পুরান ঢাকায় ভাঙারি পণ্য ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং খুলনায় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মাহবুব রহমান হত্যাসহ সাম্প্রতিক সব হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মশালমিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ভিসি চত্বর ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ। সঞ্চালনায় ছিলেন সহসাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস জামান।

সভাপতির বক্তব্যে সৈকত আরিফ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল একটি গণতান্ত্রিক, নিরাপদ রাষ্ট্র গড়ে উঠবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার যদি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জনগণ নতুন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে সৈকত আরিফ বলেন, ‘সরকার পতনের পর থেকেই হাটবাজার, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। এসব সংঘর্ষ খুন-হত্যায় রূপ নিচ্ছে। দলটি শুধু বহিষ্কার করেই দায় এড়াতে চাচ্ছে। বিএনপিকে বলছি, কেবল বহিষ্কার নয়, বিচার নিশ্চিত করতেও আপনাদের উদ্যোগ নিতে হবে।’

ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, আজকের অরাজকতার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাষ্ট্রীয় বিচারহীনতার। গণ-অভ্যুত্থানের পর শত শত মাজার ও মন্দির ভাঙা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যার কোনো বিচার হয়নি। তাই আজ মিটফোর্ডের মতো এলাকায় প্রকাশ্যে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।

বক্তারা অবিলম্বে সাম্প্রতিক সব হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধে রাষ্ট্রকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিন্নাত আরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি আল-আমিন রহমান, ছাত্র ফেডারেশনের শাখার সংগঠক সীমা আক্তার, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক হাসান আল মেহেদী, দপ্তর সম্পাদক অনুপম রায় রূপকসহ সংগঠনের অন্য নেতারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হত য ক ণ ড ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

পুশইন নিয়ে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না জনগণ

বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ক্রমাগত ভারতীয় পুশইনের প্রতিবাদে এবং এসব লোকজনকে পুশব্যাক করার দাবিতে রাজধানীতে নাগরিক সমাবেশ হয়েছে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে এ নাগরিক সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী কথিত ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ ধরতে অভিযান চলছে ভারতে। ‘অবৈধ অভিবাসী’ সন্দেহে বিভিন্ন রাজ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মুসলমান এবং বাংলা ভাষাভাষীদের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এনে তাদের তুলে দেওয়া হয় বিএসএফের হাতে। আর বিএসএফ সময় ও সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় তাদের।

৭ মে প্রথম দফায় খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়িতে ৬৬ এবং কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও ৩৬ জনকে দিয়ে শুরু হওয়া ‘পুশইন’ এখনও অব্যাহত রয়েছে। তারা বলেন, শুধু মে মাসেই ১ হাজার ২২২ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারত। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ২৪ দিনে মোট ১ হাজার ২২২ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারত।

বক্তারা বলেন, ভারতবিরোধী বড় বড় কথা বলে সস্তা বাহবা পাওয়া যেতে পারে। অথচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের জন্য বরাদ্দকৃত ভূমি বাতিল করা হয়নি, তিস্তা প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, ভেঙে পড়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা, অবাধ বিচরণ করছে অবৈধ ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মতো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিও লক্ষণীয়। এদেশের জনগণ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না, দেশের মানুষ এখন স্বনির্ভর, জবাবদিহি ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির সম্পূর্ণ নতুন বাংলাদেশ চায়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবরের সভাপতিত্বে এবং মো. মোস্তফা আল ইহযাযের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ ও সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, মেজর (অব.) হারুন আর রশিদ, মুসলিম ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মাসউদুল হাছান, আরজেএফের জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রবিউল হোসেন রবি, ন্যাশনাল কৃষক শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক আব্দুল করিম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিচার-সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানোর যুক্তি আর চলবে না: মঈন খান
  • পুশইন নিয়ে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না জনগণ
  • মুক্তির প্রাথমিক শর্ত বৈষম্যের অবসান
  • একটি দল ভাবছে, চাঁদাবাজির স্বাধীনতা পেয়েছে তারা 
  • জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন কর‌তে দে‌ব না: হেফাজ‌ত
  • জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে মহানগরী জামাতের মিছিল
  • খাল কেটে কুমির আনার অধিকার সরকারকে কেউ দেয়নি: জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় নিয়ে মামুনুল হক
  • বিচার-সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না: নাহিদ
  • খুলনায় এনসিপির সমাবেশে ২০ হাজার লোক সমাগমের প্রস্তুতি