পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। সৌন্দর্য ও অভিনয় দিয়ে সারাবছরই কমবেশি আলোচনায় থাকেন।  কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল, রূপে মুগ্ধতা ভরিয়ে তোলা এই অভিনেত্রী নাকি কাজ করবেন বলিউডেও! এমন আবহের মাঝে হানিয়াকে নিয়ে এক বিস্ফোরক তথ্য দিলেন এক চিকিৎসক।

সম্প্রতি পাকিস্তানের 'ফিজা আলি শো' নামের এক পডকাস্টে হামিরের রূপ-সৌন্দর্য্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এক বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। সেখানেই তিনি হানিয়াকে নিয়ে এসব মন্তব্য করেন।
সে সময় ওই চিকিৎসক দাবি করেন, হানিয়া আমির ডিম্পলপ্লাস্টি, নাকের সার্জারি, ঠোঁট ফিলার, চিবুক ফিলার, এবং ভ্রু প্লাকসহ একাধিক সার্জারি করিয়েছেন। এছাড়াও তিনি জন্মগতভাবে ফরসা বলে এই সার্জারিগুলো তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

তার দাবি, হানিয়ার এই রূপ পুরোটাই আর্টিফিশিয়াল, এমনকি তার টোল পড়া গালের হাসিটিও নাকি নকল!

চিকিৎসকের মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হানিয়া আমিরের ভক্তরা এর তীব্র নিন্দা জানান। ওই চিকিৎসককে তো বটেই, সঙ্গে ওই শো-এর হোস্ট ফিজা আলীরও সমালোচনা করেন তারা। একজন সেলিব্রিটির ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করাটা অশোভনীয় বলেও তুলে ধরা হয়।

এক নেটিজেনের মন্তব্য, সম্মতি ছাড়া কোনো ডাক্তারের রোগীর বিষয়ে এমন আলোচনা করা উচিত নয়। এটি অপেশাদারি। হানিয়াকে সমর্থন করে আরেকজনের মন্তব্য, হানিয়া আমিরের সার্জারি হোক বা না হোক, তিনি সবসময়ই সুন্দর। এটি তার জীবন, তার পছন্দ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তানোরে চুরি হওয়া ১১ লাখ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব টাকা চুরির অভিযোগে আরজেদ আলী ওরফে কুরহান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার জোড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুরহানের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই কুরহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। টাকা উদ্ধারের পর বুধবার বিকেলে কুরহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী নগরের শিরোইল মঠপুকুর এলাকার বাসিন্দা মাবিয়া খাতুন জমি বিক্রি করতে গত সোমবার তানোর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সঙ্গে ছিল জমি বিক্রির ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অফিসে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মাবিয়া খাতুন তার টাকার ব্যাগটি চেয়ারের পাশে রাখেন। এ সুযোগে কৌশলে ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়ে কুরহান।

মোবাইল ফোনে কথোপকথন শেষে ব্যাগটি না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মাবিয়া খাতুন। এতে পুরো অফিসজুড়ে হইচই পড়ে যায়। পরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে। ঘটনার দিনই মাবিয়া খাতুন তানোর থানায় অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চোর শনাক্ত করে। মঙ্গলবার রাতেই কুরহানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশকে কুরহান জানিয়েছেন, ব্যাগটি চুরি করে কাউকে কিছু না বলে তিনি বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে তা পুঁতে রাখেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টাকা খরচের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে, এত দ্রুত ধরা পড়বেন, সেটা ভাবেননি।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, কুরহান চুরির কথা স্বীকার করলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পেছনের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ব্যাগভর্তি টাকা। আদালতের অনুমতি নিয়ে এই টাকা মালিক মাবিয়া খাতুনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ