Prothomalo:
2025-09-18@03:39:32 GMT

মাচায় ঝুলছে লাউ, ক্রেতা নেই

Published: 15th, February 2025 GMT

এক একর জমিতে লাউ চাষ করেছেন কৃষক সিরাজ উদ্দিন। ফলনও হয়েছে ভালো। এরপরও দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সিরাজ উদ্দিনের। জানালেন, চাষাবাদে খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকার মতো। অথচ এ পর্যন্ত লাউ বিক্রি করে আয় হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। এখন স্থানীয় বাজারে লাউ বিক্রির জন্য নিয়ে গেলেও ক্রেতা তেমন মিলছে না। যাঁদের পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের কাছে লাউ বিক্রি করে উঠছে না পরিবহন খরচ।

সিরাজ উদ্দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তাঁর খেতে গিয়ে দেখা যায়, খেতজুড়ে মাচায় ঝুলছে নানা আকারের লাউ। কিছু লাউ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় খেতের পাশে।

সিরাজ উদ্দিন বলেন, গত বছরের বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে লাউ চাষ করেছিলেন। আশানুরূপ ফলনের পরও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘বাজারে লাউ নিয়ে গেলে কেউ কিনতে চায় না। বাজারে যে গাড়িভাড়া করে নিয়ে যাব, এর খরচ তো অন্তত উঠতে হবে। দাম না পাওয়ায় গত প্রায় ২০ দিন ধরে বাজারে লাউ নেওয়া বন্ধ রেখেছি।’

নিজের খেতে অন্তত দুই হাজার ছোট-বড় লাউ এখন মাচায় ঝুলছে বলে জানান সিরাজ উদ্দিন। বলেন, তাঁর মতো এলাকার সবচাষিই লাউ চাষ করে বিপাকে। কেউ গরুকে লাউ খাওয়াচ্ছেন। এখন অবস্থা এমন যে গরুও লাউ খেতে চায় না। লাউ চাষ যেন চাষিদের জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে।

এলাকায় কথা হয় আরেক কৃষক আবুল খায়েরের (৫৫) সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তিনি ১০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন। পাশাপাশি এক একর জমিতে চাষ করেছেন শিম। দুটি ফসলেরই বাজার এবার খারাপ যাচ্ছে। ক্রেতা না থাকায় তিনিও বাজারে লাউ বিক্রি করতে নিচ্ছেন না।

কিছু লাউ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে খেতের আশপাশে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল উ চ ষ কর চ ষ কর ছ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ