হানিয়ার গালের টোল ও এই রূপ পুরোটাই কৃত্রিম!
Published: 25th, February 2025 GMT
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। সৌন্দর্য ও অভিনয় দিয়ে সারাবছরই কমবেশি আলোচনায় থাকেন। কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, রূপে মুগ্ধতা ভরিয়ে তোলা এই অভিনেত্রী নাকি কাজ করবেন বলিউডেও! এমন আবহের মাঝে হানিয়াকে নিয়ে এক বিস্ফোরক তথ্য দিলেন এক চিকিৎসক।
সম্প্রতি পাকিস্তানের 'ফিজা আলি শো' নামের এক পডকাস্টে হামিরের রূপ-সৌন্দর্য্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এক বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। সেখানেই তিনি হানিয়াকে নিয়ে এসব মন্তব্য করেন।
সে সময় ওই চিকিৎসক দাবি করেন, হানিয়া আমির ডিম্পলপ্লাস্টি, নাকের সার্জারি, ঠোঁট ফিলার, চিবুক ফিলার, এবং ভ্রু প্লাকসহ একাধিক সার্জারি করিয়েছেন। এছাড়াও তিনি জন্মগতভাবে ফরসা বলে এই সার্জারিগুলো তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
তার দাবি, হানিয়ার এই রূপ পুরোটাই আর্টিফিশিয়াল, এমনকি তার টোল পড়া গালের হাসিটিও নাকি নকল!
চিকিৎসকের মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হানিয়া আমিরের ভক্তরা এর তীব্র নিন্দা জানান। ওই চিকিৎসককে তো বটেই, সঙ্গে ওই শো-এর হোস্ট ফিজা আলীরও সমালোচনা করেন তারা। একজন সেলিব্রিটির ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করাটা অশোভনীয় বলেও তুলে ধরা হয়।
এক নেটিজেনের মন্তব্য, সম্মতি ছাড়া কোনো ডাক্তারের রোগীর বিষয়ে এমন আলোচনা করা উচিত নয়। এটি অপেশাদারি। হানিয়াকে সমর্থন করে আরেকজনের মন্তব্য, হানিয়া আমিরের সার্জারি হোক বা না হোক, তিনি সবসময়ই সুন্দর। এটি তার জীবন, তার পছন্দ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।