কম্বোডিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে মাটির নিচে পুঁতে রাখা গ্রেনেড বিস্ফোরণে দুই শিশু নিহত হয়েছে। প্রাণঘাতী অস্ত্রটি ওই শিশুদের বাড়ির কাছে বিষ্ফোরিত হয়। দেশটির এক কর্মকর্তা রবিবার এ তথ্য জানান। খবর সিনহুয়া নিউজের। 

উত্তর-পশ্চিম সিয়েম রিপ প্রদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রামে শনিবার ওই বিস্ফোরণ ঘটে। শিশু দু’টির উভয়ের বয়স দুই বছর। তাদের একজন মেয়ে ও অপরজন ছেলে। তারা পরস্পর চাচাতো ভাইবোন।

তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কম্বোডিয়ান মাইন অ্যাকশন সেন্টারের (সিএমএসি) মহাপরিচালক হেং রতানা বলেছেন, দুই শিশু মাটিতে খেলছিল। তারা মাটি খোঁড়ার সময় সম্ভবত গ্রেনেডটিতে আঘাত লাগে আর সেটি বিস্ফোরিত হয়। একটি শিশু ঘটনাস্থলে ও অপরজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়।

হেং রতানা আরো বলেন, ‘যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে এবং ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে শান্তি বিরাজ করছে। কিন্তু স্থলমাইন ও যুদ্ধের অবশিষ্টাংশের (গোলাবারুদ) কারণে এখনো কম্বোডিয়ার মানুষের রক্ত ঝরছে।

১৯৬০ এর দশকে শুরু হওয়ার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে কম্বোডিয়া ফেলে দেওয়া গোলাবারুদ ও অস্ত্রে ছেয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে কম্বোডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাইন কবলিত দেশগুলোর একটি হয়ে আছে। দেশটিতে প্রায়ই মাইন বা অন্য অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কম্বোডিয়ার একটি সরকারি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ১৯৭৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিতে ল্যান্ডমাইন এবং ইআরডব্লিউ বিস্ফোরণে ১৯ হাজার ৮৩৪ জন নিহত এবং ৪৫ হাজার ২৫২ জন পঙ্গু হয়ে গেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ব ড য়

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল্লার শয্যাপাশে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম

বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিনিয়র  স্টাফ রিপোর্টার অসুস্থ্য প্রবীন সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ খোঁজ খবর নিলেন বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কলাবাগস্থ তার নিজ বাড়িতে এসে তারা এ খোঁজখবর নেন । ওই সময় সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহর পাশে কিছুক্ষণ সময় কাটান ও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক জি.এম. সুমন একই কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  আমির হোসেন,বন্দর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিপন,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফসহ বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য,সাংবাদিক এসএম আব্দুল্লাহ গত শনিবার সকাল এগারোটার দিকে প্রচন্ড ভাইরাস জ্বড়ে অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে বাড়িতে টানা ৬ দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী রয়েছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.ফারুক আহেমেদের নিবির পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি বলে জানা গেছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ