কম্বোডিয়ায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে ২ শিশুর প্রাণহানি
Published: 23rd, February 2025 GMT
কম্বোডিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে মাটির নিচে পুঁতে রাখা গ্রেনেড বিস্ফোরণে দুই শিশু নিহত হয়েছে। প্রাণঘাতী অস্ত্রটি ওই শিশুদের বাড়ির কাছে বিষ্ফোরিত হয়। দেশটির এক কর্মকর্তা রবিবার এ তথ্য জানান। খবর সিনহুয়া নিউজের।
উত্তর-পশ্চিম সিয়েম রিপ প্রদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রামে শনিবার ওই বিস্ফোরণ ঘটে। শিশু দু’টির উভয়ের বয়স দুই বছর। তাদের একজন মেয়ে ও অপরজন ছেলে। তারা পরস্পর চাচাতো ভাইবোন।
তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কম্বোডিয়ান মাইন অ্যাকশন সেন্টারের (সিএমএসি) মহাপরিচালক হেং রতানা বলেছেন, দুই শিশু মাটিতে খেলছিল। তারা মাটি খোঁড়ার সময় সম্ভবত গ্রেনেডটিতে আঘাত লাগে আর সেটি বিস্ফোরিত হয়। একটি শিশু ঘটনাস্থলে ও অপরজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়।
হেং রতানা আরো বলেন, ‘যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে এবং ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে শান্তি বিরাজ করছে। কিন্তু স্থলমাইন ও যুদ্ধের অবশিষ্টাংশের (গোলাবারুদ) কারণে এখনো কম্বোডিয়ার মানুষের রক্ত ঝরছে।
১৯৬০ এর দশকে শুরু হওয়ার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে কম্বোডিয়া ফেলে দেওয়া গোলাবারুদ ও অস্ত্রে ছেয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে কম্বোডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাইন কবলিত দেশগুলোর একটি হয়ে আছে। দেশটিতে প্রায়ই মাইন বা অন্য অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কম্বোডিয়ার একটি সরকারি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ১৯৭৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিতে ল্যান্ডমাইন এবং ইআরডব্লিউ বিস্ফোরণে ১৯ হাজার ৮৩৪ জন নিহত এবং ৪৫ হাজার ২৫২ জন পঙ্গু হয়ে গেছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু
এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ফেনীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আজ দুপুরে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশে যদি এক যুগ, দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জানমালের উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। ১৯ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচনটি হোক।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’
পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ রেহানা আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।