নতুন পর্বে ফ্ল্যাগশিপ প্রতিযোগিতা
Published: 18th, February 2025 GMT
ফ্ল্যাগশিপ প্রতিযোগিতা ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ পর্বের ১২তম আসরের জন্য দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস প্রদর্শনী করেছে উদ্যোক্তা ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে। জানা গেছে, প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের সার্বিক উন্নয়নে অংশ নেওয়া।
ইতোমধ্যে রুয়েট, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, এইউএসটি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদর্শনীতে হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রদর্শনীতে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামের লক্ষ্য, পরিকল্পনা, প্রস্তুতির পরামর্শ ও শিক্ষার্থীদের সুযোগের বিষয়ে জানানো হয়। দেশের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রচারণা করা হবে।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত পথ প্রদর্শনী হবে। আগামী এপ্রিলে প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। তখন থেকেই আগ্রহীদের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। চূড়ান্ত বিজয়ীরা চীনে অনুষ্ঠেয় আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। উদ্যোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশে ২০১৪ সালে শুরু হওয়ার পর আইসিটি খাতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীর কাছে উদ্যোগটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
প্রতিবছর বহির্বিশ্বের কয়েকটি দেশের বিজয়ীরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।