ভারত থেকে পাসপোর্ট ছাড়াই আসার পথে তেঁতুলিয়া সীমান্তে বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
Published: 24th, February 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে পাসপোর্ট ছাড়াই ভারত থেকে আসার সময় বাংলাদেশের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ৪৪৩ নম্বর মেইন পিলারের ২ নম্বর সাবপিলার এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি। পরে তাঁকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার সুমন রায় (২৬) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট উত্তর ঠাকুরগাঁও এলাকার অরুণ রায়ের ছেলে। সুমন রায়ের কাছ থেকে ভারতের ৫ হাজার ১৬০ রুপি, একটি মুঠোফোন সেট ও ভারতের সিমকার্ড পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
ওই ঘটনায় পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন তেঁতুলিয়া বিওপির হাবিলদার জালাল আহাম্মেদ বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অবৈধ অনুপ্রবেশের (পাসপোর্ট আইনে) অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার দুপুরে তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ৪৪৩ নম্বর মেইন পিলারের ২ নম্বর সাবপিলার–সংলগ্ন পুরোনো বাজার এলাকা দিয়ে ওই তরুণ ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় বিজিবির তেঁতুলিয়া বিওপির টহলরত সদস্যরা ওই এলাকায় প্রায় ১০ গজ বাংলাদেশের ভেতর থেকে ওই যুবককে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন।
বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানান, তিনি গত বছরের ২০ নভেম্বর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মীর্জাপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি আবারও অবৈধ পথে দেশে ফিরছিলেন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে আটক তরুণকে গতকাল থানায় হস্তান্তরের পর রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা করেছে বিজিবি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে আইওএমের ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু
নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘সিনেমা আঙিনা’ নামের এ প্রদর্শনী দেখানো হবে।
সোমবার আইওএমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ১৩ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। মাদারীপুর, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার ১৩টি পৌরসভা ও প্রায় ৪৮০টি গ্রামে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে। এতে নাটক, সংগীতানুষ্ঠান, কর্মশালা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করবে।
আইওএম জানিয়েছে, এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্ম ও স্থানীয় জনগণকে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও নিরাপদ অভিবাসনের সুযোগে উৎসাহিত করা।
আইওএম বাংলাদেশের মিশনপ্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, যখন অভিবাসন নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হয়, তখন তা উন্নয়নের একটি শক্তিশালী চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে। ‘সিনেমা আঙিনা’ এমন একটি সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম, যা সরাসরি জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেয় এবং মানুষকে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
আইওএমের ভূমধ্যসাগরীয় সমন্বয় অফিসের পরিচালক সালভাতোরে সর্তিনো বলেন, ‘সিনেমা আঙিনা’ বাংলাদেশে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আফ্রিকার তুলনায় এখানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবে সম্ভাবনা অনেক। এই উদ্যোগ ইতিবাচক বার্তা প্রচার ও অভিবাসন বিষয়ে পারস্পরিক শেখার সুযোগ তৈরি করবে।
২০০২ সালে ইতালির সহযোগিতা ও উদ্যোগে শুরু হয় ‘সিনেমা আঙিনা’। শুরুতে এটি সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা প্রচারণা হিসেবে কাজ করলেও ২০১৮ সাল থেকে আইওএমের অংশীদারত্বে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি ও সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করার আন্তর্জাতিক প্রচারে রূপ নেয়। আফ্রিকার ছয়টি দেশে ৬৭০টির বেশি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছেছে এই উদ্যোগ।