দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের বিজ্ঞানীরা বিরল প্রজাতির একটি ব্যাঙ আবিষ্কার করেছেন। যার নাম রাখা হয়েছে ‘ ফিলোনাস্টেস ডিক্যাপ্রিও’।

ডেইলি মেইলের তথ্য অনুসারে, ইকুয়েডরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োডাইভার্সিটি, দ্য ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব ইকুয়েডর এবং সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি অব কুইটোরের গবেষকরা সাতটি ব্যাঙ আবিষ্কার করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম ‘ ফিলোনাস্টেস ডিক্যাপ্রিও’। অস্কার পুরস্কারজয়ী লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামানুসারে ব্যাঙটির নামকরণ করা হয়েছে।

ইকুয়েডরের এল ওরো প্রদেশের পশ্চিম মাউন্টেন ফরেস্টে পাওয়া যায় ব্যাঙটি। এটি আকারে ছোট। বাদামি রঙের ব্যাঙটির শরীরে গাঢ় দাগ রয়েছে। ডিকাপ্রিও ব্যাঙের আঙ্গুলের আকৃতি আরো বেশি অনন্য। ফিলোনাস্টেস প্রজাতির ব্যাঙের শারীরিক দৈর্ঘ্যের চেয়ে ফিলোনাস্টেস ডিক্যাপ্রিও ব্যাঙের দৈর্ঘ্য বেশি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৩৩০ মিটার থেকে ১ হাজার ৭০৫ মিটার উচ্চতায় এ ব্যাঙের বসবাস।

আরো পড়ুন:

বাফটায় বাজিমাত করলেন কারা?

রোমান্টিক পাঁচ সিনেমা

ইকুয়েডরে আরেক প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে, যাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ‘লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও হারলেকুইন’ বলে থাকেন। কারণ ব্যাঙটি সংরক্ষণের জন্য সমর্থন জানিয়েছিলেন এই অভিনেতা।

গত বছরের অক্টোবরে নেপালের হিমালয়ে আবিষ্কৃত হয় নতুন প্রজাতির একটি সাপ। আবিষ্কৃত এই সাপের নামকরণ করা হয় ‘অ্যাঙ্গুইকুলুস ডিক্যাপ্রিও’। অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামানুসারে সাপটির নামকরণ করা হয়। নেপাল থেকে হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে সাপটি পাওয়া যায়।

মহামারি করোনাভাইরাসের সংকটকালে লকডাউন ছিল। সেই সময়ে পশ্চিম হিমালয়ে বীরেন্দ্র ভরদ্বাজ তার বাড়ির উঠোনে সাপটিকে প্রথম দেখেন। এরপর সাপটির ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। আবিষ্কারটি বিশেষভাবে নেটিজেনদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তারপর সাপটির পরিচয় শনাক্ত করার জন্য তিন বছর গবেষণা করে। প্রাথমিকভাবে, সাপটি পূর্ব হিমালয়ে সাধারণত পাওয়া যায় এমন একটি প্রজাতি লিয়াপেল্টিস র‍্যাপির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে ধারণা করেন গবেষকরা।

পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৯৮ সালে ‘লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ইকুয়েডরের ইয়াসুনি জাতীয় উদ্যানে বিতর্কিত ৪৩টি আইটিটি তেল ব্লক বন্ধ করার জন্য প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। মূলত, এসব কারণে ডিক্যাপ্রিওকে শ্রদ্ধা জানাতে বিরল প্রজাতির আবিষ্কৃত ব্যাঙটির নামকরণ করা হয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভৈরব পৌর স্টেডিয়াম থেকে সরানো হলো আইভি রহমানের নাম

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর স্টেডিয়াম থেকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানের নাম সরানো হয়েছে। নতুন নাম করা হয়েছে ‘উপজেলা স্টেডিয়াম’।

আইভী রহমান ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। তিনি তখন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ছিলেন।

নাম বদলকে কেন্দ্র করে ভৈরবে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। স্থানীয় একজন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নামকরণ বা পরিবর্তনের পেছনে কোনো সার্বজনীন চিন্তা কাজ করেনি; বরং এতে ক্ষমতার প্রভাবই স্পষ্ট।’

স্বাধীনতার পর তিন একর জায়গায় ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ভৈরবপুর উত্তরপাড়ায় এই স্টেডিয়াম নির্মিত হয়। তখন এর নাম ছিল ‘ভৈরব পৌর স্টেডিয়াম’। শুরু থেকেই এর ব্যবস্থাপনায় ছিল পৌর প্রশাসন।

আইভি রহমানের স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও তাঁর বাবার বাড়ি ভৈরবে। তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মায়ের নামে স্টেডিয়ামটির নামকরণের উদ্যোগ নেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণের পর ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম’ হিসেবে এটি উদ্বোধন করা হয়।

গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর স্টেডিয়ামসহ আইভি রহমানের নামে করা বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠিতে স্টেডিয়ামের নতুন নাম ‘উপজেলা স্টেডিয়াম’ নির্ধারণ করে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনকে জানানো হয়। পরে পুরোনো নামফলক সরিয়ে নতুন নামফলক স্থাপন করা হয়েছে।

ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পরিস্থিতির কারণে আইভি রহমানের নাম সরিয়ে দিল। আবার সুযোগ বুঝে আমরাও টানিয়ে নিব।’

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক শবনম শারমিন প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে নাম পরিবর্তনের চিঠি পাওয়ার পর স্টেডিয়ামের নামফলক পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে এটি অফিশিয়ালি ‘উপজেলা স্টেডিয়াম’ নামে পরিচিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভৈরব পৌর স্টেডিয়াম থেকে সরানো হলো আইভি রহমানের নাম