জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার খবরে বিসিএস ৩০ থেকে ৪১ ব্যাচ পর্যন্ত কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ। তারা বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে প্রশাসন ক্যাডারের নবীন কর্মকর্তারা জড়ো হয়। এ সময় প্রশাসন ক্যাডারের নবীন কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং এই সিদ্ধান্ত তাদের প্রতি অবিচার বলে তুলে ধরেন।

ব্রিটিশ ভারত থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবেই উপসচিব পদে মূলত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই কাজ করে থাকেন। এ বিষয়ে করা রিট উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই শেষে রায় দেয় আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৪ মে আদালতের চূড়ান্ত আদেশে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ৭৫ শতাংশ নিয়োগ বৈধ ঘোষণা করে।

প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তারা বলেন, আদালতের রায় উপেক্ষা করে এ ধরণের সুপারিশের প্রস্তাব একদিকে আদালত অবমাননার শামিল অপরদিকে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দুর্বল করার শামিল। পাশাপাশি এই সুপারিশ নবীন কর্মকর্তাদের জন্য বৈষম্যমূলক। এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে প্রশাসনে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা দুর্বল হতে পারে বলেও আশংকা ব্যক্ত করেন তারা।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম, অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীসহ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সরকারের নীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত ‘কোর’ অফিসগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা কাজ করেন। এই সুপারিশের ফলে প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাবে। প্রশাসন যেহেতু সরকারের নীতি বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে, সেহেতু মনোবলহীন প্রশাসনব্যবস্থা রাষ্ট্রব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার নামান্তর হবে। 

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ধৈর্য্য ধরে নবীন কর্মকর্তাদের কথা শোনেন এবং তাদের বক্তব্য সরকারের উচ্চমহলে তুলে ধরার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া ও কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে বদলি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের একান্ত সচিব (পিএস) মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়াকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

৬ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে হাসনাত মোর্শেদকে কী কারণে উপদেষ্টার একান্ত সচিবের পদ থেকে সরানো হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

বিসিএস ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা হাসনাত মোর্শেদ গত বছরের ১৮ আগস্ট ফাওজুল কবির খানের পিএস হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। 

উপদেষ্টাদের পছন্দ অনুযায়ী উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে তাদের একান্ত সচিব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 

ওই প্রজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হয়, উপদেষ্টা যত দিন পদে থাকবেন অথবা পিএস হিসেবে কাউকে রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করবেন, তত দিন পর্যন্ত পিএস পদে থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে বদলি