বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ করতে হবে।

১৩ ফেব্রুয়ারি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামকরণ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবিতে কয়েক দিন ধরে তাঁরা মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। গত শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে মানবন্ধন করেন।

ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ সকাল ৯টা থেকে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে তাঁরা সোয়া ৯টার দিকে কালিয়কৈর হাইটেক রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেন। এ সময় সেখানে সিরাজগঞ্জ একপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। ওই ট্রেনে কয়েকজন রোগী ছিলেন। তাঁদের স্বজনদের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা পৌনে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। তবে শিক্ষার্থীরা রেললাইনের ওপর বসে অবরোধ সৃষ্টি করে রেখেছেন।

হাইটেক স্টেশনের টিকিট বুকিং কর্মকর্তা মো.

আলম বলেন, জয়দেবপুর-যমুনা রোডে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অবরোধের কারণে মৌচাক স্টেশনে বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমে আছে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির বলেন, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও পরিচয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরে না। তাঁরা চান, বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামে স্বীকৃতি পাক, যা একাডেমিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জয়দেবপুর জংশনের স্টেশনমাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা হাইটেক স্টেশনে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসটি বেশ কিছু সময় আটকে রাখেন, পরে যাত্রীদের অনুরোধে ট্রেন তাঁরা ছেড়ে দেন। বর্তমানে রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ ড জ ট ল ইউন ভ র স ট হ ইট ক

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ