ফেসবুকসহ জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিও সম্প্রচারের সুযোগ থাকায় অনেকেই পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে চলতি পথের কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনার দৃশ্য লাইভ করেন। শুধু তা–ই নয়, ছোট-বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা নতুন উদ্যোক্তারা নিজেদের পণ্য ও সেবাগুলো গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতেও নিয়মিত ফেসবুক লাইভ করেন। এত দিন ফেসবুকে পুরোনো লাইভ ভিডিওগুলো সংরক্ষণ করা থাকলেও গতকাল বুধবার থেকে নতুন নীতিমালা চালুর ঘোষণা দিয়েছে মেটা। নতুন নীতিমালার আওতায় ৩০ দিনের বেশি পুরোনো সব লাইভ ভিডিও মুছে ফেলা হবে।

মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেশির ভাগ লাইভ ভিডিও সম্প্রচারের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেখা হয়ে যায়। তাই ধারণক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি লাইভ ভিডিওর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন এ নীতিমালার আওতায় ফেসবুকের লাইভ ভিডিও দীর্ঘদিন অনলাইনে সংরক্ষণ করা হবে না। সম্প্রচারের ৩০ দিন পর ভিডিওগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা হবে, ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংরক্ষণ না করলে হারিয়ে যাবে ভিডিওগুলো।

আরও পড়ুনফেসবুক রিলস বানিয়েই যেভাবে টাকা আয় করতে পারেন২৫ অক্টোবর ২০২৪

পুরোনো লাইভ ভিডিও মুছে ফেলার আগে ব্যবহারকারীদের ই-মেইল ও বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করা হবে। সতর্ক বার্তা পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভিডিও সংরক্ষণ করতে হবে। লাইভ ভিডিও সংরক্ষণের জন্য ফেসবুক বেশ কয়েকটি ডাউনলোডের সুবিধা চালু করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবহারকারীরা চাইলে একসঙ্গে বা আলাদাভাবে ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়া ভিডিও সরাসরি ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভের মতো ক্লাউড স্টোরেজেও সংরক্ষণ করা যাবে।

আরও পড়ুনফেসবুকে ভিডিও নির্মাতাদের আয়ের পথ সহজ হচ্ছে০৫ অক্টোবর ২০২৪

ফেসবুকের লাইভ ভিডিও সংরক্ষণের জন্য প্রথমে অ্যাকটিভিটি লগ অপশনে প্রবেশ করে ইয়োর লাইভ ভিডিওস ফিল্টারের মাধ্যমে ভিডিও সম্প্রচারের তারিখ নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া প্রোফাইল, পেজ বা মেটা বিজনেস স্যুটের ‘ভিডিও’ বা ‘লাইভ’ ট্যাবে গিয়ে পছন্দের ভিডিও নির্বাচন করে ফুল স্ক্রিন মোডে চালু করে তিনটি ডট মেনু থেকে ভিডিও ডাউনলোড অপশন নির্বাচন করা যাবে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিডিও সংরক্ষণ করা সম্ভব না হয়, তবে ছয় মাস পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে নোটিফিকেশন থেকে ‘লার্ন মোর’ অপশনে গিয়ে পোস্টপন্ড নির্বাচন করলে ভিডিও মুছে যাওয়ার সময়সীমা বাড়ানো যাবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

আরও পড়ুনআপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কি অন্য কেউ লুকিয়ে ব্যবহার করছে১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ সব ক ত সময

এছাড়াও পড়ুন:

বিকাশ-এ লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরও সহজ ও নিরাপদ

বিকাশ অ্যাপে লেনদেন করে তার তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঠানো এখন আরও সহজ, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। বিল দেওয়া, পেমেন্ট, বিশেষ করে কাউকে টাকা পাঠানোর পর স্ক্রিনশট শেয়ার করার বিষয়টি চর্চিত এবং প্রায় অবধারিত। গ্রাহকের এই প্রয়োজনকে সহজ করতে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে এক-ক্লিকেই শেয়ার অপশন।

বিকাশ অ্যাপ থেকে সেন্ডমানি করার সাথে সাথেই স্ক্রিনে শেয়ার অপশন দেখতে পান গ্রাহক। যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে এবং যে অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে, ট্রানজেকশন আইডি, টাকার পরিমাণ, সময়-তারিখ এবং রেফারেন্স -এই তথ্যগুলো শেয়ার স্ক্রিনে দেওয়া থাকে। গ্রাহক এক ট্যাপেই হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ই-মেইলসহ যেকোনো পছন্দের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তথ্য শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে তথ্য শেয়ারের সময় গ্রাহকের সবশেষ ব্যালেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, ফলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট-ব্যালেন্সের তথ্য থাকে সুরক্ষিত।

কোনো গ্রাহক এই শেয়ার অপশন না ব্যবহার করে স্ক্রিনশট দিয়ে তথ্য শেয়ার করতে চাইলেও বর্তমান ব্যালেন্সকে এক ট্যাপেই হাইড করা সম্ভব। বর্তমান ব্যালেন্সের ঠিক পাশেই থাকা ‘আই’ (চোখ) -আইকনে ক্লিক করে বর্তমান ব্যালেন্স হাইড করে রাখতে পারেন।

অনেক গ্রাহক আছেন যারা ম্যাসেজ পাঠানো বা শেয়ারের চেয়ে কল করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। সেসব গ্রাহকদের কথা বিবেচনায় রেখে টাকা পাঠানোর সাথে সাথে পরের স্ক্রিনেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি কল করার অপশনও যুক্ত করা হয়েছে। এতে আর ঐ ব্যক্তিকে কন্টাক্ট লিস্টে গিয়ে কল করতে হয় না। ফলে তার সময় বাঁচে। গ্রাহক পেয়ে যান বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য।

অনেক গ্রাহক আছেন লেনদেন করার পর কেবল ট্রানজেকশন আইডিটি কপি করে কাউকে পাঠান বা কোনো ফরম পূরণ করতেও ব্যবহার করেন। তেমন গ্রাহকদের জন্য এই স্ক্রিনেই কেবল ট্রানজেকশন আইডি কপি করার সুযোগ রয়েছে। ট্রানজেকশন আইডির পাশেই ‘কপি’ চিহ্নিত আইকন ট্যাপ করলেই নম্বরটি ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে যায়। পরে গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো উইন্ডোতে পেস্ট করে তথ্যটি কাজে লাগাতে পারেন।

একইভাবে, পেমেন্ট, বিল পে সহ অন্যান্য তথ্য সহজেই শেয়ার করতে পারছেন গ্রাহক। বর্তমান সময়ে এসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা। গ্রাহকের সুবিধার কথা বিবেচনায় তাই এমন ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ সেবার সংযোজনে গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য নিয়ন্ত্রিতভাবে কাজে লাগানোর সাথে সাথে তার সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিকাশে লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরো সহজ ও নিরাপদ
  • বিকাশ-এ লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরও সহজ ও নিরাপদ