Prothomalo:
2025-06-16@17:15:29 GMT

বিদেশি ভাষা শিখবেন কোথায়?

Published: 16th, February 2025 GMT

বিল গেটসের জীবনের বড় আক্ষেপ কী, জানেন? ইংরেজি ছাড়া তিনি আর কোনো ভাষা জানেন না। এক সাক্ষাৎকারে মাইক্রোসফটের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, ‘কোনো ভিনদেশি ভাষা জানি না, ভাবলেই আমার নিজেকে আস্ত বোকা মনে হয়।’

বৃত্তি বা চাকরি পাওয়া সহজ—শুধু এই বিবেচনায় নয়, একেবারে ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকেও অনেকে তৃতীয় একটি ভাষা শিখতে আগ্রহী হন। সুযোগ কিন্তু আছে নানা রকম। চাইলে একটি ভাষার ওপর পুরোদস্তুর স্নাতক করতে পারেন। ডিপ্লোমা বা ছোটখাটো কোর্স করার সুযোগও আছে।

খরচ কেমন

ভাষা বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে গেলে প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হয়। পেশাদার মাস্টার্স কোর্সের খরচ বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে একেক রকম। সার্টিফিকেট কোর্সের খরচ সাধারণত ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। ডিপ্লোমা করতে খরচ পড়ে ১০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা। এ ছাড়াও ভাষাদক্ষতা–সংশ্লিষ্ট কোর্সের খরচ শ্রেণিভেদে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা হতে পারে।

ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য তথ্য

উচ্চমাধ্যমিক পাস হলেই আপনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষার শিক্ষা কেন্দ্র থেকে সার্টিফিকেট কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। বিশেষায়িত ভাষাকেন্দ্রগুলোতেও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের ডিগ্রি থাকলে আবেদন করা যায়। বিভিন্ন ভাষাকেন্দ্রে বিভিন্ন পাঠ্যক্রম অনুসারে ভাষা শেখানো হয়। ৪ বছরের স্নাতক প্রোগ্রাম ছাড়া ৩ থেকে ১৮ মাসব্যাপী বিভিন্ন কোর্স ও সনদ গ্রহণের সুযোগ আছে।

আরও পড়ুন‘অনেক চাকরি নিয়ে বসে আছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না’১৯ জানুয়ারি ২০২৫স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সুযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন জাপানিজ স্টাডিজ (বিস্তারিত: https://djs.

du.ac.bd/) বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা যায়। এ ছাড়া মাস্টার্স ইন জাপানিজ স্টাডিজ পড়ার সুযোগ আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে এমএ ইন চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার, জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার ও ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিষয়ে মাস্টার্স করতে পারেন। কলা অনুষদের অধীনে আরবি, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, উর্দু বিষয়েও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা যায়। বিস্তারিত: www.du.ac.bd/departments

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (আইইউবি) কোরিয়ান ভাষা শেখার সুযোগ আছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা

রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।

এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।

রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।

এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।

সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।

এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।

রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ