নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভা শহরে অবস্থিত ডব্লিউএইচওর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে এ-সংক্রান্ত কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। এদিন মঙ্গোলিয়া ও উজবেকিস্তানের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ওষুধের চালান পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর পর ইকুয়েডর, জর্ডান, নেপাল ও জাম্বিয়াতেও পাঠানো হবে ওষুধের চালান। এই ছয়টি দেশের হাসপাতালগুলোয় ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। তাদের সবার কাছেই বিনামূল্যে পৌঁছাবে ওষুধ। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাইলট পর্যায়ে যে ছয়টি দেশ বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোয় মানসম্পন্ন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ওষুধের সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। শিগগিরই এ তালিকায় যুক্ত হবে আরও নতুন দেশ। 

বিশ্বে এখনও ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় উচ্চ আয়ের দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে মাঝারি ও নিম্ন আয়ের দেশগুলো। এই ব্লকের দেশগুলোয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে ওঠা শিশুদের হার ৩০ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে, ‍উন্নত দেশগুলোয় এ হার প্রায় ৮০ শতাংশ। ডব্লিউএইচওর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় অন্তত ৪ লাখ শিশু। কিন্তু ওষুধের দুর্মূল্য ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে এই শিশুদের ৭০ শতাংশই মারা যায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে ৫০টি দেশে এই কর্মসূচি বিস্তারের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যদি তা সফল হয়, তাহলে বিশ্বের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশুরোগী বিনামূল্যে ক্যান্সারের ওষুধ পাবে। 


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুর ইলেট্রনিক টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো নগদ

পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহে (ইটিসি) যুক্ত হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’। আধুনিক এই ব্যবস্থার ফলে যানবাহনগুলোর আর লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেয়ার প্রয়োজন হবে না, বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ করা যাবে নগদের মাধ্যমে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নগদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় আরএফআইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। এর ফলে টোল প্লাজায় থামা ছাড়াই টোল পরিশোধ করা সম্ভব হবে, যা সময় বাঁচাবে এবং যানজট ও ভোগান্তি কমাবে।

রাজধানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সেতু অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন, নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহসহ দুইপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

চুক্তিতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার নুরুল হক এবং নগদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী।

অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, জনগণকে ঝামেলাহীন সেবা দিতে আমরা পদ্মা সেতুর টোল আদায় ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই এই ব্যবস্থা চালু করে সাধারণ যাত্রীদের উপকারে আনা আমাদের লক্ষ্য।

নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, আমরা প্রযুক্তিকে ডিজিটাল পেমেন্টের উপযোগী করে তুলছি। সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া হবে আরও আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

নগদের চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী বলেন, এই চুক্তি দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বাস্তবায়নে একটি মাইলফলক। তবে বিআরটিএ-এর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।

ডাক বিভাগের পরিচালিত নগদ বর্তমানে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বচ্ছতা, সহজসেবা ও গ্রাহকের আস্থার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে সেবাটি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ