ষার্থীরা বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করনোশেন উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল ও কলেজ, দারুল ইসলাম নৈশ স্কুল ও আলোর মেলা হাই স্কুল।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নম্বরই দেওয়া হয়েছে। এখন বোর্ড থেকে হোক বা আমাদের এখানে হোক কোনোভাবে ভুল হতে পারে। কিন্তু, আমরা কাউকে ইচ্ছে করে নম্বর কম দেইনি। তাহলে সবার কম আসত না।’’
সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল শুক্রবার অফিস বন্ধ। রবিবার আমরা বোর্ডে কথা বলি। তখন কোথায় ভুল হয়েছে দেখে সংশোধন করা যাবে। বিষয়টি অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’’
এ বিষয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাইজুর রহমান বলেন, ‘‘এ বছর আমাদের স্কুল থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবাইকে ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে দেওয়া নম্বর যোগ হয়নি। ধারণা করছি, কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব