চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলরুটে আজ শনিবার থেকে চলাচল শুরু করছে ‘সৈকত এক্সপ্রেস’ ও ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ নামে নতুন দুটি ট্রেন। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দাবি ও লাভজনক রুট হওয়ায় এ দুটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। 

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ রুটে নতুন দুটি ট্রেন চলাচলের তথ্য জানানো হয়েছিল। প্রতিটি ট্রেন দিনে দুইবার চার দফায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে চলাচল করবে। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে সোমবার।

সৈকত এক্সপ্রেস: চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার জানান, আজ ভোর সোয়া  ৬টায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে প্রথমে ছেড়ে যাবে সৈকত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে। এ জন্য গত ২৩ জানুয়ারি সৈকত এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করা হয়। ফিরতি পথে ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। 

প্রবাল এক্সপ্রেস: অন্যদিকে প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছাড়বে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে; চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে। একই ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে এবং কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টায়। দুটি ট্রেনই যাত্রাপথে বিরতি দেবে ৪টি স্টেশনে। উভয় ট্রেনেই চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৫ টাকা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র লপথ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই স্মৃতিচারন: মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি

গত জুলাইয়ের আজকের এই দিনে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গনহত্যা, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারাদেশে “মার্চ ফর জাস্টিস" কর্মসূচির ঘোষনা দিয়েছিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তাদের সাথে একাত্মতা পোষন করে সেদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। যৌক্তিক দাবিতে সেদিন নারায়ণগঞ্জের রাজপথেও নেমেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

সেইদিনের সৃতিচারন করতে গিয়ে একটি বেসরকারি ইন্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক আব্দুর রাহমান গাফফারি জানান, “স্টুডেন্টরা তুলনামূলক কম উপস্থিত থাকায় সেদিন তারাতাড়ি কলেজ ছুটি হয়ে যায়, তবে আমরা ব্যাগে করে দু টুকরো লাল কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম, ছুটি যদি নাও হয় আমরা লিভ নিয়ে শিক্ষকরা মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে আংশগ্রহন করবো।

তারপর কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পদযাত্রায় বের হই এবং সাইনবোর্ডে অবস্থান করি এবং আন্দোলনরতদের মাঝে বিক্সুট ও পানি বিতরন করি। বিকেল ৪ টায় ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তীদিনের “রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস" কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলে উৎসাহ দিয়ে কর্মসূচি শেষ করি।"

সম্পর্কিত নিবন্ধ