শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) লা লিগা জমিয়ে দেয় মূলত মাদ্রিদ ডার্বির বিতর্কিত ড্র। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দলের ড্র দেখে সবচেয়ে খুশি হওয়ার কথা বার্সেলোনা ভক্তদেরই। সেই লক্ষ্যে রবিবার রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নামে কাতালান জায়ান্টরা। ম্যাচের আধাঘন্টারও বেশি সময় একজন কম নিয়ে খেলেও বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ফলে স্প্যানিশ লিগে শীর্ষ দুই দলের সঙ্গে ব্যবধান আরও কমাল বার্সা। লা লিগার সেরা ৩ দলের পয়েন্ট এখন ৪৮, ৪৯ এবং ৫০!
রবিবার সেভিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সা। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ফেরমিন লোপেজ প্রতিপক্ষ মিডফিল্ডার জিব্রিল সাওকে ভয়ানক ট্যাকল করলে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। যদিও ততক্ষণে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা। এরপরও সেভিয়া গোলের ব্যবধান কমাতে পারেনি, উল্টো ফ্লিকের দল আরও একতা গোল দিয়ে ৪-১ এর বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে।
ঘরের মাঠ র্যামন সাঞ্চেজ পিজিয়ানে ম্যাচের সাত মিনিটেই রবার্ট লেভানডভস্কির গোলে পিছিয়ে যায় সেভিয়া। তবে মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরে সেভিয়া। সাউলের কাটব্যাকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান রুবেন ভার্গাস, অনায়াসেই গোল করেন সুইস ফরোয়ার্ড।
আরো পড়ুন:
বিতর্কিত পেনাল্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি দুই মাদ্রিদের: আড়ালে বার্সার হাসি
ঘরের ছেলে তোরেসের হ্যাটট্রিকে উড়ে গেল ভ্যালেন্সিয়া
বিরতির পর গাভির বদলি হিসেবে নেমে প্রথম মিনিটেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন লোপেজ। পেদ্রির ক্রসে লাফিয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান বাড়ান রাফিনিয়া। এরপর ৬০তম মিনিটে লোপেজের সেই লাল কার্ড।
প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুযোগে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় সেভিয়া, তবে লাভ হয়নি। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে সেভিয়ার কফিনে চতুর্থ পেরেক ঠুকে দেন এরিক গার্সিয়া।
লা লিগার ২৩ রাউন্ডের খেলা শেষে রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার সংগ্রহ যথাক্রমে ৫০,৪৯ এবং ৪৮।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”
ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”
সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”
“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।