চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরিত্যক্ত শামসুন নাহার ছাত্রী হলটি ছাত্রহল করে এটি চবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ডে-কেয়ার সেন্টার ও জয় বাংলা ভাস্কর্যের নামও পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম (এক্ট্রাঅর্ডিনারি) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর ক্যাম্পাসে একটি পুরাতন ও পরিত্যক্ত শামসুন নাহার হল রয়েছে। পুননির্মাণ করে হলটি ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ফজলুল কাদের চৌধুরী হল।”

তিনি আরো বলেন, “ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ডে-কেয়ার সেন্টারটির নাম কে বা কারা যেন দিয়েছিল। আবার জয় বাংলা ভাস্কর্যের নামটিও অফিশিয়াল নয়। তবে এ দুটি স্থাপনার নামও পরিবর্তন করা হবে।

এদিকে, ফজলুল কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীর অভিযোগ এনে তার নামে হলের নামকরণ করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তির দিয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

এছাড়া বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। 

এর আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় তিনটি হলসহ ছয়টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। 

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম  কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ